পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৭১

নির্মিত। ইহার পরবর্তী প্রধান শিল্পই বুদ্ধগয়ায় প্রাচীরে খোদিত মূর্ত্তি। এখানেও গ্রীক শিল্পের ও পারস্য শিল্পের প্রভাব দেখা যায়। ইহার পরেই আমরা পাই খৃষ্টপূর্ব প্রথম শতকের শেষভাগে সাঁচীর কুড্যচিত্র ও তোরণচিত্র। প্রাচীনযুগে ভারতীয় শিল্পের ইহা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট নিদর্শন আর নাই। খোদিত চিত্রগুলির বিষয়বস্তু প্রধানতঃ জাতকের উপাখ্যান, বৌদ্ধ স্বৰ্গ, বুদ্ধগয়ায় অশোকের অভিযান, বুদ্ধগয়ার মন্দির এবং বোধিদ্রুমও বুদ্ধের মহাভিনিষ্ক্রমশ। এই খোদিত চিত্রগুলি বহুবর্ষের পরিশ্রমে নির্মিত হইয়াছিল এবং বহু শিল্পীর শ্রমের নিদর্শন ইহাতে পাওয়া যায়; সেইজন্য শিল্পপদ্ধতি সর্বত্র একরূপ নহে। কোনস্থানে প্রাকৃত বস্তুর যথার্থ সাদৃশ্য দেখানো হইয়াছে, কোনস্থানে ইচ্ছাপূর্বক তাহা পরিত্যক্ত হইয়াছে। ছদন্ত জাতকের চিত্রটিতে দেখা যায়, যে সমস্ত প্রাণী পদ্মপত্রের উপর দিয়া জলের মধ্যে দৌড়াইতেছে তাহাদের তুলনায় পদ্মপত্রগুলি অনেক বৃহত্তর, আবার হাতীগুলিকে তাহাদের বিশিষ্ট গতিভঙ্গীতে স্বভাবের অনুরূপভাবেই দেখানো হইয়াছে। যদিও একটি প্লেন(plane)-এই অঙ্কিত হইয়াছে তথাপি আলোছায়ার সন্নিবেশবৈচিত্র্যেই তাহাদের স্থৌল্য সুপ্রকটিত হইয়াছে।

 এইস্থানে নানাবিধ ইঙ্গিত ও মুদ্রাদ্বারা নানা অর্থ সূচনা করিবার চেষ্টা দেখা যায়। দক্ষিণদ্বারে বুদ্ধের ভস্মাবশেষ লইয়া যে যুদ্ধের চিত্র দেখা যায় ও তজ্জাতীয় পশ্চিমদ্বারের