পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৌশল্পী । ఇ"> বর্ণিত কৌশাম্বীপুরীর চতুষ্পার্শ্ববর্তী প্রদেশসমূহ প্রাচীনকালে কৌশাম্বীমণ্ডলী কিংবা বৎস্যদেশ নামে অভিহিত হইত—পুরাণাদি গ্রন্থ হইতে এইরূপ অবগত হওয়া যায় । বিষ্ণুপুরাণে দৃষ্ট হয় যে, গঙ্গার বন্যাতে হস্তিনাপুর ধ্বংস হইয়া গেলে অর্জুনের বংশধরগণের মধ্যস্থ অষ্টম পুরুষ নিচক্ষু বা নিচক্রুর নেতৃত্বে পাণ্ডবগণ কৌশাম্বীতে আগমন পূর্বক রাজ্য স্থাপন করেন ; এবং তৎপরবর্তী চতুৰ্ব্বিংশতি পুরুষ ক্ষেয়ক পৰ্য্যন্ত র্তাহারা একাধিক্রমে এই স্থানে রাজত্ব করিয়াছিলেন । “শতানীকাদশ্বমেধদত্তো ভবিতা, তস্মাদপধিসীমকৃষ্ণঃ, অধিসীমকৃষ্ণাৎ নিচক্ষুঃ । , যে গঙ্গয়াপহৃতে হস্তিনাপুরে কৌশাম্ব্যাং নিবৎস্ততি ॥” বিষ্ণুপুরাণ ৪২১ : উক্ত পুরাণ হইতে ইহা ও জ্ঞাত হওয়া যায় যে,—নিচক্ষুর বংশধর গণের মধ্যে ক্ষেমক নামক নৃপতিই ঐ বংশের শেষ রাজা ছিলেন। র্তাহার সহিতই কলিতে উক্ত বংশ বিলুপ্ত হয়। "ব্রহ্মক্ষত্রস্ত যে যোনির্বংশে রাজর্ষিসৎকৃতঃ । ক্ষেমকং প্রাপ্য রাজানং স সংস্থাংপ্রাপ্যতে কলে ॥৪৷” v> ( বিষ্ণুপুরাণ ৪২১ ) পূর্ববর্ণিত “নিচক্ষু” বা “নিচক্রু” নামে খ্যাত ভূপতি হস্তিনাপুর হইতে এই প্রদেশে আগমন করিয়া কৌশাম্বী নগরীতে রাজধানী স্থাপনপূর্বক যে সময় রাজত্ব করিয়াছিলেন, তৎকালে উক্ত নগরী বিশেষ সমৃদ্ধি লাভ করিয়াছিল—এইরূপ জনশ্রুতি প্রচলিত অাছে। ইদানীন্তন ‘কোসম” নামক গ্রাম মধ্যে মৃত্তিকা ও ইষ্টক নিৰ্ম্মিত যে একটা বৃহৎ দুর্গের ধ্বংসাবশেষ দৃষ্টিগোচর হয়, ইহা পরীক্ষিৎ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত বলিয়া জনসাধারণে বলে। উক্ত দুর্গের পরিধি নূ্যনকল্পে ৪; মাইল ; প্রাকারের উচ্চতা প্রায় ৩০।৩৫ ফিট হইবে এবং ৫৬২ একর ভূমি ঐ দুর্গের অন্তভুত। এই স্থান হইতে কতকগুলি যজ্ঞীয় উপকরণাদি