পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা । হইয়া উঠিল, বা ৩্যান্দোলি ত বল্লীবৎ সৰ্ব্বশরীর কঁাপিতে লাগিল । অবশেষে মনে হইল যে সান্ধ্য-আহ্নিক না করিলে তাহার প্রাণেশ্বরের অমঙ্গল হইবে । আর তাহাব দ্বিধা রহিল না । স্বামীর অমঙ্গলেব অপেক্ষা আপনার অমঙ্গলকে ই শ্রেয় মনে করিয়৷ তিনি পতির নিদ্রা ভঙ্গের জন্ত বলিলেন—“হে পুরুষ-শ্রেষ্ঠ, জাগ্রত হও। সন্ধ্য আগত প্রায়, সুর্য্য অস্তাচলগামী হইয়াছে । তোমার স্বর্য্যোপাসনাব সময় হয় নষ্ট কি ? দেবপূজার সময় উপস্থিত, মৃতব্যং ক্ষমা করি ও ।” জরৎকারু ধীরে পত্নীর অঙ্ক ত্যাগ করিয়া উঠিয়া নয়ন মুছিয়া দেখিলেন র্তাচার নিকটে কে উপস্থিত রহিয়াছে। পাশ্বে তদশ তচিত্ত৷ পত্নীকে দেখিয়া বুঝিলেন তিনিই তাছার নিদ্রাভঙ্গ করিয়াছেন। ক্রোধে তাহার চক্ষু রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল, অধরোষ্ঠ কম্পিত হইতে লাগিল। বিচ্ছেদ ভয়বিধুৰ৷ পত্নীকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন—“নাগরাজ দুহিত, তুমি কোল্ সাহসে আমার নিদ্রা ভঙ্গ করিতে এবং আমি আমার আপন ধৰ্ম্মসাধনে অমনোযোগী বলিয়া আমাকে এইরুপে অপমানিত কবিতে সাহসী হইলে ? তুমি আমাদের উভয়ের সর্ত ভঙ্গ করিলে বলিয়। আমি দুঃখিত, কিন্তু এক্ষণে তোমাকে এই মুহুর্তেই ত্যাগ করিতে অামি বাধ্য ।” ভীতিবিহবল রাজকুমারী কাতরে বলিয়া উঠিলেন—“হায় তাপসবর, আমি তোমাকে অপমানিত কবিবার জন্য নিদ্রাভঙ্গ কবি নাই, তোমার অমঙ্গলের আশঙ্কাতেই করিয়াছিলাম।” অধীন}ব অপরাধ প্রাচীন ভারতে বিবাহ-পদ্ধতি । ぐりをー) পাষাণহৃদয় ঋষি উত্তব করিলেন—“আমি যাহা প্রতিজ্ঞ করিয়াছি তাহা ভঙ্গ হইতে পারে না। এতদিন তোমাদের নিকটে বিবাহিত জীবনের মুখসম্ভোগ করিতেছিলাম । অাজ বিদায় ! তোমার ভ্রা তা বাসুকি রাজকে সংবাদ দিও ! আমি তোমাকে ত্যাগ করিতে বাধ্য হইলাম বলিয়৷ আক্ষেপ করি ও না ।” ঋষিকস্তার সকল আশা দূর হইল । বেদনায় তাহার কণ্ঠরোধ হইয়া আসিল, স বিদেহ কঁাপিতে লাগিল, তাহার সেই প্রেমপুর্ণ নয়ন দুইটি অশ্রু ভারে আচ্ছন্ন হইয় আসিল এবং লজ্জালতী লতার হায় এই নিষ্ঠুর আঘাতে একেবারে মৰ্ম্মমধ্যে সঙ্কুচিত হইয়া পড়িলেন। পরে চিরবিদায়ের পূৰ্ব্বে নৈরাষ্ঠের সাহসে ভর করিয়া কাতরে করযোড়ে কহিলেন—“স্বামী, প্রভু, আমি অনুক্ষণ তোমার সেবা ও পূজা করিয়াছি, এক মুহূর্তের জন্তও কোন অষ্টায় কৰ্ম্ম করি নাই, তবে বিনা অপরাধে আজ তুমি আমাকে পরিত্যাগ করিলে কেন প্রভু ? বাজ বাসুকি তোমার ঔবসে সন্তান জন্মিয়া নাগজাতিকে ধবংস হইতে রক্ষা করিবে বলিয়া তোমার সহিত আমার বিবাহ দিয়াছিলেন। এক্ষণে তুমি আমাকে এ ভাবে ত্যাগ করিয়া যাইলে তিনিও যৎপরোনাস্তি দুঃখিত হইবেন ।” জরৎকারু বলিলেন –“ভদ্রে, তুমি যাহা বলিতেছ সত্য, কিন্তু তুমি ভুল বুঝিতেছ। আমি আমার প্রতিজ্ঞ রক্ষা করিতেছি বলিয়া তোমাদেব কোন অনিষ্ট করিবার বাসন আমার নাই। দেবতার ইচ্ছা পূর্ণ হইবে। অীর কয়েকমাস পরে তোমার যে পুত্র হইবে