পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& & & छत्रुशंझ१ कब्रिग्नांछ् श्राब्र श्राभि कtठान्न ७°बैो । তোমাকে যে আমি ভরণপোষণ করিতে পারিব না তাহা জানিয়াও তুমি আমার পত্নী হইতে চাহিতেছ ?” বাসুকি উত্তর করিলেন—“আমি তাহ বেশ জানি । আপনার যতদিন ইচ্ছা আমি আপনাকে ও আমার ভগ্নীকে রক্ষা করিব । আপনার স্তায় মহাপুরুষের জন্তই আমি এত দিন আমার সহোদরাকে কুমারী রাথিয়:ছিলাম।” এই কথা শুনিয়া জরৎকারু কঠোর স্বরে বলিলেন—“তবে বাম্বকীরাজ শ্রবণ করুন । আমি রাজকুমারীকে পত্নীস্বরূপ রাখিবার জন্ত আমার দারিদ্র্য বা অবস্থা পরিবৰ্ত্তিত করিতে চাছি না । অধিকন্তু আপনার সহোদয় লেশমাত্র অবাধ্য হইলে আমি তাহ সহ করিব না। যে মুহুর্তে সে আমার অমনোমত কোন কথা বলিবে বা কৰ্ম্ম করিবে সেই মুহূর্তেই আমি তাহাকে ত্যাগ করিব।” বাসুকি লেশমাত্রও চিন্তা না করিয়া কহিলেন—“তথাস্তু।” এইরূপ অভূতপূৰ্ব্ব ভাবে নাগ-রাজ্যে সুন্দরী রাজকুমারীর সহিত এক কুৎসিৎ ব্ৰাহ্মণ কুমারের বিবাহ হইয়া গেল। বিবাহ দিৰসে রাজপ্রাসাদের আনন্দ –কোলাহলের মধ্যে রাজকুমারী বেশ প্রফুল্ল ও সুধী । ব্ৰাহ্মণকুমার কিন্তু তাপসোচিতভাবে রাজপ্রাসাদ-সংলগ্ন উদ্যানে বাস করিতে লাগিলেন । বিবাহ সময়ে অভদ্র ব্রাহ্মণ যথাসম্ভব মধুরভাষী হইবার চেষ্টা করিয়া পত্নীকে চুপি চুপি বলিতে লাগিলেন—“ভদ্রে, তুমি কদাচ আমার বিরক্তিকর কোন কৰ্ম্ম করি ও না বা অপ্রীতি एलांब्रडौ । অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ কর কোন কথা উচ্চারণ করিও না। যে দিন এইরূপ করিবে সেই দিনই আমি তোমাকে ত্যাগ করিব, তুমি আর আমার পত্নী থাকিবে না ।” মনুষ্য প্রকৃতি তখনও আমাদের মতই ছিল । বিবাহের দিনে স্বামীর নিকট এরূপ সুমিষ্ট কথা শুনিবার জন্ত কেহই প্রস্তুত থাকে না। সুতরাং মুনিবরের বাক্য শ্রবণমাত্র রাজকুমারী কম্পিত কলেবরে উঠিয় দাড়াইয়া সাশ্রনয়নে স্বামীকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন—“ঋষিবর, আমি জীবনে একদিনের জন্তও আপনার অবাধ্য বা অপ্রীতিকর হইব না প্রতিজ্ঞা করিতেছি ।” বিবাহের পর ঋষিপত্নী প্রাণপণে স্বামীসেবা ও তাহার সন্তোষ বিধানের চেষ্টা করিতে লাগিলেন, সৰ্ব্বদাই ভয় পাছে তাহার কোন অজ্ঞাত ক্রটির জন্ত চিরপরিত্যক্ত হইল্পী জীবনপাত করিতে হয় । কিন্তু সে দুর্ঘটনা ঘটিতে অধিক বিলম্ব হইন না । তিন চারিমাস পরেই একদিন এক অভাবনীয় ব্যাপারে উভয়ের চিরবিচ্ছেদ ঘটিল। ● একদিন বৈকালে এই কঠোর ব্রাহ্মণ পত্নীর অঙ্কোপরে মস্তক রাখিয়া নিদ্রা যাইতেছিলেন । সুর্য্য অস্ত গেল তথাপি তাহার নিদ্রাভঙ্গ হইল না। কর্তব্যপরায়ণা পত্নী মহা সমস্তায় পড়িলেন । সান্ধ্য আহ্নিকের সময় উপস্থিত, এ সময়ে স্বামীকে নিদ্রোখিত না করিলে তিনি কুপিত হইবেন, আবার তাহার অনিচ্ছার নিদ্রাভঙ্গ করিলেও তিনি অপস্তষ্ট হইবেন। এই উভয়সঙ্কটে পড়িয়া স্বামীগত প্রাণ ঋষিকস্তার মুখমণ্ডল স্বেদসিক্ত