পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা । घ्बन-दौ । 岛哈器 বন্দী। Vථිණ দুই হাতে মুখ ঢাকিয়া আমি বসিয়াছিলাম—অতীতের সমস্ত কথা মনে পড়িতেছিল—স্বপ্নের মত বিচিত্রমধুর কৈশোরের কথাগুলি ! দুর্ভাবনা ও দুশ্চিন্তার এই ভীষণ কণ্টক, সে কথাগুলি তাহারি পার্শ্বে যেন মুন্দর, শুভ্র কুমুমের রাশি ! প্রফুল্ল মুখ, নিশ্চিন্ত হৃদয়, উল্লসিত প্রাণ— কি সে মধুর দিন ! উস্তানের মাঝে ছুটাছুটি খেলা, সঙ্গীদের প্রাণভর ভালবাসা, সে কি মুখ । তার পর কৈশোরের স্বপ্নরাজ্যে নুতন আলোকের উন্মেষ ! নিরাল কাননে পাশ্বে ছিল তরুণী সঙ্গিনী ! সুদীর্ঘ টান চক্ষু, কেশের রাশি, গৌর তস্থ, রক্তাভ অধর— অপুৰ্ব্বরূপিণী চতুর্দশী পেপা ! বাগানে আমরা একত্রে কত থেল। করিয়াছি ! কত হাসি, কত গল্প ! কলহেরে অস্ত ছিল না । তার প্রকৃতিটি ছিল শাস্ত মধুর পাখীর বাপ চুরি করিয়া হৃষ্টমনে ধীরে ধীরে যখন আমি গাছ হইতে নামিতাম তার স্নান চোখ দেখিয়া আমি জলিয়া যাইতাম । সে দিন সে মিনতি করিয়া বলিয়াছিল, “কেন তুমি বাস চুরি কর— আহ, ছোট ছানাগুলি—বড় নিষ্ঠুর তুমি ” এত বড় একটা বীরত্বের , কাজ সারিয়া আসিতেছি কোথায় সে উৎসাহ দিবে, না, তিরস্কার পাখীর বাস ছুড়িয় তাহাকে আঘাত করিলাম ! গৃহে ফিরিলে যখন তার মা জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোর এখানে কি কি হয়েছে রে ?” সে অমনি অসঙ্কোচে বলিয়া উঠিল, “পড়ে গেছলুম, মা !” তার পর কতদিন আমার স্কন্ধে ভর দিয়া নদী তীরে সে বেড়াইয়াছে ! কখনো ধীর, কখনো-বা দ্রুত গতি ! তীরে দাড়াইল্প নদীর তরঙ্গ দেখিতাম—সন্ধ্যা নামিয়া আসিত-- চারিদিক ধীরে ধীরে আঁধারে অস্পষ্ট হইয়া উঠিত— মৃদু সঙ্গীতের মত নদীর জল তটের কুলে আছাড়িয়া পড়িত—আমাদের কণ্ঠস্বরও মৃদ্ধ হইত ! কত গল্প কল্পিতাম—কত রাজকন্তার কথা, ব্যর্থ প্রণয়ের কত করুণ কাহিনী ! মাঝে মাঝে কেমন সঙ্কোচেসরমে সে মুখ নত করিত ! পেপার হাতের রুমাল পড়িয়া গেল— আমি তাড়াতাড়ি সেখানি তুলিয় তাহার হাতে দিলাম— স্পশে হান্ত কঁাপিয়া উঠিল ! সে এক গ্রীষ্মের সন্ধ্যা ! বাগানের কোণে বাদাম গাছের তলায় আমরা বসিয়াছিলাম । সহসা পেপা কহিল, “এস খানিক ছুটি ।” স্বৰ্ম্ম তমুটি লইয়া সে ছুটিয়া চলিল—বোলতার মত লঘু তার সে গতিটুকু ! কেশের গুচ্ছ উড়িয়া পড়িতেছিল—মাঝে মাঝে গলার সুন্দর রঙ ফুটয় উঠিতেছিল—যেন তামাটে মেঘে বিদ্যুৎ থেলিয়া যাইতেছিল ! একটা কুপের পাশ্বে সে বসিয়া পড়িল— ললাটে স্বেদের বিন্দু মুক্তার মত ফুটিয়া উঠিয়াছিল । আমি তাহার পাশ্বে বসিয়া পাড়লাম — সে ছাফাইয়া পড়িয়াছিল—নিশ্বাস রুদ্ধ হইয়া