পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wobes না । ভারতবাসীর দ্যায় যাহারা দক্ষিণে গমন করিয়াছিলেন, তাহার গ্রীষ্মপ্রধান দেশের জলবায়ুর প্রভাবে অবিলম্বেই কোমল প্রকৃতি হইয়া পড়িয়াছিলেন । গ্রীষ্ম প্রধান দেশে ষে সকল শ্রেষ্ঠ সভ্যতার দৃষ্টান্ত দেখা যায় তাহীদের প্রত্যেকের মধ্যেই জন্ম হইতেই একটা আশু ও অকাল অধঃপতনের বীজ দেখিতে পাওয়া যায়। রাজপুতেরাই কেবল প্রবল শৌর্য্য বীৰ্য্য রক্ষা করিতে পারিয়াছিল, কারণ বালুময় মরুর মধ্যে জীবনধারণ করিতে তাহদের যে নিত্য সংগ্রামের আবখ্যক হইত, তাহা অনেকটা উত্তর দেশের কঠোর অবস্থার অনুরূপ । এই কারণেই আপ্লবগণ প্রবলভেজে চতুর্দিক মথিত করিয়া বেড়াইয়াছিল। কিন্তু ভtহারা ভাহাদের উত্থানের অব্যবহিত পরেই উত্তর দেশের দিকে অগ্রসর হইয়াছিল । যে সকল বিজয়ী জাতির কীৰ্ত্তিকলাপ পৃথিবীর ইতিহাসে অমর হইয়া আছে, তাহদের অধিকাংশই জনহীন শস্তহীণ কঠোর পাৰ্ব্বত্য ভূমি হইতে উত্থিত, প্রকৃতির ভীষণ লীলার মধ্যেই তাঁহাদের চরিত্র গঠিত ও পুষ্ট : যে সকল অবস্থার মধ্যে মানুষ সৰ্ব্বাপেক্ষা বলবান, কৰ্ম্মক্ষম হয় ও শ্রেষ্ঠত্বলাভ করে, ঠিক সেই সকল অবস্থার মধ্যেই তাহার। পালিত। আর অন্তহীন সুখ্যকিরণ মনুষ্যকে অধঃপতনের পথেই অগ্রসর করিয়াছে। মানব সমাজ চিরদিন এই একই নিয়মে চলিব বলিয়। আমার বিশ্বাস । সুতরাং অধ্যাপক ফেসেনডেনের শৌর শক্তিভাণ্ডার একট। সস্তব ব্যাপার বলিয়t পরিগণিত হইলেও, ইয়ুরোপবালীর ভীত হইবার কোনই কারণ ना३ । এই স্থলে ইহাও বলিয়া রাখা কর্তব্য যে শীতপ্রধান দেশের জাতিগণ হইতে অসংখ্য ব্যক্তি নূতন জলবায়ুর দেশে যাইয়া বাস করিতেছে, কিন্তু আজিও তাহদের যথার্থ কোনও অনিষ্ট হইয়াছে বলিয়া বুঝা যায় না। গত তিন শতাব্দীর মধ্যে ইয়ুরোপ হইতে লক্ষ লক্ষ লোক নুতন নূতন মহাদেশে যাইয়। বাস করিয়াছে । উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষণ আফ্রিক। এবং অষ্ট্রেলিয়ার অধিবাসী প্রায় সকলেই প্রাচীন পৃথিবীর উত্তর দেশ সমূহ হইতে আগত। ভারতী । অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ আমরা এখানে থাকিয়া অনেকেই মনে করি ষে যাহার। সমুদ্র পারে দেশাস্তরে গিয়াছে তাহদের চরিত্রে আর কোন পরিবর্তন হুইবে না । অনেক সময়ে আমাদের মনে হয় যেন তাহদের চরিত্রে আমরা নুতন গুণের পরিচয় পাই, কিন্তু অস্তরে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে যাহার দেশাস্তরে গিয়ছে, চরিত্রগত তাহারা আমাদের অনুরূপই আছে । মোটের উপর এ কথ' আজিও সত্য হইতে পারে বটে, কিন্তু চিরদিন এরূপ থাকিবে ন। বলিয়াই বোধ হয় । মানবসমাজের অভিব্যক্তির পক্ষে তিনশত বৎসর এক মুহূৰ্ত্ত অপেক্ষা কিঞ্চিৎ অধিক হইলেও হইতে পারে । আমাদের এ অভি ব্যক্তি যে কত লক্ষ লক্ষ বৎসর ধরিয়৷ চলিল্প আসিতেছে তাহার কিছুই ঠিকানা নাই। পৃথিবীর আদিকালের মানুষের ভঙ্গুর অস্থি এতদিনে লোপ পাইয়াছে সত্য, কিন্তু পৰ্ব্বত পাষাণে এখনও তাহদের অস্তিত্বের ক্ষীণ স্মৃতি জাগিয়া আছে। যে সকল জাতি আজ নব নব দেশে যাইয়া ব স করিতেছে, তাহীদের বাহ্যিক জাতিগত গৰ্ব্ব, স্বদেশপ্রেম বা রাজনৈতিক ভাবের অন্তরালে যে যথার্থ জাতীয় চরিত্র প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে, তাহt fচরদিন একই ভাবে থাকিবে কি না, তাহা আজি বলিতে যাওয়া দূরদৃষ্টির প্রতি কিছু অযথা অত্যাচার করা হইয়। পড়ে। এক থাকিবে বলিয়া ত মনে হয় না। কিন্তু তাই বলিয়। এখন হইতে ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের ভয় দেখাইলে বিপদের আশঙ্ক যথেষ্টই আছে। এই যেমন অষ্ট্রেলিয়ায় যাইয়। যে ইংরাজ জাত্তির চরিত্র পরিবর্ভুিক্ত হইতেছে এখন এ কথা বলাট। আমর। নিতান্ত অস্থায় বলিয়াই মনে করি । পাঁচশত বৎসর পরে অবশু সে কথtর আলোচন কর। সঙ্গত হুইবে । আসল কথা এই যে প্রেম দয়া অংশ) সাহস ইত্যাদি আমাদের যে প্রকৃতিগত প্রধান গুণ আছে তাহ কোণ cझा५ रु| tरुन रुitज३ नष्ट इ३रु ऊ नुङ् ।” অধ্যাপক ফেসেন্‌ডেনের প্রস্তাৰ সম্বন্ধে প্রবন্ধকার এই রূপ অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন। কিন্তু অধ্যাপকের প্রস্তাবট যে কি তাহা এখনও ভাল করিয়া বলা হয় নাই। বায়ু ও স্বৰ্য্য হইতে শক্তি গ্রহণ