পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা । (Fessenden) বায়ুর বেগ ও স্বৰ্য্যতাপের শক্তিকে মানুষের কাজে লাগাইবার সম্ভাবন সম্বন্ধে সবিশেষ আলোচনা করিয়াছিলেন সত্য, কিন্তু তৎসত্ত্বেও জাজিও যে আমর। ইহাদিগকে লইয়৷ থেগ কর। ভিন্ন অন্ত কিছু অবিশ্বকীয় ব্যবহারে ইহুদিগকে নিযুক্ত কবিতে সমর্থ হইয়াছি এরূপ কোন প্রমাণ নাই ; কিন্তু তাই বলিয়া তিনি ষে সম্ভাবনায় বিষয় আলোচনা করিয়াছেন তাহ। ঘে নিতান্তই কল্পনা মাত্র তাহীও নহে । যদি কোনদিন আমরা সুৰ্য্যন্তাপের শক্তিকে আমাদের নিত্যকর্গে নিযুক্ত করিতে সক্ষম হই, তাহা হইলে আমাদের আর্থিক অবস্থারও যে বিশেষ উন্নতি ঘটিবে তাহ সহজেই বুঝা যায় । অধ্যাপক ফেসেনৃডেন একটু বিদ্রুপের সুরে বলিয়াছিলেন যে স্বর্থ্য তাপ প্রয়োগ করিবার পক্ষে ইংলণ্ড বেশ উপযুক্ত স্থান নহে । তবে সেই সঙ্গে সাস্ত্ৰণ স্বরূপ ইহাও বলিয়াছিলেন যে ইংলণ্ডের বায়ুর বেগ সাধারণত বেশ প্রবল। এ বিষয়ে ভুত্তভোগী মাত্রেই সাক্ষ্য দিতে সক্ষম । উত্তরের এই তুষারাচ্ছন্ন দেশে স্বয্যরশ্মি যেরূপ চঞ্চল অস্থায়ী, তাহতে এদেশে সুধ্য শক্তির অধিক ব্যবহার সম্ভব নহে সত্য । এ বিষয়ে গ্রীষ্ম প্রধান দেশের বড়ই স্বাবধ। এ সকল দেশে স্বৰ্য্য হইতে উদ্ভুত শক্তিকে সঞ্চিত ও নিযুক্ত কল্পিৰfর পক্ষে আলেক ম:বধা । প্রথমে হয় ত মণে হইবে এরূপ আবিক্রিয়া যfণ কোনও দিন সম্পন্ন হয়, তাহা হইলে তাহীর ফলে পরিণামে সভ্য জগতের সশস্ত প্রাধান্তই নষ্ট হইবে । যে সকল দেশে স্বাভাবিক সম্পদ অধিক, স্বাভাবিক উৰ্ব্বরতা অসাধারণ, পরিশ্রম করিৰার জন্ত অগণ্য লোক অল্পমূল্যে পাওয়া সস্তব এবং স্বয হইতে সৰ্ব্বাপেক্ষ স্থলভে শক্তিলাভ কর। যায়, সে স ল দেশের নিকট কালে উত্তরের সভ্য জঙিাদগের পরাজয় অলিবtধ । কিন্তু অধ্যাপক ফেসেন্‌ডেনের স্বপ্ন সত্য হইলেও পৃথিবীর রাজনৈতিক ও আর্থিক কে প্রস্থল কি কোন কালেও উষ্ণ কটিমগুলে স্থানগুরিত হওয়া সম্ভব ? थाभाएमब्र उ ठाश भtन इग्न न । श्रृं१िशैब विडिग्न চয়ন—স্বৰ্য্য ও সৌরজগত । やbr○ জাতিদিগের মধ্যে প্রাধান্ত বৈজ্ঞানিক আবিস্ক্রিয়ার দ্বারা কোনও দিনই নির্দিষ্ট হইবার নহে, মানবসমাজের চরিত্র ও গুণই উচ্চ নীচ স্থান স্থির করিবে। স্বৰ্য্যশক্তি ব্যবহারের অপেক্ষ মানব শক্তি ও উৎসাহের সাধনাই ভবিষ্যতে পার্থিক উন্নতির প্রধান নিয়ন্ত হইবে । দেশের জলবায়ুই মানবের গতিশক্তির প্রধান নিরূপক । আমরা চিরদিনই দেখিতেছি ষে শীতপ্রধান দেশের জলবায়ুর সহিত যiহাদিগকে অবিরাম সংগ্রাম করিতে হয়, তাহারা স্ব ভাবতঃ এরূপ সবল, সতেজ ও কঠিন হয় যে মানবের ইতিহাসে তাহারাই প্রাধান্ত লাভ করিয়া থাকে । বিজ্ঞানের যাদুমন্ত্র জলবায়ুর প্রবলতর ও সজীবভর শক্তিকে পরিবর্তিত করিক্তে কোনদিনই পারে নাই । হিমপ্রধান দেশের দুৰ্জয় প্রকৃতির সহিত যাহার যুগযুগান্তর ধরিয়া যুদ্ধ করিয়া আসিতেছে, কোন নুতন জাবিক্রিয়াই ভtহাদের আস্তর্জাত শক্তিকে নষ্ট করা সস্তব সহে । কঠোর প্রকৃতির মধ্যে ললিত হইলে যে শ্রেষ্ঠ অস্তশক্তি জাগিয় উঠে, নগরের বিলাসবহুল জীবন তাহা আজিও নষ্ট কfরতে পারে নাই এবং আরও দুই চারিশত বৎসরেও যে পরিবে এরূপ মনে হয় না । অনেকে বলিতে পারেল ষে সভ্যতার অভিব্যক্তি গ্রীষ্ম প্রধান দেশেই সৰ্ব্বপ্রথম হইয়াছিল। এ কথাট। সম্ভবতঃ সত্য, কিন্তু সভ্যতার আদি জন্মভূমি যে ঠিক কোথায় তাহ আজিও স্থির হইয়াছে বলিয়। মনে হয় না। প্রত্নতত্ত্ববিদের ভূপৃষ্ঠ খনন করিয়া অনেক প্রোথিত নগর আবিষ্কার করিতেছেন সত্য, কিন্তু সভ্যতার প্রথম প্রভাত যে কোনূ দেশবিশেষে হইয়াছিল, আজিও উ হীরা তাহ আবিষ্কার করিতে সক্ষম হন নাই । উfহঃরা আমাদিগকে প্রাচীন নানা জাতির কথা বলেন বটে, কিন্তু তাহার। আজও সেই সকল জাতির উৎপত্তির এমন কোনও যুক্তি-সঙ্গত নিষ্পত্তি করিতে পারেন নাই যাহা দ্বারা আমরা তাহাদের পূর্ববৰ্ত্তী কালের আভাষ পাইতে পারি। যতদূর জানা যায় তাহতে মনে হয় যে প্রাচীনতম সভ্যজাতিরা পার্শ্ববৰ্ত্তী বা উত্তর দিকেই অগ্রসব হইয়ছিলেন, দক্ষিণে অগ্রসর হইতে বড় একটা দেখা যায়