পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓob” নাগাৰ্জুন কতকগুলি বিসদৃশ কথাও লিখিয়াছেন । সকলেই জানেন বেদের সময় হইতে আজ পর্য্যস্ত হিন্দুগণ,—শিশির বসন্ত গ্রীষ্ম বর্ষ। শরৎ হেমন্ত শাস্ত্র সন্মত এইরূপ পৰ্য্যায়ক্রমে ছয় ঋতুকে স্বীকার করিয়া আসিয়াছেন । কিন্তু সুশ্ৰুতসংহিতায় প্রচলিত পৰ্য্যায় পাশ্বে বর্ষ। শরৎ হেমস্ত বসন্ত গ্রীষ্ম প্রাবৃট এইরূপ ক্রম-উল্লেখ করা হইয়াছে। উত্তরতন্ত্রের উপসংহারেও এই শেষোক্ত ঋতুপৰ্যায়ই দৃষ্ট হয়। ইহাদ্বারা দুইটি বিষয় অবগত হওয়া যায়— ১ম—সুশ্রীতের বহুকাল পরে প্রতিসংস্কারক প্রাচুভূত হন। ২য়—তিনি কোন বর্ষ। বহুল দেশের অধিবাসী ছিলেন। হুঙ্কছুষ্কৰ্কনিষ্ক আদি তুরস্কবংশীয় বৌদ্ধ নৃপতিগণের মথুরার নিকটবর্তী উৎকীর্ণ শিলালিপিধারা জানা যায় যে তাহারাও ঋতুপৰ্য্যায়ে প্রাবৃন্টকালেরই প্রথম উল্লেখ করিয়াছেন । সুতরাং আশ্চৰ্য্য নাই যে ঋতুর এই শেষোক্ত ক্রমই বৌদ্ধগণেরই অমুমোদিত হইবে । শুনিলাম পারসীকগণও বর্ষাকে আদি স্বীকার করিয়ু ঋতু গণনা করেন। হিন্দুগণ প্রাবিটুকে বর্ষ পর্য্যায়েই ধরিয়াছেন—যথা শরৎকালং প্রতীক্ষস্ব প্রার্টুকালোইয়মাগতঃ । রামায়ণ কিঙ্কি ২৭অ ৩৯ ৷ আবার ২৬ সর্গে বর্ষার ও শরতের চারি মাসকে বার্ষিক সংজ্ঞা দেওয়া হইয়াছে যথা— পূৰ্ব্বোহয়ংবাধিকোমাসঃ শ্রাবণঃ সলিলাগমঃ। প্রবৃত্তাঃ সৌম্য চারঃমাসাবার্ষিকসংজ্ঞিতাঃ ॥১৪ কাৰ্ত্তিকে সমন্থপ্রাপ্তে ত্বং রাবণ বধে যতঃ । ১৭ রামায়ণের এই লেখাদ্ধার বেশ বোধ হইতেছে প্রাবিটু বর্ষ হইতে ভিন্ন ঋতু নহে। আমার उठtब्रडौ । পৌষ, ১৩১৭ বোধ হয় এই বার্ষিক সংজ্ঞাই পরবর্তীকালে বর্ষা প্রাবৃটের বিভিন্ন ঋতুকল্পনার মূল । সংস্কর্তা চরকের দ্যায় সুশ্রীতের স্থলে নাগাৰ্জ্জুন যদি স্বীয় নাম দিতেন তাহা হইলে তাহা জনসমাজে গৃহীত হইত কি না সন্দেহ । প্রথমতঃ তিনি ঋষি ছিলেন না সুতরাং তাহার রচনাও প্রমাদহীন হইতে পারে না । দ্বিতীয়তঃ তিনি বৌদ্ধ ছিলেন। এই নিমিত্তই নাগাৰ্জ্জুন মুশ্রুত নামের লোপসাধন যুক্তিসিদ্ধ মনে করেন নাই। প্রত্যুত স্থানে স্থানে ঋষিগণের প্রতি সন্মানের সহিত উল্লেখ আছে, এবং কোনস্থলেই গ্রন্থ বা শাস্ত্রের নিন্দাবাদ নাই । এক্ষণে সুশ্রীতসংহিতা হইতে কতকগুলি বিষয় উদ্ধার করিয়া ঋষির পাণ্ডিত্য ও প্রমাদ বিহীনতা প্রদর্শন করিয়া সময় নিৰ্দ্ধারণ করিতে অগ্রসর হইব। ইউরোপীয়গণ এত বিজ্ঞান চর্চা করিয়াও অদ্যাপি স্থির নিশ্চয় করিতে পারে নাই যে শরীরাভ্যস্তরে প্লীহা যন্ত্রট কি কার্য্য করে। এপ্রকার শ্রত হওয়া যায় যে একজন অহম্মষ্ঠ ডাক্তার এই যন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণের জন্ত ঈশ্বরের প্রতি অদুরদর্শিতার আরোপ করিয়া নিনা করিতে কুষ্ঠিত হন নাই। অপিচ স্বয়ং একটা কুকুরের উপর আক্ষরিক পরীক্ষাও দ্বারা প্লীহাটী কত্তিত করিয়া দেখিয়াছিলেন ; কুকুরট হৃষ্টপুষ্ট হইয়া দিন কতক জীবিত ছিল। সুতরাং ডাক্তারের অভ্রান্ত সিদ্ধান্ত অপনীত হইল না । যাহা হউক এই তামসিক জ্ঞানের সহিত সুশ্রুতোক্ত ধীর শাস্ত মতের তুলনা করুন, দেখিবেন উহাতে কি সাত্বিক জ্ঞান স্নাশি নিহিত রহিয়াছে ৷ স্বপ্র ত ক্ষত্র.স্থান ১৪ অধ্যায়ে যtহ লিখিত আছে তাহার অনুবাদ এই ;–