পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, নবম সংখ্যা । জনসাধারণে এই গুপ নিৰ্মাণ করিয়াছে। এইক্ষণে, শু,গ জনশূন্ত, ইহাতে কোন যতি বাস করেন না । নগরাভ্যন্তরে রাজা অশোক নিৰ্ম্মিত দুইশত ফুট কি ততোধিক উচ্চ স্ত,প আছে। এই সঙ্গরামের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে উচ্চ পৰ্ব্বত গাত্র হইতে প্রবগ স্রোত নিৰ্গত হইয়া জলপ্রপাত স্বষ্টি করিয়াছে। পৰ্ব্বত গাত্রগুলি প্রাচীরের ন্যায় ; পূৰ্ব্বদিকে গভীরগুহাভ্যন্তরে নাগ গোপাল বাস করে। গহবরের প্রবেশদ্বার অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ এবং ইহা অন্ধকারময় । প্রাচীনকালে গুহাভ্যস্তরে বুদ্ধদেবের স্বভাব পরিচায়ক এবং উজ্জ্বল ছায়। দৃষ্ট হইত। পরে সেরূপ দৃষ্ট হয় না। কেবল মাত্র সামান্ত সাদৃশ্ব দেখা যায়। কিন্তু যিনি ভক্তিভরে প্রার্থনা করেন, তিনি ক্ষণকালের জন্য দিব্য চক্ষু প্রাপ্ত হইয়। পরিষ্কার ভাবেই ছায়া মুৰ্ত্তি দেখিতে

  • 们可日

যখন তথাগত পৃথিবীতে বাস করিতেন তখন এই দৈত্য গোপালক ছিল এবং রাজাকে দুগ্ধ ও ক্ষার সরবরাহ করিত। কোন সময়ে কায্যে শৈথিল্যতার জন্ত তিরস্থত হওয়াতে গোপালক ক্রোধান্ধ হইয় স্তুপে যাইয়। পুষ্পার্ঘ্য প্রদান করিয়া প্রার্থনা করে যে সে যেন ধ্বংশকারী দৈত্যে পরিণত হইয়। দেশের ও রাজার সৰ্ব্বনাশ সাধন করিতে পারে। পরে পর্বতারোহণ করিয়া গোপালক লম্ফ প্রদান করিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হয় । এবং তৎক্ষণাৎ সে দৈত্যরূপে পরিণত হইয়। এই গুহ অধিকার করিয়া দেশ ও রাজাকে বিনষ্ট করিবার জস্ত প্রস্তুত হয় । তথাগত এই উদ্দেশ্ব অবগত হইয়। করুণাপরবশ হইয়া মধ্য ভারত হইতে এই স্থানে আগমন করেন । দৈত্য তথ্যগতের আগমনে অহিংসা পরমধৰ্ম্ম এই সার সত্যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় । যাহাতে বুদ্ধদেবের শিষ্যগণ সদসৰ্ব্বদা এই গুহায় উাহাকে পূজা করিতে পারে, সেইজন্ত গুহায় বাস করিবার জন্ত দৈত্য বুদ্ধদেবকে অনুরোধ করে। বুদ্ধদেব উত্তর করিলেন যে,“এই স্থানে অ।মি আমার ছায়। রাখিয়t যাইব এবং তোমার নিকট হইতে অনবরত পূজা চয়ন—সিউ-ইউ-কি। අා 8ථ গ্রহণের জন্ত পাচজন অহঁৎ প্রেরণ করিব । সত্যধৰ্ম্ম বিনষ্ট হইলেও তোমার দত্ত পূজা গৃহীত হইবে। যদি তোমার অন্তঃকরণে কোন মন্দাভিলাষ জন্মে, তাহ। হইলে তুমি আমার ছায়ার দিকে চাহিলে তোমার সে অভিলাষ দূরীভূত হইবে । ভদ্রকল্পে (৩) যে সকল বুদ্ধের আবির্ভাব হইবে তাহার। সকলেই স্বীয় স্বীয় ছায়৷ তোমাকে দান করিবেন।* গুহার বহির্দেশে দুইখানি চতুষ্কোণ প্রস্তর আছে। একখানির উপর তথfগতের পদ চিকু আছে | মধ্যে মধ্যে ইহা উজ্জ্বলিত হইয় থাকে। গুহার উভয় পার্শ্বে প্রস্তর নিৰ্ম্মিত কক্ষ অাছে। এই সকল কক্ষে তথ্যগতের শিষ্যগণ উপাসন। করিতেন । গুহার উত্তর পশ্চিম কোণে একটা স্তুপ আছে এই স্থানে বুদ্ধদেব ভ্রমণ করিয়াছিলেন। এতদ্ব্যতীত অন্য একটা স্ত,পে তথ্যগতের চুল ও নখাৰশিষ্ট আছে। নিকটেই অন্ত স্তপে তথাগত তাহার ধর্মের স্বক্ষ বিচার করিয়া স্কন্ধ ধাতু আয়তন সম্বন্ধে নিজ মত প্রচার করিয়াছিলেন । গুহার পশ্চিমে বৃহৎ পৰ্ব্বতে তথাগত ণিজ কশায় বস্ত্র ধৌত করিয়া প্রসারিত করিয়াছিলেন । সুত্রের চিহ্ন এখনও বর্তমান রহিয়াছে । নগরহরার ৩• লি দক্ষিণ-পুৰ্ব্বে হিলেীনগর। ইহা উচ্চে অবস্থিত । লগরে যথেষ্ট পুষ্প পাওয়া যায় এবং হৃদের জল দর্পণের ন্তায় স্বচ্ছ । অধিবাসীর সরল, সাধু এবং সৎ। এখানে দোতলা একটা প্রাসাদ আছে : উহার কড়িগুলি চিত্রিত এবং স্তম্ভগুলি লোহিতবর্ণে রঞ্জিত। দ্বিতলে সপ্তপ্রকার মূল্যবান ধাতু দ্বার। নিৰ্ম্মিত একটি স্তপ আছে তথায় তখাগতের করোটার অস্থি রক্ষিত। করোটীর পরিধি ১ ফুট দুই ইঞ্চি। চুলের ছিদ্রগুলি এখনও পরিষ্কার দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার বর্ণ কিঞ্চিৎ শুভ্র ও পীত। যাহার শুভাশুভ লক্ষণ জানিতে চায় তাহার। সুগন্ধি মৃত্তিক করোটীর উপর স্থাপন করিলে পুণ্যানুসারে মূৰ্ত্তি অঙ্কিত হইয়া শুভাশুভ সূচনা করে। অন্ত আর একটা ক্ষুদ্র গুপেও তথ্যগতের করোটার অস্থি রক্ষিত (৩) যে বল্পে আমরা বাস করিতেছি এই কল্পে সংস্র বুদ্ধ আবির্ভাব হইবেন।