পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ¢¢» “খুল্লতাত ।” যুবতীর কম্পিত অধর হইতে কাতরে এই সম্বোধনটি বাহির হইল, বিস্ফারিত চক্ষু দুইটি দিয়া বক্ষের বেদন গলিয়া ঝরিতে লাগিল। ‘খুল্লতাত, আপনি —আপনি অতি নির্দয় । অনাথিনীর কাতর প্রার্থনা শ্রবণ করুন। আমার জীবনের সর্বস্ব উইল ভেয়ারের সহিত গ্রথিত এবং সেই উইলভেয়ারকে রক্ষা করিবার শক্তি আপনার হস্তে ।” “কি ছেলে মানুষের মত বকিতেছ ! তাহার অদৃষ্ট যে জুরির হস্তে নির্ভর করিতেছে তা কি তুমি জান না ?” “কিন্তু তাহার শাস্তি বিধানের শক্তি আপনার হস্তে । আপনি ইচ্ছা করিলে তাহাকে সামান্ত শাস্তি দান করিতে সহজেই সক্ষম। এইটি আপনাকে করিতেই হইবে। “চুপ ” দ্বারে দুইবার আঘাত হইল, –বিচারক তাহার অর্থ বুঝিলেন,—জুরি তাহীদের সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছে। থর্ণ এথেলের প্রতি একবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন ; তাহার রক্তহীন মূৰ্ছিত প্রায় দেহলত কপাটের উপর হেলিয়া পড়িয়াছে— বাত্যাবিচ্ছিন্ন শতদলের দ্যায় তাহার মুখখানি মলিন ও শুষ্ক ! আজি কয় সপ্তাহ অসুস্থত। বশতঃ সে গৃহ হইতে নিস্ক্রান্ত হয় নাই,--আজ তাহার প্রিয়তমের বিপন্ন অবস্থার সংবাদ পাইরা তাহার দেহের সকল দুৰ্ব্বলতা দূর হইয়া গিয়াছে, এবং এই শেষ সময়ে সে বিচারালয়ে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে ! বিচারক বিচারগুহে প্রত্যাবর্তন করিলেন। তিনি মনে মনে কর্তব্যস্থির করি ब्रां८छ्न । छांब्रडौ । পৌষ, ১৩১৭ আজ তিনি এথেলের প্রতি নির্ণয় ভাবে দয়া প্রকাশ করিবেন স্থির করিরাছেন। তিনি দীর্ঘকালের জন্ত এই নিৰ্ব্বোধ প্রেমপীড়িত বালিকা ও তাহার অপদার্থ প্রেম!স্পদের মধ্যে অস্তুরায় স্বরূপ কারাপ্রাচীর উত্তোলিত করিবেন স্থির করিয়াছেন । তিনি সময়ের শক্তির পরিচয় জানিতেন এবং এথেল চিরদিনই নম্র ও বাধ্য স্বভাব ! আজ যে ব্যক্তিকে তিনি কৰ্ত্তব্যের অমুরোধ কারাদণ্ডিত করিতেছেন একদিন এথেল তাহাকে বিস্মৃত হইবে । এই সৰ্ব্বনাশ হইতে রক্ষা করিবার জন্ত একদিন এথেলই তাহাকে অস্তরের সহিত ধন্তবাদ দান করিবে ! ইহাই সংসারের চিরদিনের যুক্তি ! জুরির অগ্রগণ্যকে যখন তাহদের সিদ্ধাত্ত সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হইল তখন বিচার গৃহের চতুৰ্দ্দিকে সকলেই ‘নির্বাত নিষ্কম্প’ প্রদীপের স্তায় রুদ্ধশ্বাসে নিশ্চল নিস্তব্ধতার মধ্যে দাড়াইয়। রহিল ! উত্তর হইল—“অপরাধী !” বিচারক তাহ পুৰ্ব্ব হইতেই জানিতেন। তখন বিচারক থর্ণ অপরাধীকে সম্বোধন করিয়া গভীর গম্ভীর স্বরে তাহার অপরাধের বর্ণনা করিয়৷ অবশেষে বলিলেন— “সাত বৎসর কঠোর কারাবাস।” শেষ কথা কয়টি উচ্চারণ করিবামাত্র বিচারক ও অপরাধীর চারি চক্ষু মিলিত হইল—অপরাধীর দৃষ্টি বৈরাগ্যবেদনায় কাতর, বিচারকের দৃষ্টি একটা আকস্মিক দ্বিধার আবেগে প্রশ্নময়—আর সে কঠোর তীব্রত নাই ! @ সেই ছায়া মূৰ্ত্তির, সেই অদৃশু আত্মার উপস্থিতির অনুভূতি আসিয়া আবার তাহাকে