পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, নবম সংখ্যা । যুবতীর গও বহিয়া অশ্র ঝরিতে লাগিল, সে বলিয়া উঠিল—“ষে ব্যক্তি এক্ষণে আপনার নিকট বিচারাধীন আছে তাহাকে | উইল ভেয়ারকেই আমি গোপনে ভাল বাসিয়াছি, এই ব্যক্তিকেই আমি স্বামীরূপে বরণ কবিয়ছিলাম ! হায়, আপনি যদি লেশমাত্র ও দয়াস্নেহ দেখাইতেন, তাহা হইলে আপনার সহানুভূতি লাভের আশায় আশ্বস্ত হইয়া আমি কতই আনন্দের সহিত আপনাকে আমার অন্তরের সকল কথা বলিতাম,—আমাদের প্রথম সাক্ষাতের কথা, দিনে দিনে প্রণয় পরিণতির কথা ! কিন্তু,— কিন্তু আমার কেমন একটা ভয় হইত ; আজি কে বল আমার সে ভয় আর নাই ; আজি তাহাব অপেক্ষ অধিক ভয়ে, আমার প্রিয়তমের জন্ত ভয়ে, সে ভয় পলাইয়াছে।”— বিচারক বজনিনাদে বণিয়া উঠিলেন—চুপ । এই ব্যক্তিই যদি তোমার প্রেমপত্র হয় তাহা হইণে লজ্জায় তোমার নীরব থাকাই কর্তব্য ।” যুবতী উন্মাদিনীর ন্তায় অধীর হৃদয়ে বলিয়৷ উঠিল—“আপনি কি মনে করেন এই ব্যক্তির প্রতি প্রেম প্রকাশ করিতে আমার কোন প্রকার লজ্জ বোধ হয় ? সে নির্দোষ, আমি বলিতেছি আপনাকে, সে আপনার আমার মতই সম্পূর্ণ নির্দোষ ।” “তাহার নাম পরিবর্তন করিয়া বিদেশে পলায়নের কল্পনা—তাহার আচরণ ও আয়োজন হইতেই বুঝা যায় যে সে পুৰ্ব্ব হইতেই অপহরণ করিবে বলিয়া স্থির করিয়া রাখিয়াছিল। তুমি এ সকলের কোন কৈফিয়ৎ দিতে পার ?” চয়ন—প্রতিহিংসা । R&& “অবশুই পারি। আমারই জন্য সে এই সকল ব্যবস্থা করিতেছিল। সে তাহার বর্তমান ঘৃণ্য জীবন ও জীবিকা ত্যাগ করিবার জন্তই সে পলায়ণে উদ্যত হইয়াছিল, আমি সহধৰ্ম্মিণীরূপে তাহার অনুসরণ করিব স্থির করিয়াছিলাম । সে আমার কাছে তাহার জীবনের কোন কথাই লুকায় নাই। আমি জানিতাম সে এক সময়ে নিতান্ত নিৰ্ব্বোধের দ্যায় জীবন অতিবাহিত করিয়াছে, কিন্তু আমি তাহার পাশ্বে থাকিলে যে দেব চরিত্র হইত।” বিচারক থণের পক্ষে আর ধৈর্য্যরক্ষা করা অসম্ভব হইয়া উঠিল। “তাহার মধ্যে যদি এতই মহত্ব ছিল, তাহা হইলে সে যৌবনের শ্রেষ্ঠ কয়েক বৎসর এরূপ জঘন্ত সংস্রবে নষ্ট করিবে কেন ? বাঃ, সে তোমাকে আচ্ছ বোকা বানিয়েছে দেখছি !” “তাহার পালকই চিরদিন শনির মত তাহার সর্বনাশের চেষ্টায় লিপ্ত, সেই তাহাকে বাল্যকালে এই সকল জঘন্ত সঙ্গীগণের মধ্যে প্রবেশ করাইয়া দেয়। এই ব্যক্তিই তাহাকে ब्रक न कब्रिश उशिज श्री शिव्र छांब्र নিয়তই ধ্বংসের পথে প্ররোচিত করিত !” বিচারকের মুখে ঘূণার হাসির একটা ক্ষীণ রেখা আসিয়া দেখা দিল । তিনি বলিয়। উঠিলেন—“তোমার উন্মত্ত অমুরাগ তোমাকে অন্ধ করিয়াছে। লোকটা অতি পাষণ্ড, তাহার প্রভুর দ্রব্য অপহরণ করিয়া সে যৎপরোনাস্তি অকৃতজ্ঞের ন্তায় ব্যবহার করিয়াছে। এথেল, এই ব্যক্তি সম্বন্ধে আর কোন কথা যেন তোমার কাছে কখনও না শুনি ।”