পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ ዓ8 পূৰ্ব্বে সিমলাশৈলের রাজকৰ্ম্মচারীরা তাহার বিদায় অভিনন্দনের জন্ত ইয়ুনাইটেড সার্ভিস ক্লাবে একটি সন্ধ্য ভোজনোৎসবের আয়োজন করিয়াছিলেন । এই উপলক্ষ অবলম্বন করিয়া লর্ড মিণ্টে। যে দীর্ঘ বক্ততা করিয়াছিলেন, তাহা গত পাঁচ বৎসবে তাহাব শাসনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বলিলেও হয় । ভারতে আসিয়া লর্ড মিণ্টোর ধৈর্য্য, দূরদর্শিতা, উদারতা ও বিচক্ষণ ভাব যে কি কঠোর পরীক্ষা তিনি কিরূপ সগৌরবে যে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছেন, তাই তাহার বক্ততা পাঠেই বেণ বুঝা যায়। লর্ড বজ্জনের তীব্র প্রতিভার ফলে এবং কতকটা কালের ও গুণে লর্ড মিণ্টে। যখন ভারতে পদার্পণ করেন, তখন ষ্টি মালয় হইতে কুমারিকা পৰ্য্যন্ত চতুৰ্দ্দিকেই অসন্তোষ ও অশান্তি গর্জিয়া উঠিতেছিল। প্রতিভাবান হৃদয়বান রাজ-প্রতিনিধি প্রথমেই এ আগুন নিবাইতে হইলে দেশের শাসনবিধির সংস্কার আবশুক । বুঝিবামাত্র তিনি সহস্ৰ বাধা বিঘ্ন, সন্দেহ ও প্রতিবাদেব মধ্যে আপন চিত্তের অটল সাহস ও ধীরতার উপর নির্ভর করিয়া সংস্কার-পথে অগ্রসর হইতে ভারত ই ইয়া গিয়াছে এবং বুঝিলেন লাগিলেন । তাঙ্গর পরের হতিহাস আমরা সকলেই জানি, সুতরাং এ স্থানে তাঙ্গার পুনরুল্লেপ অনাবগু ক । তবে তাহার বক্তৃতার দুষ্ট এক স্থানের সারাংশ উদ্ধত করিয়া আমরা তাহার স্বক্ষদৃষ্টি, সহানুভূতি ও বিচক্ষণত দেখাইব মাত্র । ভারতের অশাস্তি সম্বন্ধে লর্ড মিণ্টে বলিয়াছেন— *আমি ভারতে পদার্পণ করা হইতে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার কথাই আমার চিত্তে ভারতী। পৌষ, ১৩১৭ সৰ্ব্বপ্রধান ছিল। আমি এদেশে আসিয়া বুঝলাম যে ভারতের রাজনৈতিক আকাশ নিবিড় মেঘাচ্ছন্ন ও বজ্রপাতোমুখ হইয়া আছে । আমি ইহা বেশ অনুভব করিতাম । দিন দিন যতই অভিজ্ঞতা বাড়িতে লাগিল, ততই দেখিলাম যে চতুদিকেই ঘোর অতৃপ্তি ও অসন্তোষ বিরাজ করিতেছে—অনেক রাজভক্তের হৃদয়ে ও ঘোর অতৃপ্তি। বিদ্রোহনীতি হইতে স্বৰু স্ত্র একটা দেশব্যাপী রাজনৈতিক অশান্তি ছিল । এমন সকল শক্তির ক্রিয় ইষ্টতেছিল যে ভারতগবমেণ্টের পক্ষে সেগুলিকে অগ্রহ করা অসম্ভব। এমন সকল আক1জা আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিল, যে তাহার হায়সঙ্গত অধিকারকে অস্বীকার করা অসম্ভব । কিন্তু এ আকাজক্ষা কিসের ? অপশু এ স্থলে আমি বিদ্রোহবাদীদের কথা বলিতেছি না। এক কথায় মোটের উপর বলিতে গেলে আমার বিশ্বাস ধে অনেক শিক্ষিত ভারতবাসীই স্বদেশের শাসন কৰ্ম্মে অধিক অধিকার লাভের জন্ত ব্যগ্র হইয়াছিল । এ আকাঙ্ক্ষার ভিত্তি মহারাণী ভিক্টোরিয়ার ঘোষণাপত্র । আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে ব্রিটিশ গভমেণ্ট নিয়মিত রূপে বীজ এতকাল বপন করিয়া ンb &b 丹にリ মে শিক্ষার আসিয়াছিলেন, তাহারই ফলে এই সকল আকাজ পুষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। তবে জাপানের রুমযুদ্ধে জয়লাভে তাহারা একটু শীঘ্ৰ পুষ্ট হইয়াছে মাত্র । কিন্তু তাই ন হইলেও আমাদেরই স্বহস্তে রোপিত বীজ যে একদিন অস্কুরিত হইয়া উঠিতই সে বিষয়ে সন্দেহ নাই ; এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই সকল হায্য আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকার করিয়া আমাদের