পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বধ, নবম সংখ্যা । ধূলামুঠি কাপড় দিতে পারিব না।” এই কথার অর্থ এই যে, শিশু খেলা করিতে করিতে অপরিস্কার হাতে মুঠ করিয়া কাপড় ধরবে সেই অপরিস্কার কাপড় তিনি চাহেন অর্থাৎ র্তাহার সন্তান হয় নাই তাই মনঃকষ্ট । অতএব দেখা যাইতেছে শিশু সস্তান ঘরে থাকিলেই ঘরদ্বার পারধেয় বসন প্রভূতি অপরিষ্কার অধিক পরিমাণে হুইয়া থাকে । এবং ইহাও সত্য যে রাজকন্যারা যে "ধুলা মুষ্টি কাপড়” পরিতেন তাহ অসচ্ছলত বশতঃ নহে অভ্যাল বশতঃ । এই যে সৰ্ব্বদা অপরিচ্ছন্ন থাক। আমাদের অভ্যাস ইহা অামাদের বহু দিনের । ধনীগুহেও ইহার প্রচলন খুব বেশি। প্রচুর দাস দাসী থাকিলেও ঘর দ্বার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হইলেও বিছান। বা শিশু সস্তানের কাপড় চোপড় বা মহিলাদের বসন সৰ্ব্বদ। মলিন দেখা যায়। অনেক সুশিক্ষিত ভদ্রলোকের এখনও এমন বিশ্বাস যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হইলেই সে “বাবু” সে “অকৰ্ম্মণ্য” । সামান্ত আল্পাসেই যে পরিচ্ছন্ন থাক যায়— ইং আমরা ধারণা করিতে পারি না। রেলওয়ে ষ্টেসনের ধারে ধারে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৰ্ম্মচারীদের বাস দেখা যায়— ভাছ দেখিবা মাত্রই বুঝিতে পারা যায় যে ইহাতে বাঙ্গালী অথবা ফিরিঙ্গা বসবাস করিতেছেন । সেই একই বাড়িতে কখনও বাঙ্গালী কখনও ফিরিঙ্গী বাস করেন—কিন্তু ফিরিঙ্গী হইলেও তাহার শ্রী ও পরিচ্ছন্নতা সকলের দৃষ্টি যে বিশেষ করিয়া আকর্ষণ করে তাহ অস্বীকার করা যায় না। এই ফিরিঙ্গী যে ধনী এবং তাহার দাস দাসী অন্তঃপুর প্রসঙ্গ । alyసీ যে অনেক তাহা নহে—কেবল অভ্যtল বশেই তারা পরিচ্ছন্ন থাকিতে পারেন । অভাব যদি অপরিচ্ছন্নতার মূল হইত তবে ধনী গৃহে অপরিচ্ছন্নত দেখা যাহত না । আমাদের একটী ধনী আত্মীয়া মহিলা সৰ্ব্বদ। দুই তিন সের সোণার গহনা পরিধান করিয়া থাকতেন—কিন্তু মলিন বস্ত্রের দিকে কিছুমাত্র দৃষ্টিক্ষেপ করিতেন না। তাহার সন্তানাদি ছিল ন৷ তথাপি আমি কখনও পরিষ্কার বস্ত্র পরিতে দেখি নাই। কেবল একদিন কোন নিমন্ত্রণ স্থলে প্রচুর অলঙ্কার ও বহুমূল্য বারাণসী বস্ত্রে ভূষিত দেখয়াছিলাম। আমাদের দেশে অপরিচ্ছন্নতা অর্থাৎ মলিন বস্ত্র পরিধান বিনয়ের লক্ষণ । মহিলাগণ নিমন্ত্রণে বারাণসী বোম্বাই শিল্ক প্রভৃতির সাড়ী পরিয়া গিয়াছেন – বসিবার জন্ত আসন দিবার অপেক্ষা করিয়া থাকা অসম্ভব ; “বড় মামুষির” পরিচায়ক ; অতএব পরিধেয় বসন যতই বহুমূল্য হউক না কেন "ধূপকরিয়৷ যেখানে সেখানে বসিয়া না পড়িলে নিন্দার ভাজন হইতে হয় । এই সকল ভাiবলে দেখা যায় যে অপরিচ্ছন্নতা আমাদের অভ্যাস হইয়া গিয়াছে । আচার অনুষ্ঠানের ক্রটির দিকে যেমন আমাদের খর দৃষ্টি অপরিচ্ছন্নতার দিকে দৃষ্টি একেবারেই নাই। উঠানের এক কোণে নিকান’ পোছান তুলসী মঞ্চ-আর এক কোণে আবর্জনার রাশি । সে আবর্জন যদি প্রতিদিন বেড়ার ও পারে ফেলা হইত তবে উঠানটি ত পরিষ্কার থাকিত । ইহাতে কিছুমাত্র ব্যয় হইত ন। মুষ্টি মুষ্টি আবর্জন জমা হইয়। এখন একটা ভূতের বোঝা হুইয়াছে এখন