পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• פר* আর ব্যয় ভিন্ন পরিষ্কার হয় না । পরিধেয় বসন সৰ্ব্বদা অল্প আয়াসেই পরিষ্কার যে রাখা যায় তাহা অনেকেই জানেন। প্রত্যহ নিয়মিত শিশুদের ও নিজেদের কাপড় গুলি যদি শুধু “জল কাচার” পরিবর্তে একটু সাবান দিয়া লওয়া হয় তবে সৰ্ব্বদা পরিষ্কার থাকে। যথেষ্ট ময়লা না হইলে সামান্ত সাবান ও অল্প সময়েই কাপড় পরিষ্কার হয় ! অনেক মহিলাকে দেখা যায় সস্তানদের জামাটা কিম্বা ধুতি থানা লইয়া ছেলেকে দুধ খাওয়াইতে বসিলেন তার পর তাহাতে দুধ মোছা কাদা মোছা শেষে ঘর শুদ্ধ মোছা হইল—তাব পর জলে ধুইয়া দেওয়া হইল পর দিন আবার বালক তাহাই পরিবে। এই প্রকারে ষে বস্ত্র ময়লা হয় তাহ শুধু জলে কেন ধোপার বাড়ী গিয়াও ভালরূপ শাদা হয় না । অতএব কাপড় গুলি যাহাতে যত কম ময়লা হয় প্রথমে পরিবারস্থ সকলের সে দিকে দৃষ্টি রাখা উচিত । জামা কাপড়ে কোন মতেই কাদা ধূলা পোছা উচিত নহে। অনেক মহিলার আঁচলে হাত মোছা অভ্যাস আছে । তরকারী খাইয়া হাত ধুইয়া আঁচলে হাত মুছিলে তেল ঘি হলুদ কাপড়ে মাখামাখি হয়। এ সকল পরিহার করা কৰ্ত্তব্য। তার পর নিত্য স্নানের সময় নিজ নিজ পরিধেয় বসন ও শিশু সস্তানদের কাপড় গুলি নিয়মিত সাবান দিয়া ধুইয়া দিলে বিশেষ সময় বা পয়সা ব্যয় হয় না । প্রত্যহ এক পয়সার সাবানে ৪le থান বড় ধুতি ও ছোট ছোট তোয়ালে রুমাল মোজা পয়সা ভারতী । পৌষ, ১৩১৭ প্রভৃতি ৫৭ খান অনায়াসে ধুইয়া লওয়া যায়। ইহাতে ধোবার ব্যয়ও কমান যায় । যাহাঁদের দাসদাসীর অপ্রতুল নাই তাহারা নিয়মিত দাসদাসীদের দ্বারা সাবান দিয়া কাপড় ধোয়াইতে পারেন। তবে র্যাহারা মনে কবেন যে সাবানের একটা পয়সা থাকিলে মোহন ভোগ কিনিয়া দিব, এবং যতক্ষণ কাপড় ধুইব ততক্ষণ একটু গড়াইয়া বাচিব, র্তাহাদের প্রতি নিবেদন এই যে, সাবধানে সাবান খরচ করিলে চারি অtনার বারসোপে এক মাস চালান যায়। কি ধনী দরিদ্র ভাত সকল ঘরেই রান্না হয়। এই ভাতের ফেনে একটু সাবান ফেলিয়া গুলিয়া তাহাতে ৪,৫ খান কাপড় বেশ পবিষ্কার হয়। একটু গরম গরম আছড়াইয়া লইলে শীঘ্র भब्रडा छूद्र झग्न । সকলেই অনুভব করিতে পাবেন যে যেদিন ধোপা আসে সে দিন বেশ একটু সচ্ছন্দতা অনুভব করা যায়—মনটা প্রফুল্ল হয়। ইহাতে বুঝা যায় যে মলিনতা অপ্রফুল্লকর । অতি শিশুকাল হইতে মলিনতার দিকে যদি শিশু সস্তানের ঘুণ জন্মাষ্টয়া দেওয়া যায় তবে ক্রমশঃ বয়স বৃদ্ধির সহিত সে আপনিই অপরিচ্ছন্নত হইতে দূরে থাকিবে। জল ঘাটিতে সকল শিশুই ভালবাসে ; যে কোন কিছু আহারের পর হাত ধুইয়া দেওয়া বা হাত ধুইতে বলায় শিশুর বিরক্ত হয় না। আমরা ভাত ব্যঞ্জনের বাটটা যদি স্পর্শ করি তাহ হইলে হাত ধুইয়া ফেলি,— কিন্তু দুধের সরটা হাত দিয়া তুলিয়া বা রসগোল্লাটা ছেলেকে খাওয়াইয় অনায়াসে কাপড়ে হাতটা মুছিয়া রাথিতে পারি।