পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्त्रांन्झडत्री ৩৪শ বর্ষ । মাঘ, ১৩১৭ [ ১০ম সংখ্যা সামঞ্জস্য জ্ঞ এই বিশ্বচরাচবে আমরা বিশ্বকবিব ধে লীলা চারদিকেই দেখতে পাচ্চি সে হচ্চে সামঞ্জস্তের লীলা । সুর, সে যত কঠিন স্বল্পষ্ট হোকৃ, কোথাও ভ্রষ্ট হচ্চে না; তাল, সে যত দুবাই তালই হোক, কোনো জায়গায় তার স্থা লনমাত্র নেই । চারদিকেই গতি এবং স্ফৰ্বি, স্পন্দন এবং নৰ্ত্তন, অথচ সৰ্ব্বত্রই অপ্ৰমত্ততা । পৃথিবী প্রতিমুহূর্তে প্রবলবেগে স্বৰ্য্যকে প্রদক্ষিণ করsে, স্বৰ্য্য প্রতিমুহূৰ্ত্তে প্রবলবেগে কোন এক অপরিজ্ঞাত লক্ষ্যের অভিমুখে ছুটে চলেছে, কিন্তু আমাদের মনে ভাবনামী ত্র নেই-—আমবা সকাল বেলায় নির্ভয়ে জেগে উঠে দিবসের তুচ্ছতম কাজটুকুও সম্পন্ন করবাব জন্তে মনোযোগ করি এবং রাত্রে একথা নিশ্চয় জেনে গুতে যাই যে, দিবসের আয়োজনটি যেখানে যেমন ভাবে আজ ছিল সমস্ত রাত্রির অন্ধকার ও অচেতন তার পরে ও ঠিক তাকে সেই জায়গাতেই তেমনি করেই কাল পাওয়া যাবে । কেননা, সৰ্ব্বত্র সামঞ্জস্ত আছে ; এই অতি প্রকা ও অপরিচিত জগৎকে আমরা এই বিশ্বাসেই প্রতিমুহূর্তে বিশ্বাস করি । অথচ এই সামঞ্জস্য ত সহজ সামঞ্জস্ত নয়—এ ত মেষে ছাগে সামঞ্জস্য নয়, এ যেন বাঘে গোরুতে একঘাটে জল খাওয়ালে । এই জগংক্ষেত্রে যে সব শক্তির লীলা তাদের যেমন প্রচণ্ডত তেমনি তাদের বিরুদ্ধতা— কেউল পিছনের দিকে টানে কেউবা সামনের দিকে ঠেলে, কেউব গুটিয়ে অনে, কেউবা ছড়িয়ে ফেলে, কেউবা বজমুষ্টিতে সমস্তকে তাল পাকিয়ে নিরেট করে ফেলবার জন্তে চাপ দিচ্চে, কেউবা তার চক্রধ:স্ত্রর প্রবল আবর্তে সমস্তকে গুড়িয়ে দিয়ে দিগ্বিদিকে উড়িয়ে ফেলবার জন্তে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্চে। এই সমস্ত শক্তি অসংখ্যবেশে এবং অসংখ্য তালে ক্রমাগতই আকাশময় ছুটে চলেছে, তার বেগ, তার বল, তার লক্ষ্য, তার বিচিত্রত আমাদের ধারণাশক্তির অতীত ; কিন্তু এই সমস্ত প্রবলতা, বিরুদ্ধতা, বিচিত্রতার উপরে অধিষ্ঠিত অবিচলিত অখণ্ড সামঞ্জস্ত । অtমরা যখন জগৎকে কেবল তাব কোনো একটামাত্র দিক থেকে দেখি তখন গতি এবং আঘাত এবং বিনাশ দেখি কিন্তু সমগ্রকে যখন দেখি তখন দেখতে পাই নিস্তব্ধ সামঞ্জস্ত। এই সামঞ্জস্তই হচ্চে র্তার স্বরূপ যিনি শাস্তং শিবমদ্বৈতং । বোলপুর শাস্তিনিকেতনের সাম্বৎসরিক উৎসব উপলক্ষ্যে ৭ই পৌষ সন্ধ্যাকালে পঠিত।