পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃ R8 জগতের মধ্যে সামঞ্জস্ত তিনি শাস্তং, সমাজের মধ্যে সামঞ্জস্ত তিনি শিবম্, আত্মার মধ্যে সামঞ্জস্ত তিনি অদ্বৈতম্। আমাদের আত্মাব যে সত্য সাধনা তার লক্ষ্যও এই দিকে, এই পরিপূর্ণতার দিকে— এই শান্ত শিব অদ্বৈতের দিকে ; কখনই প্রমত্ততার দিকে নয় । আমাদের যিনি ভগবান তিনি কখনই প্রমত্ত নন ; নিরবচ্ছিন্ন স্বষ্টিপরম্পরার ভিতব দিয়ে অনন্ত দেশ ও অনন্তকাল এই কথারই কেবল সাক্ষ্য দিচ্চে । “এঘ সেতু বিধরণ লোক নামসম্ভেদায় ।” এই অপ্রমন্ত পরিপূর্ণ শান্তকে লাভ করবার অভিপ্রায় একদিন এই ভারতবর্ষের সাধনার মধ্যে ছিল। উপনিষদে ভগবদগীতায় আমরা এব পরিচয় যথেষ্ট পেয়েছি। মাঝখানে ভারতবর্ষে বৌদ্ধযুগের যখন আধিপত্য হল তখন আমাদের সেই সনাতন পরিপূর্ণতার সাধন নিৰ্ব্বাণের সাধনার আকার ধারণ করলে । স্বয়ং বুদ্ধের মনে এই নিৰ্ব্বাণ শব্দটির অর্থ যে কী ছিল তা এখানে আলোচনা করে কোনো ফল নেই কিন্তু দুঃখের হাত থেকে নিস্তার পাবার জন্তে শুষ্ঠতাব মধ্যে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করাই যে চরম সিদ্ধি এই ধাবণ বৌদ্ধযুগের পর হতে নানা আকারে নুনাধিক পরিমাণে সমস্ত ভারতবর্ষে ছড়িয়ে গিয়েছে। এমনি কবে পূর্ণতার শান্তি একদিন শুষ্ঠতার শান্তি আকারে ভারতবৰ্ষৰ সাধন:ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছিল । সমস্ত বাসনাকে নিরস্ত করে সমস্ত প্রবৃত্তির মূলোচ্ছেদ করে দিয়ে তবেই পরম শ্রেয়কে লাভ করা যায় এই মত যেদিন থেকে ভারতবর্ষে তার সহস্র মূল বিস্তার করে দাড়াল সেইদিন থেকে ভারতী । মাঘ, ১৩১৭ ভারতবর্ষের সাধনায় সামঞ্জস্তেব স্থলে রিক্তত। এসে দাড়াল; সেইদিন থেকে প্রাচীন তাপসাশ্রমের স্থলে আধুনিককালের সন্তাসাশ্রম প্রবল হয়ে উঠল এবং উপনিষদের পূর্ণস্বরূপ ব্ৰহ্ম শঙ্করাচার্য্যের শূন্তস্বরূপ ব্ৰহ্মরূপে প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধবাদে পরিণত হলেন । কেবলমাত্র কঠোর চিন্তার জোরে মানুষ নিজেব বাসন ও প্রবৃত্তিকে মুছে ফেলে জগদ্ধ ক্ষাগুকে বাদ দিয়ে শীরের প্রাণক্রিয়াকে অবরুদ্ধ কবে একটি গুণলেশচীন অবচ্ছিন্ন (abstract) সত্তার ধ্যানে নিযুক্ত থাকতেও পারে কিন্তু দেহমনহাদয়বিশিষ্ট সমগ্র মানুষের পক্ষে এবকম অবস্থায় অবস্থিতি করা অসম্ভব এবং সে তার পক্ষে কখনই প্রার্থনীয় হতে পারে না । এই কারণেই তখনকার জ্ঞানীরা যাকে মানুষের চরম শ্রেয় বলে মনে করতেন তাকে সকল মানুষের সাধ্য বলে গণ্যই করতেন না। এই কারণে এই শ্রেয়ের পথে তারা বিশ্বসাধারণকে আহবান করতেই পারতেন ন-বরধ3 অধিকাংশকেই অনধিকারী বলে ঠেকিয়ে রাখতেন এবং এই সাধারণ লোকের মুঢ় ভাবে যে-কোনো বিশ্বাস ও সংস্কারকে আশ্রয় করত তাকে র্তার সকরুণ অবজ্ঞা ভরে প্রশ্রয় দিতেন । যে নে যেটা যেমনভাবে আছে ও চলচে, তাই নিয়েষ্ট সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট থাকুকু এই তাদের কথা ছিল, কাবণ, সত্য মামুষের পক্ষে এতই মৃদুব, এতই দুরধিগম্য, এবং সত্যকে পেতে গেলে নিজের স্বভাবকে মামুষের এম্নি সম্পূর্ণ বিপৰ্য্যস্ত করে দিতে হয় ! দেশেব জ্ঞান এবং দেশের অজ্ঞানের মধ্যে, দেশের সাধন এবং দেশের সংসারযাত্রার