পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

०84 दक्षं, *िiभ नः श्रI! । করেছিলেন তিনি শান্তম্ শিবম্ অদ্বৈতমূ— র্তার মধ্যে সমস্ত শক্তি সমস্ত জ্ঞান সমস্ত প্রেম অতলস্পর্শ পরিপূর্ণতায় পর্যাপ্ত হয়ে আছে। তার মধ্যে বিশ্বচরাচর শক্তিতে ও সৌন্দর্য্যে নিত্য কাল তরঙ্গিত হচ্চে—সে তরঙ্গ সমুদ্রকে ছাড়িয়ে চলে যায় না, এবং সমুদ্র সেই তরঙ্গের দ্বার। আপনাকে উদ্বেল করে তোলে না। তার মধ্যে অনন্ত শক্তি বলেই শক্তির সংযম এমন অটল, অনন্ত রস বলেই রসের গাম্ভীৰ্য্য এমন অপরিমেয় । এই শক্তির সংযমে এই রসের গাম্ভীর্য্যে মহর্ষি চিরদিন আপনাকে ধারণ করে রেখেছিলেন, কারণ, ভূমীর মধ্যেই আত্মাকে উপলব্ধি করবার সাধন। তার ছিল। র্যার আধ্যাত্মিক অসংযমকেই আধ্যাত্মিক শক্তির পরিচয় বলে মনে করেন তারা এই অবিচলিত শান্তির অবস্থাকেই দারিদ্র্য বলে কল্পনা করেন, তার প্রমত্ততার মধ্যে বিপৰ্য্যস্ত হয়ে পড়াকেই ভক্তির চরম অবস্থা বলে জানেন । কিন্তু যারা মহর্ষিকে কাছে থেকে দেখেছেন, বস্তুতঃ যারা কিছুমাত্র তার পরিচয় পেয়েছেন তার] জানেন যে তার প্রবল সংযম ও প্রশাস্ত গাম্ভীৰ্য্য ভক্তিরসের দীনতাজনিত নয়। প্রাচীন ভারতেব তপোবনের ঋষিরা যেমন তার গুরু ছিলেন তেমনি পারস্তের সৌন্দর্য্যকুঞ্জের বুলবুল হাফেজ তার বন্ধু ছিলেন । র্তার জীবনের আনন্দ প্রভাতে উপনিষদের শ্লোকগুলি ছিল প্রভাতের আলোক এবং হাফেজের কবিতাগুলি ছিল প্রভাতের গান । হাফেজের কবিতার মধ্যে যিনি আপনার রসোচ্ছাসের সাড়া পেতেন তিনি যে তার জীবনেশ্বরকে কি রকম নিবিড় রসবেদনাপূর্ণ মাধুর্য্যঘন সামঞ্জস্ত ! Rసి প্রেমের সঙ্গে অস্তরে বাহিরে দেখেছিলেন সে কথা অধিক করে বলাই বাহুল্য । ঐকাস্তিক জ্ঞানের সাধন যেমন শুষ্ক বৈরাগ্য আনে, ঐকান্তিক রসের সাধনাও তেমনি ভাববিহবণতার বৈরাগ্য নিয়ে আসে। সে অবস্থায় কেবলি রসের নেশায় আবিষ্ট হয়ে থাকৃতে ইচ্ছা করে, আর-সমস্তের প্রতি একান্ত বিতৃষ্ণ জন্মে, এবং কৰ্ম্মের বন্ধনমাত্রকে অসহ্য বলে বে:ধ হয় । অর্থাৎ মনুষ্যত্বের কে বল একটামাত্র দিক অত্যন্ত প্রবল হয়ে ওঠাতে হান্ত সমস্ত দিক একেবার রিক্ত হয়ে যায়, তখন আমবা ভগবানের উপাসনাকে কেবলই একটিমাএ অংশে অত্যুগ্র করে তুলি, এবং অন্ত সকল দিক থেকেই তাকে শুষ্ঠ করে রাখি । ভগবৎলাভের জন্ত একান্ত ব্যাকুলত৷ সত্ত্বেও এই রকম সামঞ্জস্তচু্যত বৈরাগ্য মহর্ষির চিত্তকে কোনোদিন অধিকার করেনি। তিনি সংসারকে ত্যাগ করেন নি, সংসারের. মুরকে ভগবানের ভক্তিতে বেঁধে তুলেছিলেন। ঈশ্বরের দ্বারা সমস্তকেই আচ্ছন্ন করে দেখবে, উপনিষদের এই উপদেশ বাক্য অমুসারে তিনি তার সংসারের বিচিত্র সম্বন্ধ ও বিচিত্র কৰ্ম্মকে ঈশ্বরের দ্বারাই পরিব্যাপ্ত করে দেখবার তপস্তা করেছিলেন । কেবল নিজের পরিবার নয়, জনসমাজের মধ্যেও ব্ৰহ্মকে উপলব্ধি করবার সমস্ত বিঘ্ন দূর করতে তিনি চিরজীবন চেষ্টা করেছেন । এইজন্ত এই শাস্তিনিকেতনের বিশাল প্রাস্তরের মধ্যেই হোক আর হিমালয়েব নিভূত গিরিশিখরেই হোক নির্জন সাধনায় তাকে বেঁধে রাখতে পারেনি।--তার ব্ৰহ্ম একলার ব্রহ্ম নয়,