পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

byoశి একদিকে যেমন তিনি অন্ধকার রাত্ৰে শয্যাত্যাগ কৰে পাৰ্ব্ব ত্যগৃহেব বারীন্দtয় একাকী উপাসনার আসনে বস্তেন, ক্ষণে ক্ষণে উপনিষৎ ও ক্ষণে ক্ষণে হাফেজের গান গেয়ে উঠতেন, দিনের মধ্যে থেকে থেকে ধ্যানে নিমগ্ন হতেন, সন্ধ্যাকালে আমার বালককণ্ঠেব ব্রহ্মসঙ্গীত শ্রবণ করতেন— তেমনি আবীর জ্ঞান আলোচনাব সহtয়স্বরূপ তার সঙ্গে প্রক্টরের তিন খানি জ্যোতিষ্ক সম্বন্ধীয় বই, কাণ্টের দর্শন ও গিবনেব রোমের ইতিহাস ছিল ; – তা ছাড়া এদেশের ও ইংলণ্ডের সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্র হতে তিনি জ্ঞানে ও কৰ্ম্মে বিশ্বপৃথিবীতে মানুষেব যা কিছু পরিণতি ঘটুচে সমস্তই মনে মনে পৰ্য্যবেক্ষণ করতেন। তার চিত্তের এই সৰ্ব্বব্যাপী সামঞ্জস্তাবোধ তাকে তার সংসারযাত্রায় ও ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে সৰ্ব্ব প্রকার সীমালজঘন হতে নিয়ত রক্ষা করেছে ; –গুরুবাদ ও অবতারবাদের উচ্চ জ্বলতা হতে তাকে নিবৃত্ত করেছে এবং এই সামঞ্জস্তবোধ চিরন্তন সঙ্গীরূপে তাকে একান্ত দ্বৈতবাদেব মধ্যে পথভ্রষ্ট বা একান্ত অদ্বৈতবাদের কুহেলিকারাজ্যে নিরুদ্ধেশ হতে দেয় নি । এষ্ট সীমালজঘনেব আশঙ্ক! র্তার মনে সৰ্ব্বদা কি রকম জাগ্রত ছিল তার একটি উদাহরণ দিয়ে আমি শেষ করব। তখন তিনি অসুস্থ শরীরে পার্ক ষ্ট্রীট বাস করতেন—একদিন মধ্যাহ্নে আমাদের জোড়াসাকোর বাটি থেকে তিনি আমাকে পার্কষ্ট্রীটে ডাকিয়ে নিয়ে বলেন, দেখ আমার মৃত্যুর পরে আমার চিতাভস্ম নিয়ে শান্তিনিকেতনে সমাধি স্থাপনের একটি প্রস্তাব আমি শুনেছি ; কিন্তু তোমার কাছে আমি বিশেষ করে বলে ভারতী । মাঘ, ১৩১৭ যাচ্চি কদাচ সেখানে আমার সমাধিরচনা করতে দেবেন। —আমি বেশ বুঝতে পারলুম শান্তিনিকেতন আশ্রমের ষে ধ্যানমূৰ্ত্তি র্তার মনের মধ্যে বিবাজ করছিল, সেখানে তিনি যে শান্ত শিব অদ্বৈতেব আবির্ভাবকে পরিপূর্ণ আনন্দরূপে দেখতে পাচ্ছিলেন তার মধ্যে তীব নিজের সমাধিস্তম্ভেব কল্পনা সমগ্রের পবিত্রতা ও সৌন্দৰ্য্যকে স্বচিবিদ্ধ করছিল— সেপানে তাব নিজেব কোনো স্মরণ চিহ্ন আশ্রমদেবতার মর্য্যাদাকে কোনোদিন পাছে লেশমাত্র অতিক্রম করে সেদিন মধ্যাহে এই আশঙ্কা তাকে স্থির থাকৃতে দেয় নি । এই সাধক যে অসীম শাস্তিকে আশ্রয় করে আপনার প্রশান্ত গভীরতার মধ্যে অমৃত্তবঙ্গ সমুদ্রেব হ্যায় জীবনান্ত কাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত ছিলেন সেই শাস্তি তুমি, হে শাস্ত হে শিব ! ভক্তের জীবনের মধ্য হতে তোমার সেই শান্তস্বরূপ উজ্জ্বলভাবে আমাদেব জীবনে আজ প্রতিফলিত হোক্ ! তোমার সেই শান্তিই সমস্ত ভুবনের প্রতিষ্ঠা, সকল বলের আধার। অসংথ্য বহুধা শক্তি তোমার এষ্ট নিস্তদ্ধ শান্তি হতে উচ্ছ,সিত হয়ে অসীম আকাশে অনাদি অনন্তকালে বিকীর্ণ পরিকীর্ণ হয়ে পড়চে, এবং এই অসংখ্যবহুধা শক্তি সীমাহীন দেণকালের মধ্য দিয়ে তোমার এই নিস্তব্ধ শাস্তির মধ্যে এসে নিঃশব্দে প্রবেশ লাভ করচে । সকল শক্তি সকল কৰ্ম্ম সকল প্রকাশের আধার তোমার এই প্রবল বিপুল শান্তি আমাদের এই নানা ক্ষুদ্রতায় চঞ্চল, বিরোধে বিচ্ছিন্ন, বিভীষিকায় ব্যাকুল.দেশের উপরে নব নব ভক্তের বাণী ও সাধকের জীবনের ভিতর দিয়ে প্রত্যক্ষরূপে অবতীর্ণ