পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br> 8 অভ্রান্ত শাস্ত্রে একান্ত বিশ্বাসবান পণ্ডিতবর্গ সরল যুক্তি মার্গেব আদেী পক্ষপাতী ছিলেন না । তাহাবা প্রত্যেক প্রতিপাদিত সত্যকে শাস্ত্রবচন দ্বারা সমর্থিত দেখিতে একান্ত প্রয়াসী । যে তর্কের মূলে শাস্ত্রের সমর্থন নাই তাহ অতীব যুক্তিসঙ্গত ও ন্তায়াসুমোদিত হউক না কেন তাহদের নিকট তাহার কোন মুল্য নাই । স্বামী রাম তাহাদের মত শাস্ত্রে বিশেষ পাবদর্শী ছিলেন না, বিশেষতঃ শাস্ত্রবচন তাহার একেবারেই কণ্ঠস্থ ছিল না, সেই হেতু আপন ধৰ্ম্মমত প্রচারে বিশেষ ফললাভ করিতে পারেন নাই । তিনি নিৰ্জ্জনে শাস্ত্রালোচনা করিবার জন্ত টির রাজের আশ্রয়ে ভাগীরথে তীরে “রামাশম” প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। ১৯০৬ খৃষ্টাব্দের ১৭ই অক্টোবর তারিখে স্নান করিতে গিয়া হঠাৎ তিনি জলমগ্ন হন। স্নান-স্ত ভাগীরথীকুলে বসিয়া প্রাণায়ামে নিযুক্ত ছিলেন হঠাৎ প্রবল জলস্রোত আসিয়া তাহাকে ভাসাইয়া লইয়া যায়। তাঙ্গর মৃতদেহ দৃষ্টে মনে হয় তিনি তৎকালে সমাধিমগ্ন ছিলেন। স্বামী রামও রাজর্ষি রামমোহনের গুtয় মানবজাতির একটা প্রকৃতিগত একত দেখিতে পাইয়াছিলেন । এই উদার সাৰ্ব্বভৌমিক ভাব একদিকে তাহাতে বিশ্বজনীন প্রেম অদ্যদিকে অসাধারণ স্বজাতি প্রীতি ও স্বদেশ বাৎসল্য উৎপন্ন করিয়াছিল। তিনি “আমেরিকাবাসীদিগের নিকট নিবেদন” শীর্ষক বক্ততায় হতভাগিনী জন্মদুঃখিনী জন্মভূমির কথ। এইরূপে বলিয়াছিলেন— “সভ্য বটে অতীত কালে পরোক্ষ ও অপরোক্ষ ভারতী । মাঘ, ১৩১৭ ভাবে ভারত জগতকে বিভিন্ন ধৰ্ম্ম প্রদান করিয়|fছলেন কিন্তু রাম আজ তোমাদিগকে বলিতে চাহিতেছেন যে আজ কাল যে সকল নব ধৰ্ম্ম ও নব মত ইউরোপ ও আমেরিকাকে আলোড়িত করিতেছে তাহারও আলোক এখনও ভারত হইতে আসিতেছে । তোমীদিগের নব চিস্তা, নব ধৰ্ম্মতত্ত্ব, প্রেত বিদ্যা, (Spiritualism) খ্ৰীষ্টবিজ্ঞান, মানসিক চিকিৎসা (Mental Healing enofs Vietà oð als তোমরা এত গৌরব অনুভব করিতেছ ইহাদের সকলেরই মূল পুণ্য ভারত ভূমি । যে দেশ পুরাকালে এবং বর্তমান সময়ে জগতকে নানাবিধ দর্শণ শাস্ব প্রদান করিয়াছেন রাম আজ তোমাদিগকে সেই দেশের কথাই বঞ্জিতেছেন। দর্শনেতিহাস অtঞ্জ সুস্পষ্টরূপে প্রচার করিতেছেন প্লেটো, সক্রেটিসৃ. পিপ গোরাস্, প্রভৃতি গ্রীক দার্শনিকগণ ভারতবাসীর দ্বারাই অনু প্রাণিত হইয়াছিলেন। সপেনহার মাগেল, মিলিং, কুজি প্রভৃতি দার্শনিকগণ মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়াছেন যে, তাহারা শঙ্কর, বুদ্ধ, উপনিষদ ও গীত হইতেই উদ্দীপনা লাভ করিয়াছিলেন । যে দেশের উচ্চ চিন্তা ও মহৎ আদর্শ তোমাদিগেব ভক্তিভাজন এমর্শন, হুইটম্যান, আর্ণল্ড, মোক্ষমুলার প্রভৃতিকে অস্ত্র প্রাণিত করিয়াছিল, রাম আজ তোমাদিগকে সেই শঙ্কর ও শ্রীকৃষ্ণের দেশের কথাই বলিতেছেন। ভারত যে কেবল উচ্চচিন্তা ও মহৎ আদর্শ কাব্য ও দর্শনের জন্মভূমি তাহা নহে তিনি শৌৰ্য্য বাঁধ্যের সুবিথ্যাত । যে দেশ এককালে ধনরত্বে পরিপূর্ণ ছিল, যাহার ধনরত্ব আহরণ করিয়া জাতির পর জাতি ঋদ্ধিমান হইয়াছেন এবং যে লোভনীয় দেশের অনুসন্ধানে যাইয়। কলস্বসূ আমেরিকা জাবিঞ্চার করিয়া ফেলেন, রাম আজ তোমাদিগকে সেই দেশের কথাই বলিতেছেন। ভারত যে কেবল শৌর্য্য বায্যে জগতের শীর্ষস্থানীয় ছিলেন তাহা নহে, ভারত জ্ঞানে, গুণে ও ধৰ্ম্মে জগতের শীধ স্থান অধিকার করিয়াছিলেন । যে মাতা জুগতকে কাব্য ও দর্শন, উচ্চ চিন্তা ও উন্নত ধৰ্ম্মম্বারা পরিপুষ্ট করিয়াছিলেন জগতের সেই প্রাচীন শিক্ষাদাত্রী জননী জন্মও