পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । ধরিল “তোমার পায়ে পড়ি ওসব কথা বলেন, তোমার উপর কার স্নেহ কম ? কেন ওরকম মনে কবে ? ফিরে যাই চলে, আমি সব ছেড়ে তোমার সেবা করবে ।” ছেমেন্দ্রের চিত্ত উদ্বেলিত হইয় উঠল। শাস্তির হৃদয়ের সমস্তটাই তাহাব ; –সেই উৎসর্গি হ প্রাণের সভক্তি পূজার সযত্ন সেবা -আর কিছু না হোক অস্থ তঃ সেইটেও তো সে পাইবে, সেই কি কম ? কই আজি কার মত আনন্দ তে| ইহার পূৰ্ব্বে শত ভোগবিলাসের মধ্য হইতে ও সে লাভ কবে নাই ? কি সুন্দব, কি কোমল কি উচ্চ তাহার এই স্ত্রী ! আর সে অন্ধের মত এত দিন তাহাকে চাহিয়া দেখে নাই ! বাগ্র করে সে শাস্তিকে বুকে টানিয়া লইতে গেল, আবেগ তাড়িত কণ্ঠে বলিতে গেল “তোমার *खि छूभि श्राभांग्र नेि ४ *ा४ि ८ङांभाद्र छथ আমি সব সহ করবো—” কিন্তু তাহাব পূৰ্ব্বেই পাশের ঘবের দরজ খোলার শব্দে শান্তি চমকিয়া উঠিয়া পড়িয়াছিল, যোগেশ বারান্দায় পড়িয়া হঠাৎ ফিবিতেছিল কিন্তু দেখি গ তাহাকে দেখিয়া তাড়া তাড়ি করিয়া ঘোমটা টানিয়া শান্তি ঘরেব মধ্যে চলিয়া গেল, হেম ডাকিল, “যোগেশ !” হেমেন্দ্রের জন্য চা তৈরি করিয়া নতুন রাধুনিকে রান্নার জোগাড় করিয়া দিয়া যোগেশ হেমেদের ঘরে অtসিয়া দেখিল শাস্তি ও হেম নিবিষ্ট মনে কি কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছে। দুজনের মুখেই একটা উৎসাহের দীপ্তি; শাস্তির অধর প্রান্তে একটুখানি লজ্জাবিজড়িত স্বথের হাসি, হেমেন্দ্রের মুখে তাহার স্বাভাবিক রুক্ষ্ম অপ্রসন্নতার পরিবর্তে একটা কোমল ভাব পরিব্যক্ত ! পোষ্যপুত্র। br○3 যোগেশ ভাবিল “একেই বলে দম্পতি কলহশ্চৈব বহুবাহন্তে লঘুক্রয়া” ডাকিল হেম । শান্তি তৎক্ষণাৎ উঠিয়া চলিয় গেল। হেমেন্দ্র প্রসন্ন চিত্তে ডাকিল,—“এস না যোগেশ ।” আসন গ্রহণ করিয়া যোগেশ কহিল * আমার তো এখনি বাড়ি যেতে হবে ছোট বাবু, ছেলেটার ব্যায় রাম দেখে এসেছি।” —হেমেন্দ্ৰ হাসিয়া উঠিল “এতক্ষণে ছেলের কথা মনে পড়লে ? তা বেশতে যোগেশ, কালই একসঙ্গে সবাই যাবে| এ ন । আমরা ও তো আবার লক্ষ্মীপুবেই ফিরছি—” “বটে, আরতোমার যোগেশকে দরকার নাই তবে ?” প্রকাশ্বে বলিল “হ্য। তাই চলুন, মিথ্যে কেন কষ্ট পাবেন, তার চেয়ে বড়লোকের বাড়ি গোমস্তগিরি করাও ভাগ । বৌদিকে বলে দেবেন সিধুঠাকুরুণের হৰিষি বেড়ে যেন একটু ভাল করে ঘি ঢালেন তবু প্রসাদট। আশটাও মিলতে পারবে--” মুহুর্তের মধ্যে হেমেন্দ্রের ললাটের শির স্ফীত হইয়া উঠিল, তাহার মাথার ভিতরে এক কালে ঈর্ষার সহস্র বৃশ্চিক দংশন করিয়া উঠিল, চোখের সম্মুখে সমস্ত আলোকের উপর এক খান। কালে মেঘ ঘনাইয়া আসিয়া এক মুহূৰ্ত্তেই সব অন্ধকার করিয়া ফেলিল । পাত্ত্বনার ও সহানুভূতির সহিত ধীরকণ্ঠে যোগেশ কহিতে লাগিল “আপনার শ্বশুর খুব চালাক লোক । কৰ্ত্তাকে তিনিই উইল করতে বারণ করেচেন। র্তার মতলব বোধ হয় বুড় মরলে তোমায় অক্ষম প্রমাণ করে নিজেই ন|বালকের অভিভাবক হয়ে বসবেন । তারপর বুঝেছ তো ?” হেমেন্দ্র স্তম্ভিত হইয়া বসিয়াছিল,-এ কি