পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՆՑ8 ব্যাপার! যোগেশ এ কি বলিতেছে! সত্য সত্যই তাহার বিরুদ্ধে ঘোরতর একটা ষড়যন্ত্রই চলিতেছে নাকি ? হ্যা সম্ভব বটে,—ঠিক তাই ! সে কি মুখ, ছিঃ, ভাগ্যে যোগেশ ছিল ! সে একটু নড়িয়া বসিল, সন্দিগ্ধভাবে বলিল "তাই কি হবে ? অামায় না দেখতে পারলেও নিজের মেয়ে তো আছে ?” *হঁ্যাঃ তুমিও যেমন ! মেয়ে আছে আছেই! মেয়েরও ওপোর ভারী দরদ দেখতে পেলেন ? ওরা টাকা বোঝে নিজের স্বার্থ বোঝে । তোমাব মতন তো ভtলমানুষ নয়, নিজের সৰ্ব্বস্ব ওদের ধরে দিয়ে পথে দাড়ালে যেমন ! তা যাহোক ছোট বাবু আমাকে তো আজ যেতেই হচ্চে, ঘরে তো একটা কড়িও নেই! ছেলেট বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে! আমরা ত আর বড় লোক বাপ নষ্ট,— ছেলে মেয়েই আমাদের প্রাণ !” উত্তপ্ত জল একটুখানি তাপ পাইয়াই যেমন টগবগ, করিয়া ফুটিয় উঠে হেমেন্দ্রের প্রতি শিরাস্থ শোণিত স্রোত ও তেমনি করিয়া ফুটিয়া উঠিল। মূঢ় ! এতটুকু বুঝিবার শক্তিও তাহার নাই ! কি মোহেই সে ডুবিতেছিল ! যোগেশের হাত ধরিয়া বলিল, *যোগেশ তুমি আমায় ছেড়ে ষেওন,—আমার তুমি ছাড়া আর কেউ নেই। আমার বল বুদ্ধি ভরসা সব তুমিই। কি করে আমি আমার স্তায় সঙ্গত অধিকার ফিরে পাব বলে । আদালতে কি প্রমাণ হবে ও মাগী বিন্দার বউ নয় ?” যোগেশ মনের মধ্যে জয়ের হালি হাসিয়া দম্ভ করিয়া বলিল "বলো কি তুমি ! ওতো হয়ে রয়েইছে ! ওর জন্তে আবার ভাবনা ! বৃন্দাবনের বিশ-টে সাক্ষী ভারতী । মাঘ, ১৩১৭ হলপ নিয়ে বলবে যে ও বিনোদবাবুব বিয়ে করা স্ত্রী নয়। কুছ পরোয় নেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে ভাবন। এই যে, তোমার মনের সৎসাহস আবার না কোন সময় বৌদির চোথের জলে ধুয়ে সাফ হয়ে যায়। র্তাব হুকুম তামিল তেী হওয়া চাই তা—” নিতান্ত অপমানিত বোধ করিয়া হেমেন্দ্র গর্জন করিয়া উঠিল “বেখে দাও তোমার বৌদিদি ! আমায় কি এমনই ভীরু পেয়েছ ? তবে অামাব এখন কি করতে হবে বলে দেখি ?” “তোমায় আর কি করতে হবে বল, তবে আগে ববং একখানা উকিলের চিঠি বুড়কে পাঠান যাকৃ। কি বলে ? যদি ভালয় ভালয় দেয় তা মন্দ কি ? নৈলে তখন—হাতেই তো উপায় রয়েছে । ”হেমেন্দ্র একটু চিন্তিত ভাবে আপনা আপনি বলিল “উকিলের চিঠি -কেমন একট। সঙ্কোচ বোধ হয়, হাজার ছোক জ্যেঠা হন, এতদিন কাছে ছিলাম।” “ঐ তো গোড়াতেই বলেচি, ওসব আপনার কৰ্ম্ম নয়। লক্ষ্মীপুবেই ববং ফিরে যান। তবে মাপ কৰ্ব্বেন তারা কি আপনাকে মায়া কবেছিলেন ? আপনার শ্বশুর যে শেয়াল কুকুরের মতন করে সেই রাত্রে”—“যোগেশ থামো—তুমি যা বলবে অামি করতে রাজি আছি । ভদ্রতা, চক্ষুলজ্জাসব ধুয়ে গ্যাছে, ভাই ভাগ্যে তুমি ছিলে।” ইহার পর অনেকক্ষণ ধরিয়া দুই বন্ধুতে মিলিয়া পবামর্শ চলিল । এবং বলা বাহুল্য ইহার ফলে যোগেশের বাড়ী যাওয়া ও শান্তির লক্ষ্মীপুরে যাওয়া উভয় যাত্রাষ্ট বন্ধ হইয়া গেল । "שO\ লক্ষ্মীপুরের বাটতে আবার নিরানন্দ ও হতাশা দ্বিগুণিত হইয়া উঠিয়াছিল, শুামাকান্ত