পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । পীড়িত। ডাক্তারের প্রেস্ক্রপসন ও কবিরাজের বড়িপাচন ব্যবস্থার ক্রট না থাকা সত্ত্বেও সে রোগের কিছুমাত্র উপশম হুইতেছিল না। যে রোগ শরীরের অপেক্ষ মনেরই বেশি, ঔষধে তাহার কি করিতে পাৰিবে ? শিবাণী তাহার যথাশক্তি সেবার ফ্রট করিত না । কিন্তু শুমকান্তেব তথাপি সকল সময় মনে হইত শাস্তি হইলে ইহার স্থলে এই করিত, এটা না বলিয়া হয়ত অষ্ঠ কিছু বলিত । প্রতিনিদ্রাহীন রজনীতে স্তিমিতালোক কক্ষে দ্বারেব দিকে সোংমু কনেত্ৰে চাহিয়া থাকিয়া অবশেষে গম্ভীর নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া পাশ ফিরিয়া গুইতেন, মনে হইত যেন এখনি ঐ দ্বাবপথে নিঃশব্দে সে প্রবেশ করিয়া সাবধান গতিতে র্তাহীর শয্যাপীশ্বে আসিয়া দাড়াইবে । বুঝি তাহার সুম ভাঙ্গিয় যাইবার ভয়ে শ্বাস রুদ্ধ কবিয়া হাতের চুড়ি গুলির শব্দ বাচাইয়া সশঙ্ক ব্যাকুলতায় সে মুখেব দিকে চাহিয়া দেপিতেছে। কি সে করুণামাথা কোমল দৃষ্টি ! মেছ কান্তব জননী রুগ্ন সন্তানের মুখে যে দৃষ্ট প্রেরণ করেন তাঁহাতে কত মাধুর্য্য কত মহিমা ! কতদিন মরিচীকাবং আশার প্রতারণায় প্রতারিত বৃদ্ধ সোংকণ্ঠে ডাকিয়া উঠিয়াছেন ‘ম এলি গো! “অমনি স্বপ্নেৰ মোহ টুটির জলন্ত বাস্তব উচ্চ উপহাসে হাস্থা করিয়া উঠিয়া উত্তব কবিয়াছে না।” কোথা গেলে তুমি স্নেহময়ী জননি! তুমি কেন গেলে! শুধু তোমারি জষ্ঠ তোমারি অভাবে শুধু এতে কষ্ট এত হতাশা। আর না হয় তুমিই এসে হে বরেণ্য মৃত্যু ! তুমিই এই বহনক্ষম শরীরকে তাপক্লিষ্ট জীবনকে পোষ্যপুত্র । ϊ7 &φ. মুক্তি দান করে। হে বন্ধু ! হে মহৎ ! ভাই তুমিই এসে । অমূল্য নুতন ঠেলাগাড়িতে বেড়াইয়া আসিয়া চাকবের হাত ছাড়াইয়া পালাইয়া অtiসয়া নালিশ করিল “দাদামশাই আমায় কেস্ত নাস্তায় নামৃতে দেয়নি, ও বড় দুৰ্ত্ত, হয়েচে । গুমা কাপ্ত মুপ্তোখিতের স্তায় চমকিয়া উঠিয়া শিশুকে ব্যগ্রভাবে কাছে টানিয়া পুনঃ পুনঃ চুম্বন করিতে লাগিলেন ; দুই চোখ দিয়া জলধা বা গড়াইয় পড়িয়া হৃদয়ের পাষাণ ভাব সীমান্ত মাত্র লঘু করিয়া দিতে সক্ষম হইল। এই টুকুই যে তাহাব সান্থনার অবশেষ ! কিন্তু অভাগ্যের ধন অন্ধের নড়িটুকুর উপর দৃষ্ট ফেলিতেও ষে সাহস হয় না, নিরলম্বের অবলম্বন যদি তাহার দৃষ্টিতে শুখাইয়া যায় ! এই ধনৈশ্বৰ্য্য পুর্ণ প্রকাণ্ড অট্টালিকায় বাস করা শিবানীব পক্ষে ও একান্ত অসহ্য হইয়া উঠিতেছিল। আজকাল যদিও শ্বশুরের দেব ও তাছার চিন্তায় তাহার বিক্ষিপ্ত" চিত্তকে অনেকখানি অবলম্বন দিয়া তাহাকে ংসারের মধ্যে টানিয়া অনিয়াছে, তথাপি তাহার নিকট সকলি অন্ধকার । সময় পাইলেই সে বালক বিনোদের পড়িবার ঘরের চাবি খুলিয়া ঘরে প্রবেশ কবিত। চারিদিকে পুস্তক ভরা অালমারি, দেওয়ালে বঙ্গের খ্যাতনামা মনীষীগণের চিত্ৰ ; ঘরের ঠিক মধ্যস্থলে লিখিবার টেবিলের ডয়ারের মধ্যে বিনোদকুমারের হাতের লেখা ও তাহার টুকিটাকি দ্রব্য সকল সাজান । শিবানী সস্তপণে একবার ড়য়ার খুলিয়া জিনিষ পত্রগুলি নাড়িয়া চড়িয়া আবার পূর্বের