পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ দশম সংখ্যা । আসিয়া বসে না । কোমলস্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন “কিরে শিবু ? এমন সময় এলি যে ?” শিবানী ঈষৎ অপ্রতিভ হইয়। বলিল,“এই এলুম একবাব * সিদ্ধেশ্বরী একবার সন্দিগ্ধ নেফ্রে কন্যার পানে চাহিয়া দেখিলেন কিছু বলিলেন না, কথাটা বোধহয় তেমন বিশ্বাস হইল না। বিমলাদাসী তাহীর পীয়ে তেল মালিশ করিয়৷ আগুনের তাপ দিতেছিল তাহার কার্য্য শেষ হইলে আt গুনের কড়। লইয়া সে বাহিবে চলিয়া গেল। তখন শিবানী বলিল ’মা’ ? “কি মা ? বলিয়া সিদ্ধেশ্ববী সস্নেহে চাহিয়৷ দেখিলেন । শিলানা সঙ্কোচ ত্যাগ করিয়া কহিল 'মা চলনা কেন আমরা আমাদের সেই নিজের ঘরেই আবার ফিবে যাই !’ সিদ্ধেশ্ববীর ওষ্ঠ প্রান্তে দুঃখের হাসি ফুটিয়া উঠিল। পাগলী ! হ্যারে দিন দিন কচিটি হচ্চিস না কি ? কি বলিস্ বলদেখি ? অমুটার কি হবে ?” পোষ্যপুত্র । ક૭૧ সৰ্ব্বশরীরে তাড়িত সঞ্চালিত হইয় গেল । ভগবান মুখ তুলিয়া চাহিবেন ? চাহিবেন কি ? ওগো সৰ্ব্বাস্তুর্যামী ! তবে অাব কতদিনই বিমুখ থাকিবে ? একবার মুখ তোল’ একবার চাহিয়া দেখ তোমাব একটুখানি দৃষ্টির উপর এথন ও কি সব নির্ভর কবিতেছে না ? এ কথা সে ত প্রায় ভুলিয়াই আসিয়াছিল ; যদি আবার স্মবণ করাইয় দিলে তবে কৃপা দৃষ্টি দাও”। সিদ্ধেশ্বরী শিবানীকে নীরব দেখিয়া তাড়াতাড়ি কথাটা উন্টাইয়া ফেলিবার আশায় বলিয়া উঠিলেন “এবার ‘পৈরাগে’ অন্ধ কুম্ভ হবে। মনে কচ্চি ‘ছান’টা করে চুলগুলো মুড়িয়ে আসবে, কল্প বাস কর্কার ও বড় সাধ আছে । মেজবোন, নিস্তারিণী ওরাও যেতে চায় ; দেখি শরীরটা ভাল থাকে তো যাবে ।” শিবানী সে কথাগুলা হয়ত সব শুনিতেও পায় নাই, সে তখন ভাবিতেছিল, যদি তাই শিবানী উত্তর দিল “সে এখানে থাক না, শুধু হয়, তা হলে সাব আবার ফিরে আসে ! আমরা দুজনে চল চলে যাই মা ; চলে আর আমি এখানে থাকতে পারচি না ।” শিবানীর কণ্ঠস্বরে আজ সিদ্ধেশ্বরী রাগ না করিয়া বরং বেদন বোধ করিলেন । তাহার প্রাণের প্রচ্ছন্ন ব্যথা, নিগূঢ় অভিমান ও শূণ্ঠত র্তাহাকে এক মূহূৰ্ত্ত যেন আঘাত করিল । সত্যিই তো কে মন করিয়া এখানে তাহার মন টিকিবে ? চারিদিকে মুখ ঐশ্বৰ্য্য সবই ছড়ান অথচ সে সকল ভোগেই বঞ্চিত ! যার জন্ত সব—সেই আজ কোথায় ? দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়। কহিলেন “যেমন কপাল করে এসেছিলি ! কি করবি বাছ, সহি কর। সত্যি ভগবান কি কখনও মুখ তুলে চাইবেন না ? এখন কোথায় যাবি-এ যে তোরই ঘর।” শিবানীর তিনি নিশ্চয় ঠাকুরপোকে ফিরিয়ে আনেন। চাও ঠাকুর মুখ তুলে চাও।” যোগেশ মধ্যে মধ্যে হামাকাস্তের সহিত র্তাহাকে হেমেন্দ্রের সংবাদ দিয়া যাইত । একদিন সে আসিয়া জানাইল ; হেমেন্দ্র শিবানীকে ও তাহার পুত্রকে জাল প্রমাণ করিবার জন্ত শীঘ্রই মোকদ্ধণা আনিবে। শুনিয়া বৃদ্ধ জমাদার অনেকক্ষণ স্তব্ধ হইয়া একদিকে চtiহয়৷ রছিলেন, জগৎ প্রপঞ্চ স্বপ্লেব মতই অলীক প্রতীয়মান হইতেছিল । তারপর বজ্রাহতের মতন সভম্বকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন ; “সত্যি কি হেম এমন কেলেঙ্কারীর কাজটা করতে পারবে ? যোগেশ তুমি ত তার বন্ধু তুমি তাকে বাহিরের ঘরে সাক্ষাৎ করিয়া