পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুঝি ও বাবা । শুধু শুধু একটা ঝোকে পড়ে সে যেন একেবাবে কুলমর্য্যাদা ভুলে গিয়ে শক্ৰ পক্ষের মুখ হাসায় না । আমি ত তাকে আমার অদ্ধেক সম্পত্তি চুলচেরা ভাগ করে দিতে এখনি রাজি রয়েছি । সে আমার কাছে না থাকতে চায় স্ব তন্ত্র বাড়িতে থাকতে পারবে । তুমি তাকে ফিরে আসতে বলে। ন৷ হয় সে কোথtয় আছে--অর্মীয় নিয়ে চল । সেখানে গিয়ে আমি তাদেব সঙ্গে করে নিয়ে আসি ।” চতুরযোগেশ টলিল না । বৃদ্ধের কfতবেtক্তিতে মনে করুণ অসিতেছিল কিন্তু হেমকে এখন তাহার জ্যেঠাব হাতে সপিয়া দিলে তাহীর কি লাভ হইল ? শুধুই কি এতদিন তাহায় বেগার খাট সার । না,নিজের একটা উপায় না করিয়া শিকার ছাড়া মইতে পারে না। হেম দারিদ্র্যোব মধ্যে এমনি উত্তপ্ত ও অসহিষ্ণু হইয়া উঠিয়াছে ষে অৰ্দ্ধেক বিষয়েই হয় ত সন্ম ত হইতে পারে। বলিল, “ আপনি হঠাৎ গেলে, সে যে রকম ছেলে হয়ত একেবাবেষ্ট সেঁকে বসবে, বিশেষতঃ আপনাকে তাদের থপর দিয়েছি, জানতে পারলে আমাব উপব শুদ্ধ অবিশ্বাস হয়ে যাবে, কোন কামই হবে না । তার চেয়ে বরং আমি তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে যাতে নোয়াতে পারি তারি চেষ্টা করি । দেখুন আমরা পুরুষানুক্রমে আপনাদেরই খেয়ে মাসুষ ! —আপনাদেরই সেবক আমরা— আমার দ্বারা চেষ্টার কিছু ক্রটি হবে না। এক কাজ করুন তাদের তো একটা কড়া কড়িও হাতে নেই, বৌঠাকুরুণের গহনা বাধা রেখে পরশু চারশে টাকা ধার করে দিয়েছি—জানেনতো আমার অবস্থা ! আমার ভারতী। মাঘ, ১৩১৭ নিজের তো কিছুই নেই। তা সেই টাকাট বরং আমায় চুপে চুপে দিন, গছন খtলাশ করে দিইগে । জিজ্ঞেস করলে না হয় বলব, অঙ্গ জায়গা থেকে ধাব কবে ছড়িয়ে এনেছি । আহা বৌঠাকুরুণেরষ্ট কষ্ট !” মৰ্ম্মের মধ্যে তপ্ত লৌহ শলাকা দিয়া যোগেশ খোচাইয়া তুলিল । যোগেশ চলিয়া গেলে বিছানার উপর উঠিয়া বসিয়া শুIমাকান্ত বালকে ব মতন কাদিয়া বলিলেন “ম আমার ! কি চণ্ডালের হাতে তোকে দিলুম !” দে ওয়ানকে ডাকাইয়। সেইদিন রজনীনাথকে পত্র লিখাইলেন “হেম শুনিতেছি সম্পত্তি প্রাপ্তিব জন্ত নালিশ কfরবে। আমি স্থিৰ কবিয়ছি তাহাব পূৰ্ব্বেই আমি আমার বিষয় বিভাগ করিয়া ফেলিব। অদ্ধাংশ বিনোদের পুত্রকে ও অদ্ধাংশ তাহাকে দিয়া অামি নিশ্চিন্ত হইতে চাই । তুমি একবার আসিয়া ত{হার বন্দো বস্ত কবিয়া লাও । মা ও হেম শারীরিক ভাল আছে বলিয়া শুনিলে ও আমার তাহ বিশ্বাস হয় না । যোগেশ তাহীদের দেখিতেছে, সে বড়ই ভাল ছেলে । শুনিলাম চন্দন নগরে তাহারা আছে । কোথায় আছে হেমেব বিরক্তির ভয়ে তাহা বলিতে সাহস কবিল ন।” তিনদিন পরে রজনীনাথের নিকট হইতে পত্র আসিল । এতদিন ধরিয়া শুামকাস্ত মনে মনে অনেকখানি আশা গড়িয়া রাখিয়া ছিলেন পত্রপাঠ তাহা চূর্ণ বিচুর্ণ হইয় গেল । সে পত্র এইরূপ— “কিসের পুরস্কাব স্বরূপ আপনি তাহাকে এত বড় একটা সম্পত্তির অধিকার দান করিতে চাহিতেছেন ? উচ্ছঙ্খলতার ? অবাধ্য