পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br88 সমৃদ্ধিশালী। চতুর্দিক হইতে এই স্থানে মূল্যবান পণ্যাদি আমদানী হয় । এই নগরের উত্তর পশ্চিমে পোলোঁটুলো (সলাতুর ) নগরে পৌছি। এই স্থানে ঋষি পাণিনী জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । প্রাচীনকালে অনেকগুলি বর্ণ ( অক্ষর ) ছিল ; পৃথিবী বিনষ্ট হইলে দেবতাগণ জনসমূহকে শিক্ষা দিবার জগু ধরাধামে অবতীর্ণ হন । এই প্রকারে প্রাচীন বর্ণ ও রচনার উৎপত্তি হয় । এই সময় হইতে ভাষার বিস্তৃতি হয়। আবগুকানুযায়ী দৃষ্টান্তাদি ব্ৰহ্মা ও দেবেন্দ্র স্থির করেন । বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ঋষিগণ নানাপ্রকার বর্ণ স্মৃষ্টি করেন। পরবত্তীকালে মনুষ্যগণ এই সকল ব্যবহার করিতে থাকে । যখন মনুষ্যগণের পরমায়ু শত্তবর্ঘকালব্যাপী হয়, তখন ঋষি পাণিনী জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল হইতেই তিনি বিশেষ অভিজ্ঞ ছিলেন। পাণিণী ঈশ্বর দেবের সাক্ষাৎ গাঙ্গলে তিনি পাণিনীকে সাহায্য করিতে প্রতিশ্রু ত হল। পরে অনেক দিন পরিশ্রম করিয়া অনেক শব্দ সংগ্ৰহ করিয়া একসহস্ৰ শ্লোক প্রণয়ন করেন । পুস্তক সমাপ্তি হইলে তিনি উহা রাজার লিকট প্রেরণ করিলে রাজা মহাসমাদরে উহা গ্ৰহণ করেণ এবং রাজ্যমধ্যে সবত্র উহা পাঠের জন্ত আদেশ প্রচার করেন। রাজা ইহাও প্রকাশ করেন যে, যিনি উহ! আদ্যোপাস্ত শিক্ষা করিতে পাপ্লিবেন তিনি সংস্র সুবর্ণ মুদ্রা পারিতোষিক পাইবেন । ঐ কাল হইতে শিক্ষকগণ ছাত্রদিগকে উই শিক্ষ। দিতেছেন এবং এই জন্যই এই নগরের ব্রাহ্মণগণ উচ্চশিক্ষিত এবং বিশেষ প্রতিভাপন্ন । এই নগরে একটা স্তুপ আছে। তথাৎ একজন অহৎ পাণিনীর একজন শিষ্যকে বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়াছিলেন । তথাগতের লিববাণের পাচশত বৎসর পরে কাশ্মীর দেশে একজন আহৎ আগমন করিয়া ধৰ্ম্ম প্রচার করিতে থাকেন । এই স্থানে আসিয়৷ উক্ত অহৎ দেখিতে পান যে জনৈক ব্রহ্মচারী উtংrর এক শিষ্যকে শাসন করিতেছেন। ঐ দৃষ্ঠে অৰ্হৎ ব্রহ্মচারীকে বলিলেন "এবালককে তুমি কেন কষ্ট দিণ্ডেছ ?” ব্ৰহ্মচারী উত্তর করিলেন “আমি উহাকে ভারতী । মাঘ, ১৩১৭ শব্দ বিদ্যা শিক্ষা দিতেছি । কিন্তু বালক কিছুই শিক্ষা করিতে পারিতেছে না ।” অহ২ ইহাতে হাস্ত সম্বরণ করিতে পারিলেন না। ব্রহ্মচারী তদৃষ্টে জিজ্ঞাস করিলেন “শ্রমণগণ সাধারণতঃ সৰ্ব্বজীবের প্রতি দয়াবান । মহাশয় আপনি কি জন্ত হস্ত করিলেন ?” অৰ্হৎ উত্তর করিলেন "তুচ্ছ কথা সকল সময় শোভ পায় ন! এবং আমি যাহ। বলি তাহ। আপনি বিশ্বাস করিকেন না। আপনি অবগুই ঋষি পাণিনীর কথা শুনিয়ছেন ?” ব্রাহ্মণ উত্তর করিলেন “এই নগরের বালকগণ সকলেই তাহার শিষ্য, সকলেই তাহাকে সম্মান করে এবং তাহার স্মরণার্থ এক মুর্তি এখন পৰ্য্যন্তও দৃষ্ট হয় " অং২ বলিতে লাগিলেন, ধে বালককে আপনি এইক্ষ৭ শাসন করিতেছেন, এই বালকই সেই প্রজ্ঞ ঋমি পাণিন । পার্থিব শাস্বেই পাণিনী লিজ জীবল উৎসগ করিয়াছিলেন এবং সেই সময় হইতে তাহার কেবল পুনর্জন্ম হইতেছে । পুৰ্ব্ব স্বকৃতি বলে তিনি আপনার শিষ্যরূপে এইবার জন্মগ্রহণ করিয়াছেন কিন্তু পার্থিব পুস্তকাদি দ্বারা উiহার কোনই উপকার হইবেন । তথাগতের শিক্ষাই প্রকৃত সুখ ও জ্ঞান আনয়ন করে । দক্ষিণ সমুদ্রের উপকূলে প্রাচীন বৃক্ষের কোটরে পাঁচশত বাদুড় ৰাস করিত। কোন সময় একদল বণিক ঐ বৃক্ষ ত.ল আশ্রয় গ্রহণ করে । শীত নিবারণের জষ্ঠ বণিকগণ বৃক্ষের নিম্নে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করিল। বৃক্ষে অগ্নি লাথাতে বৃক্ষ ক্রমে ক্ৰমে ভক্ষ্মীভূত হহয়! এই সময়ে বণিকগণের একজন অভিধৰ্ম্মপিটক বাদুড়গণ অগ্নিপত্বেও গোল অীরুত্তি করিতে থাকেন। ঐ আবৃত্তিতে মোহিত হইয়া বৃক্ষ পরিত্যাগ না করাধ সকলেই প্রাণ পরিত্যাগ করিল এবং তাহাদের পূৰ্ব্বজন্মাঞ্জিত ফলে মনুষ্যরূপে জন্ম গ্রহণ করিল । উহার সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করিয়া ধৰ্ম্মঞ্জন করিয়া আহত্ব প্রাপ্ত হয়। কিছুকাল পূৰ্ব্বে রাজা কনিক্ষ কাশ্মীর দেশে পাচশত ঋষিকে এক সভায় আহবান করেন । এই পাঁচশত ঋষিই সেই বৃক্ষের পাঁচশত বাদুড়। এ মুখও সেই পাচশতের একজন। এই প্রকারেই মনুষ্য কেহ অগণ্য ভাবে জীবন যাত্ৰ নিৰ্ব্বাহ করে, কেহব।