পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । জানিতে পারিয়া তৎপবদিনে নগ্ন ও কেশশু শ্রীর উল্লঞ্চনের জন্ত অত্যন্ত ক্লেশ প্রাপ্ত অবস্থায় ঐ গৃহে আসিয়াছিলেন র্তাহাদিগকে নির্লজ্জ নগ্ন ও মাসভক্ষণ ভ্যাসে স্থূলকায় মহিষের দ্যায় দেখিয়া স্ন মাগধী অত্যন্ত লজ্জিত হইয়। বস্ত্রদ্বারা বদন আচ্ছাদনপূর্বক খেদ ও নিবেদে বিনত হক্টয়া গুরুজনসমক্ষে শ্বশ্ৰুদিগকে বলিয়াছিলেন ॥১৩ –১৭॥ অহো বহু কাল পরে আমি এইরূপ অ চার দেখিতে পাইলাম যে দিগম্বরগণেব সমক্ষে বধূজন অবস্থিতি করিতেছে। এই সকল শুঙ্গহীন পশুগণ আপনাদের গুহে ভোজন করিতেছে । ইহা বা মনুষ্য নহে এজন্তই অঙ্গনীগণ ইহাদিগকে দেখিয়া লজ্জি ত হন না । অস্থানে আপনাদের দেখিতেছি । এ কিরূপ উচ্ছৃঙ্খল নিয়ম। যে ব্যক্তি ভোজন ত্যাগ কবিতে পারে নাই সে কিরূপে বস্ত্র ত্যাগ করে ॥১৮ – ২০ ঈহাদিগের কেশ উন্মলন কৰ্ম্ম দ্বারাই নিঘুণতা প্রকাশিত হইয়াছে। কেীপীন বস্ত্র বর্জন দ্বারাই সৎস্ব ভাবের অtধ কথাই নাই । দন্তবশতঃ ভয়ঙ্কর ইহাদের বদনে ক্রোধ স্পষ্ট দেপা বাইতেছে । ইহা বা নগ্ন কিন্তু ভোজনার্থী এবং নিয়মবান অতএব ইহারা পশুতুল্য ॥২১ এই সকল পশুগণ যেখানে পূজনীয় সেখানে তাড়নীয় কে হইবে জানিনা । অথবা ইহ দেশেরই দোষ । লোকসকল গতামুগতিকই হইয়া থাকে ॥২২ সুমাগধী এই কথা বলিলে পর তাহাব শ্বশ্র বিষঃ হইয় তাহাকে বলিলেন। “ভদ্রে ! তোমার পিত্রালয়ে কিরূপ লোকের পূজা করা হইয়া থাকে তাহা বল ॥২৩ ভক্তি চয়ন—বোধিসত্ত্বাবদান কল্পলত । Ե8 Գ তিনি বলিৰে ন আমার পিত্রালয়ে ভগবান জিনের (বুদ্ধের ) পূজা করা হয় । তিনি কারুণ্যবশতঃ সমস্ত জগতের কুশললাভের জন্ত সতত উদ্যত থাকেন ॥২৪ ভগবান জিন সৰ্ব্বদাই ধানে স্তিমিত নয়ন তিনি পূর্ণলাবণ্যের সিন্ধুস্বরূপ। তাঙ্গার নাসা বংশীর দ্যায় বিপুল ও সরল এবং সেতুর দ্যায়। র্তাহাব বিস্তৃত কর্ণপাশ ভূষ। শূন্ত হইলে ও রমণীয় । অধিক কি তাছার কাস্তি দেখিয়াই বিদ্ব জনের হৃদয়ে অনিৰ্ব্বচনীয় শান্তি উদয় হয় ॥২৫ ॥ র্ত{ হার মস্তকে একটি স্বtভাবিক মণি আছে তাঙ্কার আলোক অত্যন্ত তাঙ্গর বাহুদ্বয় করিক রসদৃশ। তাহার কাস্তি তপ্ত কাঞ্চনের গুtয় । তাতার করতলে শঙ্খ, ধ্বজ ও পদ্মমালা রেখা আছে । তিনি শান্তি ও সংযমের সাম্রাজ্যের উপযুক্ত লক্ষণ ধারণ করেন ॥২৬ মহামুনিগণেব ও অভিলাষজনক সেই মহাপুরুষের স্বভাব সৰ্ব্ব প্রকার অভিলাষবর্জিত । তিনি সৰ্ব্বজ্ঞ ও সদাই আনন্দময় এবং অনুরাগবজ্জিত। তাতার অধর অত্যন্ত রক্ত বণ ॥২৭ তাহার মূৰ্ত্তি দেখিলেই গাঢ় আলিঙ্গন করিতে ইচ্ছা হয় । মৈত্রী তাহার মনে সতত শয়ন করিয়া আছেন । তাহার ক্ষান্তি তন্ময়তাকারিণী । তাছার হৃদয়বৰ্ত্তিনী দয়া গাঢ় ভাবে আলিঙ্গন করিয়া রহিয়াছে । তিনি বহুদয়িতায় আসক্ত হইয়া ও সকলেরই আশা পূর্ণ করেন। তিনি অপুৰ্ব্ব মুনি তাহার মহিমা অসাধারণ। র্তাহার শাস্তির মধ্যেও বৈরাগ্য রহিয়াছে ॥২৮ উজ্জ্বল ।