পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । ছিল অধিবাসীরা সেই স্থানটকে জঙ্গ ময়দান নামে অভিহিত করে । শুনা যায় এই যুদ্ধে পাণ্ডুয়ারাজ মহানাথ বা মগুরাজের সহায়ত্ত গ্রহণ করিয়াছিলেন । পাণ্ডুয়া হইতে মও কয়েক ক্রোশ মাত্র দূবে অবস্থিত । এই যুদ্ধেব স্মৃতিচিহ্ল স্বরূপ মুসলমানেব। একটী মিনাব স্থাপন করেন। এই মিনারটা পাণ্ডুয়া মিনার নামে প্রথিত । বাংলা দেশের মধ্যে এইটাই সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রাচীন স্তম্ভ বলিলে অতুক্তি হয় না । সমগ্র মিনারটী উচ্চতায় প্রায় ১১৫ ফুট । ১৯০৭ খৃষ্টাব্দে গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক ইহার জীর্ণ অংশগুলি স্থসংস্কৃত হইয়াছে। গম্বুজ এবং চূড়াটুকু ছাড়িয়া দিলেও ইহা পঞ্চতল বিশিষ্ট। ১৮৮৫ খৃষ্টাদেব ভীষণ ভূমিকম্পে চয়ন—পাণ্ডুয়া ।

  • ○○

পঞ্চম তল এবং গম্বুজ চুড়া প্রভৃতি ভগ্ন হইয়া যায়। এক্ষণে ইহা সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠ ও হইয়াছে । তলদেশ হইতে গম্বুজ পর্য্যন্থ সমুদয় সোপান-শ্রেণী উত্তমরূপে মেরামত করা হইয়াছে । মিনাবটার ঠিক পূৰ্ব্ব দক্ষিণে মুসলমানদিগেব এক বৃহৎ মসজিদ আছে । ইহাও এযাবৎকাল জীর্ণ অবস্থায় ছিল । মিনারের সঙ্গে ইহার ৪ কিয়দংশ মেবামত করা হয় । ইহার সৰ্ব্বোচ্চ চুড়া সাত আট মাইল দূর হইতে বেশ স্পষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। এই মসজিদই ‘পেড়ের মসজিদ নামে বিখ্যাত । এই মসজিদের পূৰ্ব্বদিকে প্রায় ১০০ শত গজ দূরে একটা বৃহং পুষ্করিণী আছে। সেই পুষ্করিণীর পাশ্বে আর একটী পুৰাতন মসজিদ আছে। এই মসজিদটি প্রায় ২০০ শত বংসরের প্রাচীন। পাণ্ডুয়ার মসজিদ ( বর্তমান অবস্থ৷ )