পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

šs bréや এই মসজিদের পূর্ব পাশ্বে মুসলমান দিগের গোরস্থান। গ্রাণ্ডট্রঙ্ক রোডের পাশ্বে ই সা সোফির সমাধি মন্দিব । পাণ্ডুয়ার পুৰ্ব্বদিকে আর একটি বৃহৎ পুষ্করিণী আছে। এই পুষ্করিণীর নাম পির পুকুর । ইহার চতুষ্পাশ্বে মুসলমানদিগের গোরস্থান। কথিত আছে হিন্দুদিগের সহিত যুদ্ধের সময় যে সকল মুসলমান যুদ্ধে প্রাণ দিয়াছিল এগুলি তাহাদিগে বই সমাধি মন্দির । পাণ্ডুয়ায় প্রতি বৎসর মধেমাসে এক বৃহৎ মেলার অধিষ্ঠান হয় । মেলায় প্রায় দুই তিন সহস্ৰ লোকের সমাগম হয় । ম্যালেরিয়ার প্রকোপ পাণ্ডুয়ায় অত্যধিক । ১৮৬২ খৃষ্টাব্দে ছয় মাসের মধ্যে প্রায় ১২০০ অধিবাসী এবং ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে ৭০ • ০ হাজার অধিবাসীর মধ্যে প্রায় ৫২০০ অধিবাসী কলে গ্রাসে পতিত হয় । হুগলী জেলার মধ্যে পা ধুয়া মুসলমান দিগের একটী কেন্দ্র স্থান । কিন্তু সমগ্র অধিবাসীর মধ্যে প্রায় চতুঃপঞ্চমাংশ হিন্দু। পাণ্ডুয়ার মুসলমানেব। ( AshrOf ) শ্রেণীভুক্ত আমেদার (Aimadars) atta of eso I of বাংলাব শাসনভার সময়ে প্রজাসস্থষ্টির এবং ইংরাজের প্রথম গ্রহণ করিলেন সেই জন্ত রাজ্য পরিচালনের অনেক দেশবাসীর হস্তেই অৰ্পণ কবিয়াছিলেন । রাজস্ব আদায় এবং বিচার কার্য্য মুসলমান কাজিদিগের হস্তেই ইস্ত থাকিত । এই সকল কাজি সাধারণত পাণ্ডুয়ার আমেদারগণের মধ্য হইতেই নিৰ্ব্বাচিত হইত। প্রধান কাজির পদ পাণ্ডুয়ার এক ভরি এ প্রভৃতি ভারতী । আসরফ, মাঘ, ১৩১৭ সন্ত্রাস্ত মুসলমান পরিবার বংশপরম্পরায় ভোগ করিয়া আসিতেন । সেই বংশের শেষ কাজির নাম-কাজি মহম্মদ মজহর । এক্ষণে পাণ্ডুয়ার সে পূৰ্ব্ব গৌৰব না থাকিলেও ইহা অন্তান্ত অনেক পল্লী অপেক্ষ। অনেকাংশে শ্রেষ্ঠ । এখানে একটা থান এবং মিউনিসিপালিটী আছে । বেল ওয়ে ষ্টেসন আছে । এবং সম্প্রতি একটী ইংবাজি বিদ্যালয় ও স্থাপিত হইয়াছে । পাণ্ডুয়াব নিকটে অনেকগুলি ছোট ছোট গ্রাম । মগু-–পাণ্ডুয়া হইতে চারি মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। ইঙ্গও পূৰ্ব্বে এক হিন্দু নৃপতিব রাজধানী ছিল। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি পাণ্ডুয়ারাজের সহিত মুসলমানদিগেব যুদ্ধের সময় ইনি র্তাহাকে যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছেন । এখান কবি প্রসিদ্ধ ‘জীবৎ কুণ্ড’ এখনও বর্তমান এবং অধিবাসিগণ প্রাচীন জনশ্রুতিব উপর বিশ্বাস স্থাপন কবিয়া ইঙ্গাকে এখন ও অন্তবের সহিত ভক্তি কবিয়া থাকে । শিবমন্দিব আছে । এষ্ট শিব জাগ্র ত দেবতা বলিয়াই কিম্বদন্তী । শিবরাত্রি উপলক্ষে সেখানে বৃহৎ মেলার অধিবেশন হয় । দ্বারবাসিনী – মণ্ড বা মহানাথ ইষ্টতে দুই ক্রোশ পূৰ্ব্ব-দক্ষিণ অবস্থিত। এই গ্রাম সম্বন্ধেও পূৰ্ব্বোক্তরূপ একটা গল্প প্রচলিত আছে । দ্বারবাসিনী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাশয় এ বিষয়ে যাহা চি থিয়াছেন আমরা এখানে তাহ অবিকল উদ্ধত করিয়া দিলাম— "মুসলমানের যখন বাংল। দেশ আক্রমণ কবেন সেই সময়ে সদৃগোপ জাতীয় কতিপয় এখানে একটা