পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । হিন্দুৰূপতি দ্বারবাসিনীর অধিপত্তি ছিলেন। এই বংশীয় শেষ নৃপতি দ্বারপল যখন রাজত্ব করিতেছিলেন সেই সময়ে মাহম্মদ আলি উঙ্গের রাজ্য আক্রমণ করেন। প্রথম যুদ্ধে হিন্দুরা জয়লাভ করে । কথিত আছে রাজৰাটর সন্নিকটেই যে পুষ্কৰিণী দেখিতে পাওয়া যায় পূর্বে ইহাকে ‘জীবং কুণ্ড’ বলিত । এই পুষ্করিণীতে অবগাহন করিলে শরীরের সমুদয় ক্ষত এবং আহত স্থান তৎক্ষণাৎ আবোগ্য লাভ করিত এবং আহত ব্যক্তি দ্বিগুণ বল লাভ করিয়া পূর্ণ উৎসাহে কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইত। একদিন সা জোকি নামক একটা মুসলমান স্নান করিবার কালে একখণ্ড গো মাংস গোপনে সেই কুণ্ড মধ্যে রাখিয়া আসে। গো মাংস স্পর্শে কুণ্ডর জল অপবিত্র হইয়া যায় এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে তাহার পূৰ্ব্ব শক্তি ও নষ্ট হয় । ইহার পর হইতে হিন্দুরা সে কুণ্ডে অবগাহন করিয়াও কোন সুফল লাভ করিত না । কাজেই দ্বিতীয় যুদ্ধে দ্বারপাল সম্পূর্ণ পরাজিত হন এবং রাজ প্রাসাদের মধ্যেই সপরিবারে চিন্তানলে প্রাণ বিসর্জন করেন । রাজ প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষকে এখানকার অধিবাসীর "ধনপতি বলিয়া পরিচয় দেয় ।” ‘জীবৎ কুও’ পুষ্করিণীর এক্ষণে আর সে শ্ৰী নাই । জল ও তেমন গভীর নহে ; ক্রমশই তাহা শুকাইয়া যাইতেছে। এই পুষ্করিণীর দক্ষিণে আর একটা বৃহৎ পুষ্করিণী আছে। এই পুষ্করিণীটির নাম ‘কামনা’। লোকের চয়ন–পাণ্ডুয়া । ህዎ¢ዓ বিশ্বাস এই পুষ্করিণীতে কামনান্নান করিলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। ‘জীবৎ কুণ্ড'র পূর্বপাশ্বে সা জোকির কবর ভূমি। পূৰ্ব্বোক্ত কয়েকট পুষ্করিণী ব্যতীত এখানে আরও কয়েকটা প্রসিদ্ধ পুষ্করিণী আছে, যথা–চন্দ্রকুপ,— পাপহরণ,-- সাত সতীন * ইত্যাদি । জনশ্রুতি আছে অনেক সময়ে মৃত্তিকা খনন করিতে করিতে এখানে পিস্তর ধনরত্ব এবং অনেক সময়ে প্রস্তরের বহু ভগ্ন প্রতিমূৰ্ত্তি ও পাওয়া গিয়াছে। প্রস্তর মূৰ্ত্তি এখনও পাওয়া যায় । দ্বারবাসিনীর অনেক স্থান এক্ষণে উত্তব পাড়ার জমিদার রাজা প্যারি মোহন মুখোপাধ্যায় মহাশয় কর্তৃক অধিকৃত । প্রাচীন নীলকুঠীব ধ্বংসাবশেষ গুলি দেখিলে স্বৰ্গীয় দীনবন্ধুর নীলদর্পণের কথা সহজেই মনে জাগিয় উঠে । পাণ্ডুয়ার স্তায় দ্বারবাসিনীতেও ম্যালেরিয়ার যথেষ্ট প্রকোপ আছে । বৈঁচী পাণ্ডুয়ার অতি সন্নিকটে আর একটা ছোট গ্রাম । গ্রাম্য জমিদারের মৃত্যুর পর তাহার বিধবা স্ত্রী জীবনসত্ব ভোগ করিতেন । হাব মৃত্যুর পরে ইহা গভর্ণমেণ্টের হাতে আসিয়াছে। দাতব্য কার্য্যের সঙ্কায়তা কল্পে গভর্ণমেণ্ট এক্ষণে বৈঁচী গ্রাম ট্রষ্ট সম্পত্তিরূপে রক্ষা করিতেছেন । বৈঁচীতে একটি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসস্তুপ আছে। তাহার গাত্র-ফলক হইতে জানা যায় এই মন্দির ১৬৯৪ শকাব্দীতে ইংরাজী ১৬৮৩ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে ! সে অাজ

  • দ্বারপালের সপ্ত স্ত্রীর নাম অনুসারে যে সাতটা পুষ্করিণী খনিত হইয়াছিল তাহাই সাত সঙ্গন, নৰে

প্রসিদ্ধ ।