পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bやめ কন্‌ষ্টান্টিনোপল আক্রমণ করিতে সাহসী হইয়াছিলেন। ইতিপূর্বেই তিনি সম্রাট ইমামুয়েলের নিকট হইতে উক্ত নগরের প্রান্তবত্তী স্থান সমূহ লইয়া মুসলমানের অধিকারভুক্ত করিয়াছিলেন এবং তখায় মসজিদ ও মুসলমান বিচারালয় স্থাপিত করিয়াছিলেন । অবশেষে তিনি রমের সুলতান অর্থাৎ গ্রীক ও রোমান সাম্রাজ্যের অধিপতি এই উপাধি গ্রহণ করিয়া মিশরের সুলতানকে তাহ স্বীকার করিতে পৰ্য্যস্ত বাধ্য করিয়াছিলেন ; এই সকল কারণে তিনি তৈমুরের চক্ষুশূল হইয়। উঠিয়াছিলেন । তাতারবার আসিয়া-মধ্যে উtহtয় প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর উচ্ছেদ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন । সেইজন্য তিনি খৃষ্টান রাজ ইমামুয়েলের পক্ষ লইয়া মুসলমান বাজায়েতের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্র। করিলেন । সমগ্ৰ তাতার সৈন্ত বাজায়েতের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্রবেগে যুদ্ধযাত্রা করিল। সকলেই প্রচুর লুণ্ঠনের আশায় উৎফুল্প, কেবল তৈমুর নীরবে চিস্তান্বিত পদে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। অনেকে মনে করিল বান্ধক্যের অবসাদ হেতু তিনি এরূপ বিষয় ; আবার অনেকে মনে করিল বাজায়েতের স্কায় বিজয়ী ধীয়ের সহিত যুদ্ধে জয়লাভের অtশা অল্প বলিয়াই তিনি এরূপ বিমর্ষ হইয়া আছেন। ষোদ্ধ পরিবেষ্টিত তৈমুরকে এক সেনাপতি সাহস করিয়া উহার এ fৰমর্যতার কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলিলেন —“আমার চিন্তার যtছ। কারণ তাই দূর করা তোমাদের পক্ষে অসম্ভব,—আমি ভাবিতেছি আমার অহচরগণের মধ্যে আমাদের নববিজিত সাম্রাজ্যের শাসনভার বহনক্ষম বাজায়েতের শূন্য সিংহাসনের উপযুক্ত কোন লোক আছে কি না।" এই আশাপূর্ণ উত্তরে তাতারগণের হৃদয়ে আবার সাহস আসিয়া দেখা দিল । তৈমুর প্রথমে কতকগুলি দূরবত্তী নগর অধিকার করির রাখিলেম, নচেৎ পরাজয় হইলে সসৈন্তে উহার শক্রমধ্যে আশ্রয়লাভ সম্ভব হইবে না । পম্পি ( Pompy ) যে রণক্ষেত্রে wiŵfwru,ïôHIw ( Mithridates) “|ŵtfsw; ভারতী । মাঘ, ১৩১৭ করিয়াছিলেন, এই উভয় বীরের বিরাটবাহিনী সেই পুণ্যক্ষেত্রে মিলিত হইল। তাতারের ধনুর্বিদ্যায় যেরূপ পারদর্শী, মুসলমানেরাও খড়গ চালনায় সেইরূপ সুনিপুণ জানিয়া তৈমুর দূর হইতে যুদ্ধ করাই স্থির করিলেন, কারণ তাহাতেই তিনি শক্র বিনাশ করিতে পারবেন, এবং তাহার নিজের সৈন্য নষ্ট হুইবার সম্ভাবনা থাকিবে ল । তদনুসারে তিfণ তাতারগণকে বলিয়া দিলেন তাহীরা যেন তীরের সাহায্যে শক্রকে নষ্ট করিতে পারে এরূপ দূরে অবস্থিত হইয়া যুদ্ধ আরম্ভ করে, এবং শরনিক্ষেপের পরমমুহূৰ্ত্তেই যেন তাহার। পলায়ন করে এবং পুনশ্চ শরযোজনা সম্পন্ন হইলে যেন ফিরিয়া শক্রকে আক্রমণ করে । ফলে তাতারের প্রধৰ অক্রেমণই অতি ভীষণ ও প্রবল হইয়া দাড়াইল । শরজালে আকাশ আচ্ছন্ন হইয় পড়িল এবং মুহূৰ্ত্তমধ্যে রণক্ষেত্ৰ মৃতদেহে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল । মুসলমানেরাও উন্মত্ততেজে মুক্ত আসি লইয়। তাতারগণের পশ্চাদ্ধাবন কfরল, ষে কোন দল তাহীদের প্রচণ্ড আক্রমণের সম্মুখে পড়িল তাহাই তৎক্ষণাৎ ছিন্ন ভিন্ন ও পরাস্ত হইতে লাগিল ; কিন্তু তৎক্ষণাৎ আবার বিজয়ী সৈন্তের প্রতি শল্পবৃষ্টি হইব। মাত্র, তাতারেরা পুনরায় তাহদের ভ্যক্তভূমি অধিকার করিতে লাগিল । উভয় পক্ষের দুই অসাধারণ অধিনায়ক অপূৰ্ব্ব কৌশলে সৈন্যপরিচালনা করিতে লাগিলেন । বহুক্ষণ ধরিয়া উভয় পঙ্গে রই জয় পরাজয় অনিশ্চিত রছিল, অবশেষে বিজয়লক্ষ্মী তৈমুরের প্রতিই প্রসন্ন হইলেন । বাজায়েতের সৈন্তমধ্যে কতকগুলি তাতার সৈনিক ছিল । তাহারা ভtহাদের স্বদেশীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে বিশেষ অসন্তোষ বোধ করিতেছিল। এক্ষণে তাহীদের স্বজাতির সর্ববথধান বীরের এরূপ পয়াজয়ে গোবরহানির ভয়ে তাহারা বাজায়েৎকে পরিত্যাগ করিয়া তৈমুরের পক্ষ লহল। জয়লাভের পক্ষে আর কোন দ্বিধা রছিল ন} : মুসলমান বাহিনী বহুধা বিচ্ছিন্ন ও বিশৃঙ্খল হইয়। পড়িল । এই সুযোগে তাতার আখরোধীর পলাতক