পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দশম সংখ্যা। মেরিব চোখ ছলছল করিয়া আসিল । সে শুধু ঘাড় নীড়িল ! আমি মেকির মুখে চুমা দিলাম । আমি কছিলাম, “মেরি একবাব ভগবানকে ডাক ।" সে কঠিল, “ন। মশায়,--দিনে দুপুরে লিনা কাজে তাকে ডাকতে নেষ্ট —স কালে সন্ধ্যায় তাকে ডাকতে হয় ! কাছে আমি প্রার্থনা করব ।” আমার সাবা চি হু অস্থিৰ হইয় উঠতেছিল ! এ কন্যা— এই মেরি—আমারি, আমারি সে বুকের ধন—হয়, তবু সে আমার নয়— আমি আজ কত দূবে চলিয়া গিয়াছি ! না, ন', যেমন করিয়া পাবি, তাকে বুঝাইব, আমি —তাব সেই “বাবা !” স্বর্গে নয়, নরকে নয়, মৰ্ত্তে— এই জেলের মধ্যে ফালিব জন্স প্রস্তু ত ইষ্টয়া বসিয়া রহিয়াছি ! আমি কহিলা”, “মেরি, তুমি চিনতে পাচ্ছন, আমিষ্ট তোমার বাবা ।” সন্ধ্যাবেল তাব ভংসনার স্বরে সে কহিল, “মশায়—” আমি কপিলাম, কেন মাণিক, অামাকে চিনতে পাচ্ছিনা ! দেখ, চেয়ে, দেখ,—সেই তোমাদেব গোলাপগাছ গুলার ধারে চাতালে বসে তোমাকে গল্প বলতুম –ক’ত পবীব গল্প, রাজার গল্প --” মেরির ছোট মুখখানি আমি বুকে চাপিয়া ধরিলাম ! মেবি কঙ্গিল, “আঃ, ছাড়ন, লাগে !” তপন তাঙ্গকে আমাৰ চাটুব উপর বসাষ্টয়৷ আমি বলিলাম, “তুমি পড়তে জানে ?” “জ্ঞানি !” অt:ম একখানা খবরের কাগজ টানিয়া 5ग्रन-ननौ । レペ92 একটা জায়গা ত’র সম্মুখে ধরিলাম, সে পড়িতে লাগিল,“প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত আসামী—” হঠাৎ সবলে আমি কাগজখান টানিয়া লইলাম—কাগজখানা তাব ধাত্রী কিনিয়াছিল —কাগজওয়ালার খুব বড় বড় অক্ষরে আমার নামের জয়ধ্বজ তুলিয়া দিয়াছে। ফাসির তামাসা দেখিবাৰ জন্ত লক্ষ দর্শককে সমারোহের সঙ্গিত বিজ্ঞাপন দিয়াছে ! আমার মনের ভাব অক্ষবে বুঝাইবার নয়! আমার সে রুক্ষ্ম শুষ্ক মূৰ্ত্তি দেখিয়া মেরি ভয়ে কাদিয়া উঠিল । সে বণিল, “দাও, আমার কাগজ দাও ! আমি জাঙ্কাজ করব!" ধাত্রীব হাতে কাগজ দিয়া আমি কষ্টি পাম, “একে নিয়ে যা ও —আর বাড়ীতে বলে -" মুথে ব কথা মুথেই রহিয়া গেল ! কি বলি,ব —জtfল না ! তবে পর জানালার ধাবে চেয়ারে বসিয়া পড়িলাম –চক্ষু মুদিয়া দুই হাতে মুখ ঢাকিলাম—মাথার মধ্যে সে সে করিয়া রক্তের স্রোত ছুটিয়াছে ! কোথায় তারা—যমালয়ের দুরষ্ঠ দূতগুলা ! আমুক তারা—আর কি ! জগতে আমাৰ কেহ নাই, কিছু নাই, জীবনে আমার স্পৃহা নাই ! যে শৃঙ্খণটি দ্বারা ইহলোকে ব সহিত বদ্ধ ছিলাম--আজ সে শুঙ্খল ও ছিন্ন হুইয়াছে —তবে আর কেন,—আর কেন – ? 8 x আচার্য্যের হৃদয়ে করুণ। আছে, কারাধ্যক্ষের প্রাণটাও পাষণে গঠিত নয় ! ধাত্রী যথন মেরিকে লষ্টয়া গেল, তখন তাদের ও চোখে জল আসিয়াছিল ! শেষ ! এখন সব শেষ ! শুধু সাহস, বল, —মৃত্যু ! পথে বিপুল জনত, ফাসিকাঠের