পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brb-R একেবারে অটল হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে ; কিন্তু তাকে জড়িয়ে জড়িয়ে তাকে আচ্ছন্ন করে যে লতাটি উঠেছে তাতে কি আমরা কোনো ফুল ফুটুতে দেখিনি ? দেখিনি কি কোথা ও শ্রী এবং শাস্তি, সৌন্দর্য্য এবং ঐশ্বৰ্য্য ? দেখ চিনে কি প্রাণের লাল, গতির নৃত্য, বৈচিত্র্যের অজস্রতা ? বিশ্বের নিয়ম সোজা হয়ে দাড়িয়ে নিজেকেই চরমরূপে প্রচার করচে না --একটি অনিৰ্ব্বচনীয়ের পবিচয় তাকে চারিদিকে আচ্ছন্ন কবে প্রকাশ পাচে । সেই জন্তেই, যে উপনিষং একবার বলেছেন, অমোঘ শাসনের ভয়ে যা কিছু সমস্ত চলেছে, তিনিই আবার বলেছেন “ মানন্দীদ্ধোর ঋত্বি মানি জায়ন্তে” আনন্দ থেকেই এষ্ট যা-কিছু সমস্ত জন্মাচে । মিনি আনন্দস্বরূপ মুক্ত, তিনিই নিয়মের বন্ধনের মধ্য দিয়ে দেশ কালে আপনাকে প্রকাশ করচেন । কবির মুক্ত আনন্দ আপনাকে প্রকাশ করবার বেলায় ছন্দের বাধন মানে । কিন্তু যে লোকের নিজের মনেব মধ্যে ভাবের উদ্বোধন হয়নি, সে বলে, এর মধ্যে আগাগোড় কেবল ছন্দের ব্যায়ামই দেখচি । সে নিয়ম দেখে, নৈপুণ্য দেখে, কেননা সেইটেই চোখে দেখা যায়—কিন্তু যাকে অন্তর দিয়ে দেখা যায় সেই রসকে সে বোঝে না—সে বলে রস কিছুই নেই সে মাথা নেড়ে বলচে, সমস্তই যন্ত্র, কেবল বৈজ্ঞানিক নিয়ম। কিন্তু ঐ যে কার উচ্ছসিত কণ্ঠ এমন নিতান্ত সহজ স্বরে বলে উঠেছে— রসে বৈ সঃ । কবির কাব্যে তিনি যে অনন্ত রস দেখতে পাচ্চেন। জগতের ভারতী । ফাল্গুন, ১৩১৭ নিয়ম ত তfর কাছে আপনার বন্ধনের রূপ দেখাচ্চে না, তিনি যে একেবারে নিয়মের চরমকে দেখে আনন্দে বলে উঠেছেন— * আনন্দাদ্ধোব খলিমানি ভূতানি জায়ন্তে ।” জগতে তিনি ভয়কে দেখ চেন না, আনন্দকেই দেপ চেন সেই জন্তেই বলচেন “আনন্দং ব্ৰহ্মণে বিদ্বান ন বিভেতি কুহশচন” ব্রহ্মের আনন্দকে যিনি সৰ্ব্বত্র জানতে পেরেছেন তিনি আর কিছুতেই ভয় পান না । এমনি কবে জগতে আনন্দকে দেখে প্রত্যক্ষ ভয়কে যিনি একেবারেই অস্বীকার করেছেন—তিনিই বলেছেন “মহা ভয়ং বড় মুদ্যতং বিদ্যুরমূভাস্তে ভবন্তি” এই এই উদ্যত বজকে যাবা জানেন তাদের আব

  • 四すべ

মহদুভয়কে মুতু্যুভয় থাকে না । যারা জেনেছে, ভয়ের মধ্য দিয়েই অভয়, নিয়মের মধ্য দিয়েই আনন্দ আপনাকে প্রকাশ করেন তারাই নিয়মকে পার হয়ে চলে গেছে । নিয়মের বন্ধন তাদের পক্ষে নেই যে তা নয় কিন্তু সে যে আনন্দেরষ্ট বন্ধন,–সে যে প্রেমিকের পক্ষে প্রিয়তমের ভুজবন্ধনের মত ; তাতে দুঃখ নেই, কোনো দুঃখ নেই। সকল বন্ধনই সে যে খুসি হয়ে গ্রহণ করে, কোনোটাকেই এড়াতে চায় না, কেননা সমস্ত বন্ধনের মধ্যেই সে যে আনন্দের নিবিড় স্পর্শ উপলব্ধি করতে থাকে। বস্তুত যেখানে নিয়ম নেই, যেখানে উচ্ছৃঙ্খল উন্মত্তত, সেইথানেই তাকে বাধে, তাকে মারে, সেইখানেই অসীমের সঙ্গে বিচ্ছেদ, পাপের যন্ত্রণা। প্রবৃত্তির আকর্ষণে সত্যের সুদৃঢ় নিয়মবন্ধন থেকে যখন সে স্থলত হয়ে পড়ে তখনি সে মাতার আলিঙ্গনত্রই