পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা । শিশুর মত কেঁদে উঠে বলে “ম মা হিংসীঃ,” আমাকে আঘাত কোবোন । সে বলে বাধো, আমাকে বাধো, তোমার নিয়মে আমাকে বাধো, অন্তবে বাধে, বাহিরে বাধো, আমাকে আচ্ছন্ন করে, আবৃত করে বেধে রাখে, কোথাও কিছু ফাক বেখোন— শক্ত করে ধর, তোমারই নিয়মেব বাহুপাশে বাধা পড়ে তোমাব আনন্দের সঙ্গে জড়িত হয়ে থাকি—আমাকে পাপের মৃত্যুবন্ধন থেকে টেনে নিয়ে তুমি দৃঢ় করে রক্ষা কর । নিয়মকে আনন্দের বিপরীত জ্ঞান ক’রে কেউ কেউ যেমন মংলামিকেই আনন্দ বলে ভুল করে তেমনি আমাদেব দেশে এমন লোক প্রায় দেখা যায় যfর কৰ্ম্মকে মুক্তির বিপবীত বলে কল্পনা করেন। তারা মনে কয়েন কৰ্ম্ম পদার্থ টা স্থল, ওটা আত্মার পক্ষে বন্ধন । কিন্তু এই কথা মনে রাখতে হবে নিয়মেই যেমন আনন্দের প্রকাশ, কয়েই তেমনি আত্মাব মুক্তি। আপনাৰ ভিতবেই আপনার প্রকাশ হতে পারে না বলেই আমণ বাহিবের নিয়মকে ইচ্ছা করে, তেমনি আপনার ভিতরেই আপনার মুক্তি হতে পারে না বলেই আত্মা মুক্তির জন্তে বাহিরের কৰ্ম্মকে চায়। মানুষের আত্ম কৰ্ম্মেই আপনার ভিতর থেকে আপনাকে মুক্ত কবচে, তাই যদি না হত তাহলে কখনই সে ইচ্ছা করে কয় করত না । মামুষ যতই কৰ্ম্ম কর৮ে ততই সে আপনার ভিতরকার অদৃষ্ঠকে দৃগু করে তুলচে, ততই যে আপনার স্বদূরবর্ভা অনাগতকে এগিয়ে নিয়ে আসচে। এই উপায়ে মানুষ আপনাকে কেবলি স্পষ্ট করে কৰ্ম্মযোগ । رئسرارا তুল্চে–মানুষ আপনার নানা কৰ্ম্মের মধ্যে রাষ্ট্রের মধ্যে সমাজের মধ্যে আপনাকেই নানাদিক থেকে দেথতে পাচে । এই দেখতে পাওয়াই মুক্তি । অন্ধকার মুক্তি নয়, অস্পষ্টত মুক্তি নয়। অস্পষ্টতার মত ভয়ঙ্কর বন্ধন নেই। অস্পষ্টতাকে ভেদ করে উঠবার জন্তেই বাজেব মধ্যে অস্কুরের চেষ্টা, কড়ির মধ্যে ফুলেব চেষ্টা । অস্পষ্টতাব আবরণকে ভেদ করে সুপরিস্ফুট হবার জন্তেই আমাদের চিত্তের ভিতরকার ভাববাশি বাইরে আকার গ্রহণের উপলক্ষ্য খুজে বেড়াচে । আমাদের অtযু ও অনিদিষ্ট তার কুহেলিকা থেকে আপনাকে মুক্ত কবে বাইরে আনবার জন্তেই কে বলি কৰ্ম্ম স্থষ্টি করচে । ধে কৰ্ম্মে তার কোনো প্রয়োজনই নেই, যা তার জীবনযাত্রার পক্ষে আবখ্যক নয় তাকে ও কেবলি সে তৈবি করে তুলচে । কেননা সে মুক্তি চায় । সে আপনার আস্ত ছিাদন থেকে মুক্তি চায়, সে আপনাব অরূপের আবরণ থেকে মুক্তি চায়। সে আপনাকে দেশতে চায়, পেতে চায়। ঝোপঝাড় কেটে সে যখন বাগান তৈবি কবে তখন কুৰূপ তার মধ্য থেকে সে যে সৌন্দৰ্য্যকে মুক্ত করে তোলে সে তার নিজেরই ভিতরকার সৌন্দৰ্য্য --বাইরে তাকে মুক্তি দিতে ন পারলে অস্তুবেও সে মুক্তি পায় না । সমাজের যথেচ্ছাচারের মধ্যে মুনিয়ম স্থাপন করে অকল্যাণেব বাধার ভিতর থেকে যে কল্যাণকে সে মুক্তি দান করে, সে তারই নিজেব ভিতরকার কল্যাণ—বাইরে তাকে মুক্তি দিতে ন পারলে অস্তরেও সে মুক্তিলাভ করেন। এমনি করে মানুষ নিজের শক্তিকে, সোঁনীয্যকে, মঙ্গলকে, নিজের