পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা । শক্তির উন্মত্ততা দেখন্তে পাই । তারা সমস্তকেই জোর করে কেড়ে নেবে, অঁাকৃড়ে ধরবে এই পণ করে বসে আছে— তারা কেবলই করবে, কোথাও এলে থামবে না, এই তাদেব জিদ–জীবনের কোনো জায়গাতেই তাব। মৃত্যুর সহজ স্থানটি.ক স্বীকার কবে না—সমাপ্তিকে তা বা সুন্দর বলে দেথতে জানেল । আমাদের দেশে ঠিক এর উণ্টে দিকে লিপদ । আমরা চিত্তেব ভিতবের লি কটাতেই ঋ"কে পড়েছি । শক্তির দিককে ব্যাপ্তিব দি ককে আমরা গাল দিয়ে পরি ত্যাগ কবতে চাই । ব্রহ্মকে ধ্যালের মধ্যে কেবল পরিসমাপ্তির দিক দিয়েই দেথ ব ঠাকে বিশ্বব্যাপারে নিত্য পবিণতির দিক দিয়ে দেখ ব না এষ্ট আমাদেব পণ। এইজন্ত আমাদের দেশে সাধকদের মধ্যে আধ্যাত্মিক উন্মত্ত তার দুৰ্গতি প্রায়ই দেখতে পাই । আমাদের বিশ্বাস কোনো নিয়মকে মানে না, আমাদের কল্পনাব কিছুতেই বাধা নেই, আমাদের আচারকে কোনো প্রকার মৃক্তির কাছে কিছুমাত্র জবাবদিহি করতে হয় না । আমাদের জ্ঞান বিশ্বপদার্থ থেকে ব্রহ্মকে অবচ্ছিন্ন কবে দেখবার ব্যর্থ প্রয়াস করতে কবতে শুকিয়ে পাথর হয়ে যায়, আমাদের হৃদয় কেবলমাত্র আপনার হৃদয়াবেগের মধ্যেই ভগবানকে অবরুদ্ধ করে ভোগ করবার চেষ্টায় রসোন্মত্ততায় মুছিত হয়ে পড়তে থাকে। শক্তির ক্ষেত্রে আমাদের জ্ঞান বিশ্বনিয়মের সঙ্গে কোনো কাববার রাখতে চায় না, স্থায় হয়ে বসে আপনাকে ই আপনি নিরীক্ষণ করতে চায়, আমাদের হৃদয়াবেগ বিশ্বদেবার একটা কৰ্ম্মযোগ । ԵԵ Գ মধ্যে ভগবং প্রমকে অ কার দান করতে চায় না, কেবল অশ্রু জলে আপনাব অঙ্গনে ধুলোয় লুটোপুট করতে ইচ্ছা করে । এতে যে আমাদেব মনুষ্যত্বের কতদূর বিকৃতি ও দুৰ্ব্বলতা ঘটে তা ও ইন করে দেখলার কোনো উপায় ও আমাদের ত্রিসীমানীয় রাপিনি – আমাদের সে দাড়িপাল্ল। অস্তুর বাঙ্গিরের সমস্ত সামঞ্জস্ত হারিয়ে ফেলেছে, তাই দিয়েই আমরা আমাদের ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম ইতিহাস পুবাণ সমাজ সভ্য তা সমস্তকে ও জন কবে নিশ্চি স্তু হয়ে থাকি, অর্ণব কোনো প্রকার ওজনের সঙ্গে মিলিয়ে নিখুঁতভাবে সত্য নির্ণয় করবার কোনো দরকারঈ দে পনে । কিন্তু আপ্যাত্মিকত অস্তুর বাঙ্গিরের মোগে আ প্ৰমত্ত । সত্যেব একদিকে নিয়ম, একদিকে আনন্দ । তবে এক দিকে ধ্বনিত হচ্চে ভয়াদস্তাগ্নিস্তপতি, আর একদিকে ধবনিত হচ্চে অনিন্দীদ্ধোব পদ্বিমানি ভূতান জায়স্তে । একদিকে বন্ধনকে ন মানলে অন্তদিকে মুক্তি পাবার ૮૬ાં নেই। ব্ৰহ্ম একদিকে আপনাব সত্যেব দ্বীব। বদ্ধ, আর একদিকে আপনার আনন্দেব দ্বারা মুক্ত। আমবাও সত্যের বন্ধনকে যখন সম্পূর্ণ স্বীকার করি তপনি মুক্তিব আনন্দকে সম্পূর্ণ লাভ করি । সে কেমনতর ? যেমন সেতারে তার বঁtধ । সে তারেব তার যথন একেবারে ঠিক সত্য করে বাধা হয়, সেই বন্ধনে স্বব: তত্ত্বের নিয়মেব যখন লেশমাত্র স্বলন না হয় তথন সেই তারে গান বাজে, এবং সেই গানের মুরের মধ্যেই সেতারের তার আপনাকে আপনি ছাড়িয়ে যায়, সে মুক্তি লাভ করতে থাকে। একদিকে সে নিয়মের