পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । কাজ করচে–আনন্দই তার কাজ, কাজই র্তার আনন্দ । বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অসংখ্য ক্রিয়াই র্তার আনন্দ্রেব গতি । কিন্তু সেই স্বাভাবিকতা আমাদের জন্মায় নি বলেই কাজের সঙ্গে আনন্দকে অlম বা ভাগ করে ফেলেছি। কাজের দিন আমাদের আনন্দের দিন নয় ; আনন্দ করতে যেদিন চাই সেদিন আমাদের ছুটি নিতে হয়। কেন না হতভাগ্য আমরা, কাজেব ভিতরেই আমরা ছুটি পাইনে। প্রবাহিত হওয়াব মধ্যেই নদী ছুটি পায়, শিখারূপে জলে ওঠার মধ্যেই আগুন ছুটি পায়, বাভাসে বিস্তীর্ণ হওয়ার মধ্যেই ফুলের গন্ধ ছুটি পায় – আপনার সমস্ত কৰ্ম্মের মধ্যেই আমরা তেমন করে ছুটি পাইনে। কৰ্ম্মের মধ্য দিয়ে আপনাকে ছেড়ে দিঠনে বলে, দান করিনে বলে কন্ম আমাদের চেপে রাখে । কিন্তু, হে আত্মদা, বিশ্বেব কৰ্ম্মে তোমার আনন্দমুক্তি প্রত্যক্ষ করে কম্মের ভিতর দিয়ে আমাদের আত্মা অ{গুনেব মত তোমার দিকেই জলে উঠক, নদীর মত তোমার অভিমুখেই প্রবাহিত হোকৃ, ফুলের গন্ধের মত তোমার মধ্যেই বিস্তীর্ণ হতে থাকৃ। জীবনকে তার সমস্ত মুখদুঃখ, সমস্ত ক্ষয় পূর্বণ, সমস্ত উত্থান পতনের মধ্য দিয়েও পরিপূর্ণ কবে ভালবাসতে পারি এমন বীৰ্য্য তুমি আমাদের মধ্যে দাও । তোমার এই বিশ্বকে পূর্ণশক্তিতে দেখি, পূর্ণশক্তিতে গুনি,পুর্ণশক্তিকে এখানে কাজ করি । জীবনে মুখ নেই বলে, হে জীবিতেশ্বর, তোমাকে অপবাদ দেব না । যে জীবন তুমি আমাকে দিয়েছ এই জীবনে পরিপূর্ণ করে আমি বচিব, বীরের মত একে আমি গ্রহণ করব কৰ্ম্মযোগ । b) సె) এবং দান করব এই তোমাব কাছে প্রার্থন। দুৰ্ব্বল চিত্তের সেই কল্পনাকে একেবারে দুর করে দিই যে কল্পন। সমস্ত কৰ্ম্ম থেকে বিযুক্ত একটা অtধারহীন আকারহীন বাস্তবতাহীন পদার্থকে ব্ৰহ্মানন্দ বলে মনে করে । কৰ্ম্মক্ষেত্রে মধ্যাহ স্থৰ্য্যালোকে তোমার আনন্দরূপকে প্রকাশমান দেখে হাটে ঘাটে মাঠে বাজারে সব্ব ত্ৰ যেন তোমার জয়ধ্বনি কবতে পারি। মাঠের মধ্যে কঠোর পরিশ্রমে কঠিন মাটি ভেঙে যেখানে চাষ চাষ করচে সেইখানেই তোমার আন দ শু্যামল শস্তে উচ্ছসিত হয়ে উঠচে ; যেখানেই জলাজঙ্গল গৰ্ত্তগাড়ীকে সরিয়ে ফেলে মানুষ আপনার বাসভূমিকে পরিচ্ছন্ন করে তুল্‌চে দেইখানেই পারিপাট্যের মধ্যে তোমার আনন্দ প্রকাশিত হয়ে পড়চে ; যেখানে স্বদেশের অভাব দূব করবাব জন্তে মামুধ অশ্রাস্ত কৰ্ম্মের মধ্যে আপনাকে অজস্র দান করচে সেইখানেই শ্রীসম্পদে তোমার আনন্দ বিস্তীর্ণ হয়ে যাচ্চে । যেখানে মামুষের ' জীবনের আনন্দ চিত্তেব আনন্দ কেবলি কৰ্ম্মে রূপ ধারণ করতে চেষ্টা করচে, সেখানে লে মহৎ, সেখানে সে প্রভু, সেখানে সে দুঃখকষ্টের ভয়ে দুৰ্ব্বল ক্ৰন্দনের মুরে নিজের অস্তিত্বকে কেবলি অভিশাপ দিচ্চে না । যেখানেই জীবনে মামুষের আনন্দ নেই, কৰ্ম্মে মামুষেব অনাস্থা সেইখানেই তোমার স্বাক্টতত্ত্ব যেন বাধা পেয়ে প্রতিহত হয়ে যাচ্চে, সেই খানেই নিখিলের প্রবেশদ্বার সঙ্কীর্ণ সেইখনেই যত সঙ্কোচ, যত অন্ধ সংস্কার, যত অমূলক বিভীষিকা, যত আধিব্যাধি এবং পরস্পরবিচ্ছিন্নতা । হে বিশ্বকৰ্ম্মণ, আজ আমরা তোমার