পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tూసి 8 নাই ! তবু খপর তো পাওয়া গেল, ফরাসডাঙ্গ কি এমন মস্ত সহর সেখানে তাদের সন্ধান—মিলিবে না ? স্ব প্রকাশ আসিয়া উৎফুল্ল চক্ষে তাহার পানে চাহিয়া দাড়াইয়া রহিল। রজনীনাথ কিছু পবে সাগ্ৰহ আনন্দে পুত্রকে বুকে টানিয়া লইয়৷ হঠাৎ অজস্র চুম্বনে তাছাকে অভিসিঞ্চিত করিয়া দিলেন, সুসংবাদের আনন্দ চাপিয়া রাখা কঠিন হইয়া উঠিয়ছিল । সুকুও বুঝিয়াছিল এ আদরটা ঠিক তাহার জন্ত নহে এর মধ্যে ভfহার দিদির প্রাপ্যই অধিকাংশ । জিজ্ঞাসা করিল “বাব দিদি ভাল আছে ?” রজনীনাথ চিঠিখান! আবার একবার পড়িতে পড়িতে উত্তর দিলেন “ভাল আছে।” “দিদি কি আর আসলেন। বাবা ?” পিতা শিখরিয়া উঠলেন বু:কব মধ্যে চলন্ত রক্তস্রোত সহসা একটা বাধা প্রাপ্ত হইয়া থমকিয়া গেল, কিন্তু তখনি জোর করিয়া মনকে উৎসাহিত করিবার চেষ্টা করিয়া বলিলেন, — আমি কাল ভোরেই তাকে আনতে যাবে ।’ সু প্রকাশ আনন্দে করতালি দিয়া উঠিল “ আর আমি ?” "তুমি তোমার মার কাছে থাকবে, দিদির জন্তে নতুন নতুন জিনিষ সৰ তৈরি করে রাখবে, দিদি এসে বলবে মুকু যেন বাঙ্গলার বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন্‌ হয়েচে ।” গেীরবে বালকের ললাট ও নেত্র প্রদীপ্ত হইয়া উঠিল। একটা শিল্পকাৰ্য্য লইয়া বসুমতী অনেকক্ষণ ধরিয়া আলোর কাছে ঝুকিয়া পড়িয়া নিবিষ্টচিত্তে সেলাই করিতেছিলেন, কিন্তু কাজ কিছুই অগ্রসর হইল না। আজকাল আঙ্গুগের মধ্যে স্থচ বিধিয়া যায়, চোখের ভিতর করকর করে, এমনি নানা রকম বাধায় আজ ভারতী । רצסיל,הsןף কাল শিল্পকুশল বসুমতীর সকল কাৰ্য্যই অসমাপ্ত পড়িয় থাকে, তথাপি সময় কাটাইবার একটা অবলম্বন তো চাই ৷ সবে মাত্র একটা ভুল করিয়া মনটা উত্যক্ত হইয়া উঠিয়াছে এমন সময় বাহিরে দুপ দীপ শব্দ স্ব প্রকাশের আগমন বাৰ্ত্ত ঘোষণা করিল। রজনীনাথেরও সাড়া পাইয়া বসুমতী হঠাৎ কাজের উপর অত্যন্ত মনঃসংযোগ করিয়া ফেলিলেন । স্বকু ঘরে ঢুকিয়াই বলিয়া উঠিল “ম মা, বাবা কাল সকালবেলাই দিদিকে আনতে যাবেন” সেলাইট বসুমতীর হাত হইতে ভূমে পড়িয়া গেল, বিদ্যুৎসঞ্চালিতের মতন স্বামীব পানে ফিরিলেন। রজনীনাথ ধারকণ্ঠে কহিলেন “আমি কাল ফরাসডাঙ্গায় যাবো।” “ফরাসডাঙ্গী ! কেন, সেখানে —” *ই্য সেখানে তীব আছে খপর পেয়েছি।” দাসীকে ডাকিয়া বসুমতী হরিরলুটের বন্দোবস্ত করিতে আদেশ দিলেন । ফরাসডাঙ্গায় গিয়া একজন ধনী মক্কেলের সাহায্যে তাহাদের অনেক অনুসন্ধান করিলেন, কিন্তু হেমেন্দ্রের বাসার সন্ধান কেহই অtনিতে পারিল না । কাজে কাজেই রজনীনাথতে সে রাত্রি সেইখানেই থাকিতে হইল । পরদিন ও অনুসন্ধান ব্যর্থ হইল । ঘরেও খপর লওয়া হইল, হেমেন্দ্র চৌধুরীকে কেহই চেনে না । হতাশ হইয়। রজনীনাথ ফিরিয়া চলিলেন । কলিকাতা ফিরিয়া যোগেশের সন্ধানে লক্ষ্মীপুরে যাইবেন স্থির করিলেন। ষ্টেশনে পৌছিয়া প্রবেশ পথের সম্মুখেই দেখিলেন যোগেশের বাহু অবলম্বনে প্রবেশ করিতেছে হেমেন্দ্র। অভাবনীয় সাক্ষাৎ! প্রথমটা দুইজনেই হতবুদ্ধি ইহয়া গেল, ७{<! -