পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা । এবং রজনীনাথ ও বিস্মিত হইয়া পড়িলেন। কিন্তু মুহূৰ্ত্ত মধ্যে সৰ্ব্বপ্রথমেই প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে যোগেশ আপনাকে সামলাইয়া লইয়া দুইহন্তে রজনীনাথেৰ পদধূলী মাথায় গ্রহণ করিয়া নিতান্ত সরলভাবে জিজ্ঞাসা কবিল “এথানে এসেছিলেন, কাজ ছিল ?” হেম যোগেশেষ আড়ালে আপনাকে একটুখানি ঢাকিয়া অল্পদুরেই দাড়াইয়া বহিল, সন্মুখেও আসিল না প্রণাম পৰ্য্যন্ত করিল না । বজনীনাথ উত্তর করিলেন “হ্য কাজেই এসেছি, তবে সে কাজ এখন ও আমার বাকি রয়েছে, যোগেশ ! শান্তিব কাছে আমায় নিয়ে চলে, আমি বাড়ির সন্ধান করতে না পেয়ে ফিরছিলুম।” যোগেশ হেমেন্দ্রের দিকে চকিত কটাক্ষনিক্ষেপ করিল, দেখিল তাহার মুগ ঈর্ষার বিদ্বেষে বিবর্ণ হইয়া উঠিয়াছে, কি একটা বলিবার জন্য অপর কম্পিত হষ্টতেছিল । ঈঙ্গিতে যোগেশ তাহাকে নিবৃত্ত কবিয়া তৎক্ষণাৎ বলিল “বেশতো আমুন না, আপনি না এলে জামিই বোধ হয় কাল আপনাব ওখানে যে তুম। —দাড়ান একটা গাড়ি ঠিক করি”—যোগেশ গাড়ি ডাকিতে একটু অগ্রসর হইয়া গেল, তাঙ্গার অনুসরণ করিয়া হেমেন্দ্র বিরক্তির স্বরে বলিল “যোগেশ তোমার মতলবট কি ? ওকে কেন তুমি নিয়ে যেতে রাজি হলে ? কি তেজ দেথেচ ? আমাকে দৃকপাত ও নেই, যেন দেখতেই পেলেন না ! মনে করেছেন মেয়ে নিয়ে যাবেন, দিচ্চি তাই নিয়ে যেতে !” যোগেশ মৃদুস্বরে বাধা দিল থামো না, লোকটাকে চটিয়ে কি হবে ? দেখনা সহজেই কাজ সারা যাবে এখন, তবে আমার ওপোর যদি নির্ভর করে তো তুমি একটিও কথা পোষ্যপুত্র। br篇の কয়োন, আর যদি পারতে ভাল ব্যবস্থারই করে ।” হেম যোগেশেব ক্রীড়াপুত্তলিকা হইয়া দাড়াইয়াছিল, সে তাহাকে যেমন গড়িতেছে শিব বা বানব সে নিৰ্ব্বিবাদে তাহ চাইতেষ্ট প্রস্তু ত আছে । সে সম্মত চাইল । গাড়ি আসিলে প্রথমেই রজনীনাথ উঠিযা বসিলেন, হেমেব দিকে না চাহিয়াই বলিলেন “এলো যোগেশ ।” যোগেশের ইঙ্গিতে ষ্টেম সন্মুথে আসিয়া প্রণাম করিল। যোগেশ ও হেম গাড়িতে উঠিলে মুমূর্ষ প্রায় অশ্বদ্বয় চাবুকাঘাতে জর্জরিত হই। মন্দগতিতে চলিতে আরম্ভ কবিল । পথ অনেকট। দীর্ঘ, অশ্বের গতি অত্যন্ত মন্থব, সময় লাগিল অনেক । পথের মধ্যে যোগেশ বলিল ; “ আপনার কাছে যাবে। বলছিলুম এইজন্তে যে ৰোঠাকরুণের মাথাটা যেন দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্চে তাই ছোটবাবু বড় ভয় পেয়েছেন । এষ্ট আiজই তিনিই আমায় বলছিলেন আমি হঠাৎ রাগেব মাথায় বড়ই গৰ্হিত কাজ করে ফেলেচি, এখন কি করবে। ভেবে পাচ্চি না, কেমন করেই বা ওঁদের কাছে মুখ দেখাই, তাছাড়া তোমার বৌঠাকরুণেরও যে কি হয়েচে সে কিছুতেই লক্ষ্মীপুরে বা কলকাতায় যেতে চায় না । জোর কবে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে বলে ট্রেণের তলায় পড়ে ম বো, তুমি কিছু উপায় করে। তা দেখুন এর আর আমি কি করবো ? আমার সামান্ত বুদ্ধিতে মনে হোল এই যে আপনাকে আমি গিয়ে সব বলি। আপনি যখন নিজেই এসেছেন তথন আর কথাই কি ? আমরা নিশ্চিন্ত চলুম আপনি তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিয়ে যান।”