পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা । আমার কোন আপত্তি নেই—“গমরনিপুণ সেনাপতি যেমন তাহাব দৃঢ় বৰ্ম্ম ছাদিত বক্ষে সহ সা একট। জলগু েগাগার আঘাত পাঠলে সম্পূর্ণ প্রস্তু ত থাকা সত্ত্বে ও অ কৰ্ম্মং বেদনাত্রস্ত হইয় উঠে সেই রূপ আশাহত ভাবে রজনীনাথ দ্রুত পদে বাড়ি চ ষ্টতে বাহির হইয়। গেলেন । যোগেশ ও ঠাহাব অটুলবণ করিল । হেমেঞ্জকে আসিতে ইঙ্গি ত কবিলে ও সে গেল না। নিকটে গিয়া যোগেশ তাহাব ভূতাঙ্গতের মত বিকৃত মুখে ব দিকে চাহিয়৷ একটু যেন চমকিয়া উঠিল একটু যেন অনুতপ্ত ও হইয়া উঠিয়াছিল, কিন্তু স্ব: ভাবিক স্বার্থপবতা করুণাকে সৰ্ব্বদা প বাজয় করিয়া থাকে, এ ক্ষেত্রে ও অমুরের জয় চ ষ্টল। হেমেন্দ্র শ্ব গুরের সহিত 'মলিত হইলে মোকৰ্দমটি বাধে ন}, তাঙ্ক না বাধিলে ও যোগেশ মে তাহরি ভঙ্গি: বাড়ি মেবাম ত কবিয়া দ্বি হল গৃহ আরম্ভ করিয়া দিয়াছে তাহ অসমাপ্তষ্ট থাকিয়! যায়, সেজবধুৰ কোমবেব পিছ ও ডায়ম গু কাটা তাবিজ পাবার সাধ ও অপু ! থাকে । ষোগেশ শুমি কাস্তুের দ্যায় রজনানাথকে ও তাহার স্বার্থসিদ্ধির কল প্রস্তুতের লোভে সঙ্গে .حه আসিয়াছিল । আসিয়া কুষ্টি তভাবে কহিল – “ আমার মাপ ক বলেন,WikitanvirBot (আলাপ)নিজে একবার তার সঙ্গে দেখা কবলেই ভাল হতে না,হেম যদি ঠিক না বুঝতে পেবে থাকে। তা ছাড়া যদি অভিমান কবেই কিছু বলে থাকেন, আপনারই ত সস্থান —” রজনীনাথ দাড়াইলেন, তাহার দুই চক্ষু প্রদীপ্ত হইয়। উঠিল “ আমার সস্তান ? ন। অামার স স্থান হলে আমায় অপমান করে ফিরিয়ে দিতে পারত না, এ আমি কাকে খুঁজতে কোথায় এসে পড়েছিলাম। আমার VG পোষ্যপুত্র। br為" সস্থান কাকে বলচে যোগেশ ! যে আমায় চেনে না সে আমার সস্তান ? न ” । রজনীনাথ একরকম প্রায় ছুটয়াই গাড়িতে উঠয়। বসলেন, ডাকিয়া বলিলেন “ষ্টেশন চলে, হঁ। কাও”। হতবুদ্ধি যোগেশ দাড়াইয়া রহিল, বুঝিল সবাই খামাকান্ত নছে । হেমেন্দ্র যখন সেই জনহীন প্রায় নিস্তব্ধ বাড়ীতে প্রবেশ করিল, তাহাব দুই চোখে যেন একটা অt গুনে ব হস্ক। বাহিব হইতেছিল । তাঙ্গার ওষ্ঠে নিঠুৰ মৃহ হাসি অত্যন্ত গৌরবেব ভাবে ফুটয় উঠিয় তাহার সুন্দর চেহারাখানাকে উপাখ্যানবর্ণিত দৈত্যের মতন ভয়ানক করিয়া তুলিয়াছিল। সেদিন কার অপমানের প্রতিশোধ সে যে অক্ষবে অক্ষরে মিলাইয়। লক্টতে পারিয়াছে তাহার জন্ত যোগেশকে ও নিজেকে মনে মনে ধন্যবাদ দিল । শ্বশুবের সম্মুখে মনট। এখন ও সঙ্কুচি ত হইয়া আইসে বটে কিন্তু তথাপি সে পৌরুষেব সাহায্যে সেই দুৰ্ব্বলতার হাত হইতে আত্মবক্ষণ করিতে পাবিয়াছে । পশ্চিম দিকের ছোট ঘরখানায় তক্তপোষের উপরে মলিন শয্যায় স্নান ছায়া থানির মতন শাস্তি শয়ন করিয়া আছে । সন্ধ্যার পূৰ্ব্বেই ঘর কনকনে হইয়া উঠিয়াছিল, জু একদিন বোধ হয় মেঝে ; বাট পড়ে নাই । হেমেন্দ্র দ্বারের নিকট দাড়াইয়া বলিল “আমি মনে করচি একবাব আজ কলকাতা যাবে। কাহা তক অার এই লনের মধ্যে পড়ে থাকি । তোমার অমুখ ত কমই আছে ?” শাস্থি দেওয়ালের দিক হইতে মুখ ফিবাইল “আমি ? আমি ভালই আছি—বাইরে কে এলো ?