পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা । তখন একপক্ষ পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিত অপর পক্ষ তাহাদের শিবিরে প্রবেশ করিয়া যাহা কিছু মূল্যবান তাহ আত্মসাৎ করিত এবং অন্তান্ত সমস্ত জিনিস লণ্ডভণ্ড করিয়া শিবিরে আগুন লাগাইয় দিত। বড় বড় যোদ্ধাগণ সমরক্ষেত্রে যাইবার পূৰ্ব্বে স্ত্রীর নিকট যে ভাবে বিদায় লইয়া থাকেন, জাপানে থেলিবার যুদ্ধে যাইবার প্রাক্কালে ও থোকা তেমনি ভাবে খুকীর নিকট বিদায় লইতেছে। খুকী ও বিমৰ্ষভাবে বিদায় দিতেছে । খোকার যুদ্ধযাত্র । থোকাদের এই নকল যুদ্ধ স্বশৃঙ্খলন্ধপে নিম্পন্ন করিবার জন্ত দুই পক্ষেই দুই একজন বয়ো প্রাপ্ত ব্যক্তি নেতা হন । এইরূপ খেলায় ছোট বড় সকলেই উৎসাহ দিয়া জাপানের থেলা । సెe থাকেন। কিণ্ডার গার্টেন হইতে কলেজ পর্য্যস্ত সকল প্রকার বিদ্যালয়েই—থেলার চর্চ বড় বেশী । লাঠিখেলী, বন্দুকচালান, তরওয়ালভাজা মধ,স্কুলে রীতিমত শিক্ষা দেওয়া হয়। মধ্যস্কুলে উত্তীর্ণ যে কোন ছেলে তিন মাস অভ্যাসের পর উপযুক্ত যোদ্ধার দ্যায় যে কোন যুদ্ধে রণকৌশল দেখাইতে সক্ষম | বালিকা বিদ্যালয়েও অনেক রকম খেলা শিক্ষা দেওয়া হয়, স্তাণ্ডে, মৃত্য, গীত, বাদ্য ইত্যাদি মেয়েদের নিত্য শিক্ষণীয়। তাহাদের নৃত্যকেও এক প্রকার কাওয়াজ বলিতে হইবে, অনেক শিক্ষিত মেয়েকেও তরওয়াল খেলিতে দেখিয়াছি। আজ কাল ইউবোপ আমেরিকায় অনেকে জাপানী মাষ্টারের সাহায্যে জিউজুৎসু শিক্ষা করিয়া থাকেন। মার্কিণ রাজ্যের কৰ্ম্মধার ভূতপূৰ্ব্ব প্রেসিডেন্ট রুজবেণ্ট স্বয়ং এবং, তাহার পরিবারস্থ অনেকে প্রতিদিন জিউজুংমু অ ভ্যাস কবিয়া থাকেন । বোধ হয় এ খেল৷ সম্বন্ধে পাঠকগণ অনেকেই বি’দত আছেন । ইহাতে শক্তির চেয়ে কৌশলের অধিক আবখ্যক । দুৰ্ব্বল ব্যক্তি কৌশলে স্থলকায় শক্তিশালীকে অনায়াসে ভূতলে নিক্ষেপ করিতে পারে। জিউজুংমুর ইতিহাসে দেখা যায় জনৈক জিউজুৎসুনিপুণ জাপানী রমণী সতীত্বনাশে উদ্যত এগার জন পরাক্রান্ত দম্যকে একে একে পরাস্ত করিয়া সসম্মানে উহাদের হস্ত হইতে অব্যাহতি পাইয়াছিলেন । জাপানী স্কুল কলেজে প্রতি বৎসর হেমন্ত এবং বসন্তকালে ছেলে মেয়েদের ক্রীড়া (Sport) প্রদর্শিত হইয়া থাকে। লে ক্রীড়া প্রভূত