পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ふぇや তাহার ভূয়সী প্রশংসা করিয়া তানপুরায় মুর বাধিলেন । বালক বসিয়াই রছিল, কিছুতেই তাহার কণ্ঠ হইতে গান নির্গত হইল না । হতাশ হুইয়া ওস্তাদ ঘুণীয় বালককে পদাঘাতে ধরাশায়ী করিবামাত্র বালক অতি সুমিষ্ট গানে সভামৃদ্ধ সকলকে মোহিত করিয়া দিল । হায় ! ওস্তাদ জানিত না, এবং থেদি বালক ও জানিত না যে গানের সহিত ধরাশয়নও অভ্যস্ত হইয়। গিয়াছে ! যে অভ্যাস বাহা বস্তু লইয়া ও যাহা আমাদের শরীর ও ইন্দ্রিয়াদির প্রক্রিয়ার মূল, তাছা আয়াসে পরিত্যাগ করা যাইতে পারে ; কিন্তু যে অভ্যাস আমাদের অন্তরিদিয়ের উপর প্রভাব বিস্তার করে, তাহার প্রভাব শুদ্ধ আমাদেরই উপর নহে,অধস্তন বংশধরগণের ও উপর বিস্তু ত হয় । এই অt ভ্যস্তরীন অভ্যাসবশতঃ অতি নিম্ন শ্রেণী হইতে ক্রমবিকাশে উন্নত মুগঠিত মানবের স্বষ্টি হইয়াছে দেখা যায়। এ বিষয় পরে আলোচিত হইবে । কখন কখন প্রকৃতি আ ভ্যাসের অমুকুলত৷ সাধন করে, তখন অভ্যাসই দ্বিতীয় প্রকৃতি বা স্বভাব হইয়া দাড়ায়। ইহার দৃষ্টাস্ত দুই একটি আমাদের শরীরেই বর্তমান । আমি ব৷ লিখিবার সময় ও অন্ত কাৰ্য্য নিম্পন্ন কারবার জন্ত প্রায় দক্ষিণ হস্তই ব্যবহার করিয়া থাকি । এমন কি লেখার বিষয়ে দক্ষিণ হস্তের ব্যবহার যেন স্বাভাবিক হইয়া পড়িয়াছে। কিন্তু উহা অভ্যাসমূলক মাত্র। বাহাদের দক্ষিণ হস্ত কোন কারণে অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়িয়াছে তাহার বাম হস্তে অতি উত্তম দ্রুত লিখিতে অভ্যাস করিয়াছেন, দেখা ষায় । বালককে প্রথমেই দক্ষিণ হস্তে লিখিবার শিক্ষা ভারতী । ফাল্গুন, ১৩১৭ দেওয়া হয়। এই প্রথার সুবিধা অনেক, প্রকৃতি এ বিষয়ে অমুকুল এবং পিতৃপিতামহাদি পুরুষাঙ্কু ক্রমে ঐ দক্ষিণ হস্তের ব্যবহার অভ্যাস করা নিবন্ধন বালকের দক্ষিণ হস্তে লিখন অভ্যাস করা বামহস্ত অপেক্ষ সুসাধ্য ইষ্টয়াছে। ক্রমশঃ দেখা যাইতেছে যে মানব শক্ত কয্যে দক্ষিণ হস্ত ব্যবহার করে বলিয়া ঐ ইস্তের মাংসপেশী বামহস্ত অপেক্ষ অধিক বলবান ও শক্ত হইয়া পড়িতেছে । অভ্যাস অভ্যস্তরীণ পরিবর্তন আনয়ন করিয়া ক্রমশঃ এমন রূপ। স্তর ঘটা ষ্টতে পারে যে বামহস্তের মাংসপেশী জন্মাবধিই ( দ্রুণাবস্থাতেই ) ক্ষীণ ও অকৰ্ম্মণ্য হইয় পড়তে পাবে । আধুনিক প্রাণতত্ত্ববিদের স্থির করিয়াছেন যে এই অ ভ্যাসের বলেই মানবের পুচ্ছহীনতা ও পদদ্বয় হইতে হস্ত দ্বয়েব বিভিন্নত ঘটিয়াছে । অন ভ্যাসের বলে ও অব্যবহাবের অভ্যাসে পুরুষানুক্রমে আমাদের উক্ত দ্বিাবধ কায়িক পরিবর্তন ঘটিয়াছে । এই রূপে ক্রমশঃ হয়ত সভ্য জগতে মালবের বা মহন্ত একটা অকৰ্ম্মণ্য কিন্তু তাক মাকার প্রত্যঙ্গে পরিণত হইয়া অবশেষে লোপ পাচতে পারে। পূৰ্ব্বে যে মানবের পুচ্ছ ছিল তাহাব নিদর্শন খান কয়েক অস্থি মাত্র আজি ও নরকঙ্কালে দৃষ্ট হয়। অভ্যাসের আর এক দৃষ্টান্ত আমাদের দাড়াইয়। দুই পায়ে চলা । প্রাণীর মধ্যে এক জাতীয় মৰ্কট ( Gorilla ) কেবগ মধ্যে মধ্যে ঐ রূপ ভাবে সোজ৷ ইহঁয়া চলয় থাকে । এখনও অভ্যাসের প্রভাব আমাদের উপর সম্পূর্ণ আধিপত্য স্থাপন করিতে পারে নাই – মানবশিশু জন্মিয়াই দাড়াইতে পারে না । ক্রমশঃ তাহার সে অভাবও দুরীভূত হইবার