পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

、b" স্থলচর জন্তু পুচ্ছের ব্যবহার করিতে থাকে, তাহা হইলে সেই অভ্যাসের বলে তাহার পুচ্ছের আকৃতি ও গঠন বিভিন্নতা প্রাপ্ত হইয়া দৃঢ়, লোমশ ও মাংসল হইয়া পড়ে। যথা শৃগাল প্রভৃতি। অধ্যাপক চেকেল ঠহার Evolution of Man নামক সুবিখ্যাত পুস্তকে বহু গবেষণার ফল লিপিবদ্ধ কবিয়া এষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন যে, মানব দ্রুণাবস্থ অবিস্ত কবিয়া পরিপর অবস্থাদ ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত যে সমস্ত পবিবর্তনের হইতে ভারতী । ফfন্ধন, ১৩১ ৷ মধ্য দিয়া যtয়, তাহাতে সে যে অতি নিম্ন প্রাণী হইতে ক্রমে উদ্ভূত হইয়াছে তাহ স্পষ্টই বুঝতে পারা যায়। গর্ভে উহার এক এক অবস্থা, কোন না কোন নিম্ন তর প্রাণীর গর্ভাবস্থার সহিত একে পারে মিলিয়া থাকে। এ বিষয় বাবা সুবে আলোচিত হইবে । এরূপ যুক্তি ও প্রত্যক্ষ প্রমাণ প্রয়োগ করিয়াছেন যে ক্র বিকাশবাদ অব সন্দেহু করিলার যে নাই । ইহার মূলে অভ্যাস ও বংশানুগত্য এই দুইটি নিয়ম বিদ্যমান । শ্রীশরচ্চন্দ্র ভট্টাচার্য্য । মহর্ষি রুদ্র অতি পুবাকালে, মানব-সভ্যতার সেই আদিম অবস্থায়, মানবজাতির আদি গুরু ঋষিগণ মনুযুত্বের দিব্যবীজ মানসক্ষেত্রে বপন করিয়া অঙ্কুবিত করবার জন্ত যখন ত{হাতে তপস্থার সলিল সেচল করিতেছিলেন ; মমুয্য:স্তৃত্ব সেই নবশক্তির সাধনা, সভ্যতার বিচিত্র কোলাঙ্গলের অবিত্তে ঘূর্ণিত না হইয়া, স্বভাবেৰ পথে, সহজে তাহাব চরম লক্ষ্যে ব সান্নিধ্য লাভে যাপন সক্ষম হইয়াছিল, সেই সময়ে এ দেশে পশ্চিম অঞ্চলে রুদ্র নামে এক দোর্দণ্ড প্রতাপ দ স্থ্য বাস করিত । কত শত নিরপরাধ পথিক যে এই দম্যর হস্তে প্রাণ হারাইয়াছে, তাহার সংখ্যা করা যায় না । ইহার নাম শ্রবণমাত্র দেশবাসী সকলেই মৃং পরোনাস্তি ভীত হইয়া উঠিত । এই দস্থ্যর সপ্তবর্ষ বয়স্ক একটি পুত্র ছিল। ধস্থ্য তাহাকে অত্যস্ত ভালবাসিত । পুত্র স্নেহ ব্যতীত দহ্ল্যর পাষাণ হৃদয়ে অদ্য কোনো কোমল বৃত্তির লেশমাত্র দেখা যাইত না । একদিন মধ্যাহ্নকালে বাড়ী ফিরিবার সময়ে দম্য দেখিল যে জঙ্গলের ধারে এক প্রকাও ব{{স তাহাব সেই প্রিয়পু ত্রকে আক্রমণ কবিয়া নথদস্তাঘাতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করিতেছে । দেখিয়া দস্যব প্রাণ অত্যস্ত ব্যাকুল হইয়া উঠি ল এবং পুত্রের প্রাণরক্ষার জষ্ঠ তৎক্ষণtং সে লম্ফ প্রদান পুৰ্ব্বক ব্যান্ত্রেব সম্মুপে গিয়া উপস্থিত হইল। দস্থা অত্যন্ত বলশালী ছিল । সুতরাং তাহার আক্রমণ সহ করিতে না পারিয়া ব্যাস, শিশুকে পরিত্যাগ কবিয়া, প্রবল বেগে দম্যকে আক্রমণ করিল । দম্য ও স্বীয় বাহুবলে সেই ভীষণ অা ক্রমণের লেগ প্রতিহত করিয়া ব্যাঘ্রকে একেবাবে ভূতলশায়ী করিয়া ফেলিল । আর কিয়ংক্ষণের মধ্যেই দম্য সেই ব্যাঘ্রকে নিশ্চয়ই যমালয়ে প্রেরণ করিতে পারিত, কিন্তু