পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা । এক বিখ্যাত মন্দির । অনেক সময় স্ত্রীলোকে পূর্ণ দেখিতে পাওয়া যায়। বৃদ্ধার সংখ্যাই অধিক । সকলেই ভক্তি গদগদ চিত্তে হাত জোড় করিয়া নিবিষ্ট মনে পুরোহিত মহাশয়ের উচ্চারিত মন্ত্র শ্রবণ করিতেছেন । বলা বাহুল্য ঐ মন্ত্র স্ত্রীলোকদের কেন আধুনিক শিক্ষিত ব্যক্তিদের পক্ষেও বুঝিয়া উঠা মুস্কিল ; যেহেতু উহ! পালি এবং দুৰ্ব্বোধ্য প্রাচীন জাপানী, কোরিয়ান এবং চীনা ভাষার সংমিশ্রণ। অনেক দিন কলেজের জাপানী বন্ধুদের সহিত আমি মন্দিরে গিয়৷ দেখিয়াছি ইহারাও সে মন্ত্র বোঝেন না । বুদ্ধারা বুদ্ধদেবের সম্মুখস্থ অগ্নিপাত্রে ধূপ ধূনা নিক্ষেপ করিতেছেন, কেহ বা মোমের বাতি জ্বালাইতেছেন । কেহ কেহ পাইনবৃক্ষের পল্লব, পুষ্প বিশেষতঃ পদ্মফুল ফলমূল, এবং নানারূপ মিষ্ট দ্রব্যে অর্ঘ্য প্রদান করিতেছেন। এবং মাঝে মাঝে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণিপাত করিয়া অস্পষ্টস্বরে কি বলিতেছেন । অনেকেই জানেন যে জাপানীদের নাক চেপট । ধৰ্ম্মমন্দিরের স্থানে স্থানে বুদ্ধদেবের যে মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত অনেককে তাহার নাকের সহিত নিজ নিজ নাক স্পর্শ করাইতে দেখিয়াছি । তাৎপৰ্য্য জিজ্ঞাসা করায় বৃদ্ধাদের নিকট শুনিয়াছি সমুন্নত নাকের প্রত্যাশায় প্রাচীন কাল হইতেই জাপানীরা এইরূপ করিয়া আসিতেছে । ফলতঃ এই দাড়াইয়াছে যে ঘষিতে ঘষিতে বুদ্ধদেবের নাক একেবারে লোপ পাইয়াছে। এই মন্দিরের অনতিদূরেই জুনিকাই অর্থাৎ বারতাল উচ্চ স্তম্ভের গুণয় সঙ্কীর্ণ দালান বিশেষ ! উহার উপর উঠিলে দূরবীক্ষণের সাহায্যে জাপানের সহয় । ¢ፃ © তোকিও দেখায় । হিরিয়া পার্কের বিপরীত দিকে সম্রাটের বাড়ীর অপর পাশ্বে কুদান পার্ক অবস্থিত । কুদান পার্কের ভিতর একটী মিউজিয়ম আছে । এখানে গত রুষ জাপান এবং চীন জাপান-যুদ্ধে লব্ধ বন্দুক, কামান, তরবারি এমন কি সেনাপতির খাট ও বিছানাপত্র সৰ্ব্বসাধারণকে দেখাইবার জন্ত সুন্দরভাবে সজ্জিত রহিয়াছে। পার্কের ভিতর প্রসিদ্ধ শিন্তে মন্দির । প্রতি বৎসর এপ্রিল মাসে এই মন্দিরে মৃত সৈনিক পুরুষদের বার্ষিক শ্রাদ্ধউৎসব হইয়া থাকে স্বয়ং সম্রাট সেনাপতিগণ সহ উপস্থিত থাকিয়া প্রথম দিন ক্রিয়া আরম্ভ করেন । তিন দিনে এই ব্যাপার শেষ হয়। দিবসত্রয় প্রাতঃকাল হইতে রাত্রি ১২ট পৰ্য্যস্ত সেই লোক-সমুদ্রে একবার শরীর ঢালিয়া দিলে যেন পদ-সঞ্চালনের দরকার হয় না ; অনায়াসে পার্কের একপ্রাস্ত হইতে অপর প্রান্তে চলিয়া যাওয়া যায়। সে তিন দিন তথায় সার্কাস, থিয়েটার প্রভৃতির অবধি নাই। রাত্রে আতস বাজীর মহা ধুম । শোকে অভিভূত হওয়া জাপানে কাপুরুষতার লক্ষণ । মৃতব্যক্তির সদগতির জন্ত শ্ৰাদ্ধ দিনে বিশেষতঃ সৈনিকের শ্রাদ্ধে তাছার আমোদ উৎসব করিয়া থাকে । এ সম্বন্ধে অন্ত কোন সময়ে বিস্তারিত লিখিবার ইচ্ছা রহিল । শিন্তে৷ মন্দিরের পশ্চাৎভাগে অন্তান্ত পার্কের দ্যায় এ পার্কেও পুকুর ফোয়ারা, কুঞ্জবন প্রভৃতি श८थठेझे श्रांcछ् । এই কয়েকটা উল্লেখযোগ্য পার্ক ছাড়া আরও ছোট ছোট পার্ক যথেষ্ট আছে। সহরের দৃশু অতি বিশাল