পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●ዓ8 অনেক ভদ্রলোকের বাগানগুলিও কতকটা পার্কের অনুকরণে রচিত। তোকিও সহরের উশিগোম অঞ্চলে বোটানিকাল গার্ডেন আছে । জাপানের সহর গ্রাম সকলই গাছপালায় সজ্জিত বলিয়া সৰ্ব্বত্রই যেন লোটানিকাল গার্ডেন। উশিগোমেব বোটানিকাল গার্ডেন, আমাদের শিবপুরের বোটানিকাল গার্ডেনের চেয়ে অনেক ছোট। আশচর্য্যের বিষয় জাপানের ছাত্রগণ এমন কি মেয়েরা এবং সাধারণ লোক পৰ্য্যস্ত অনেকে সাধারণ গাছ পালার বোটানিকাল শ্রেণী বিভাগ বেশ বুঝিতে পাৰে । উয়েনো পার্কের ভিতর যে যাদুঘবের কথার উল্লেখ করিয়াছি উহাই জাপানের সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ যাদুঘর। উহা আমাদের কলিকাতার যাদুঘর অপেক্ষ অনেক ছোট । কলিকাতার যাদুঘর পৃথিবীর মধ্যে একটা উল্লেখ যোগ্য যাদুঘর। আমেরিকার সুপ্রসিদ্ধ ব্রায়ান সাহেব উছাকে পৃথিবীতে তৃতীয় স্থান প্রদান করিয়াছেন। জাপানের প্রত্যেক জেলা সহরেই একটা করিয়া যাদুঘর আছে। এক তোকিও সছরেই বলিতে গেলে অনেক গুলি যাদুঘর । উয়েনের ইম্পিরিয়াল মিউজিয়াম ছাড়া গবর্ণমেণ্টের কৃষি এবং বাণিজ্য বিষয়ক একটা মিউজিয়ম ( নোশোমুখে ) রহিয়াছে। তা ছাড়া সুন্দর সুন্দর প্রকাও বাড়ীতে সহরের স্থানে স্থানে কাঙ্কোবা নামক প্রদর্শনীর দ্যায় স্থায়ী বাজার প্রাতঃকাল হইতে রাত্রি ১০টা পৰ্য্যস্ত অসংখ্য দর্শক এবং ক্রেতাদের চিত্তাকর্ষণ করিতেছে । প্রাচীনকাল হইতেই জাপানীর সামরিক জাতি। আর পুৰ্ব্বপুরুষদের প্রতি উহাদের অসাধারণ উচ্চবিশ্বাস এবং অচলা ভক্তি। ভারতী । কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ তাই যাদুঘরের দুই তিনটা ঘর কেবল প্রাচীন তরবারিতেই পূর্ণ। প্রাচীন ধনুৰ্ব্বাণ প্রাচীন পোষাক, প্রাচীন দেবদেবীর মূৰ্ত্তি প্রভৃতিতে যাদুঘর সজ্জিত। আধুনিক কলা ও শিল্পবিদ্যা সস্তৃত জিনিসপত্র তথায় অতি অল্প । সে সমস্ত রাস্তাঘাটে ও হাটে-বাজারে সৰ্ব্বত্রই দ্রষ্টব্য। একস্থলে দুই ব্যক্তির জীর্ণ বস্ত্র এবং টুপি আর তাহদের তৈল চিত্র অতি সযত্নে রক্ষিত হইয়াছে। উহার উভয়ে ইউরোপে গিয়া সৰ্ব্ব প্রথম খনিজবিদ্যায় ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়া দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং খনিতে কায করিতে করিতে পাথরের চাপে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েন । তাই জাতীয় সম্মান প্রদর্শনের জন্ত উছাদের স্মৃতি সাধারণের সমক্ষে সযত্নে রক্ষিত হইয়াছে । আমাদের কোন ভারতীর বন্ধু বলিয়াছেন, ভারতের তুলনায় জাপান অতি ক্ষুদ্র দেশ অথচ পৃথিবীতে এমন কিছু নাই যাহা জাপানে নাই ! তাই সমগ্র জাপান দেশকে একটী বড় অfকারের যাদুঘর মনে করিলেও চলে । সহব কিম্ব গ্রামে পুকুরের সংখ্যা অতি অল্প ; নাই বলিলেও চলে । কোন কোন বন্ধু বলেন একে ক্ষুদ্র দেশের ৮৪ ভাগ পাহাড়ে আবৃত তাহার উপর যদি পুকুর খনন করা যায় তবে কৃষি করিবে কোথায় ! মিউজিয়মের অনতিদূরে পার্কের ভিতরই চিড়িয়াখান । চিড়িয়াখানায় জীবজন্তু অধিকাংশই বিদেশ হইতে আনীত—যেহেতু জাপানে জীবজন্তুর বৈচিত্র্য এবং সংখ্যা অতি অল্প। সিংহ, ব্যাস্ত্র, হস্তী, বানর, ভলুক প্রভৃতি গ্রীষ্ম প্রধান দেশ হইতেই আমদানী করা হয় । শকট পরিচালন এবং কৃষি