পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: Ֆ8 হয় ! আমি বাহিরে আসিলেই চীৎকাব উঠিগ —“ঐ-ঐ-ঐ যে আসছে একধারে বিপুল করতালির ধ্বনি উঠিল । রাজার যোগ্য সন্মানে আমি পথে চলিয়াছি ! চমৎকার ! বাহিরেই একটা ছোট ঠেলাগাড়া—আমি তাহাতে চড়িলাম। সশস্ত্র কয়েকটা প্রহরী গাড়ীর চারিধার ঘেরিয়া দাড়াইল । গাড়ী চলিল ! একদল ছেলে চীৎকার কবিয়া উঠিল— “নমস্কার, মশায় ।” আর একজন কহিল *বহুৎ আচ্ছা ! স্ব প্রভাত !” একটি স্ত্রীলোক কহিল, “মরতে চলেছে”। চারিধারের এই বিকট কোলাহলে মনে একটা সাহস পাইলাম । vá পথে আমারি জন্ত অ{জ এই বিপুল জনতা। আবার কে কহিল, “টুপি খুলে ফেল সব !” যেন রাজ চলয়াছেন । আমি হাসিলাম—হায় ইছারা টুপি খুলি তেছে,—আমাকে মাথাটা খুলিয়াদিতে হইবে । ফুলের বাজারের পাশ দিয়া গাড়ী চলিতেছিল ! মিষ্ট গন্ধে প্রাণ যেন কতকটা আশ্বস্ত হইল ; লাল নাল সাদা নানা রঙের ফুলে শোভা ও সুন্দর হইয়াছিল ! বাজারে-বাড়ীতে—কোথা ও তিলমাত্র স্থান নাই—লোক—কেবল লোক – বাড়ীওয়ালার বেশ দুই পয়সা উপাজ্জনে সুযোগ পাইয়াছে ! ক্রমে ভিড় বেশী হইতে লাগিল ! মুখখনিতে প্রফুল্লতা আনিবার জন্ত আমি প্রাণপণে চেষ্টা করিতেছিলাম—যেন কেহ কাপুরুষ না মনে করে । ভারে বৃথা দপ! জীবনের শেষ মুহূত্তে এখনো এত মায় কিসের জন্ত ? লোকের গুতি-নিন্দার প্রতি এত শ্রদ্ধ, এত আগ্রহ ! ভারতী । ফাল্গুন, ১৩১৭ আচার্য্যের হাত ইষ্টতে ক্রশ লষ্টয়া বুকে চাপিলাম, একান্ত আগ্রহে বলিলাম,—“দয়া কর প্রভু —দয়া কর–বল দাও ভগবান, হে অৰ্ত্তেব বন্ধু—” ! সমস্ত বাস্থজগৎট উড়াইয়া চিন্তাব মধ্যে মগ্ন হইবার সঙ্কল্প করিলাম ! কিন্তু লোকের কোলাহলে একাগ্রত ভাঙ্গিয়া যাক্টতেছিল । কেমন একটা কম্পন আসিল সাবা অঙ্গ ও বৃষ্টি-জলে ভিজিয়া উঠিয়াছিল । আচার্য্য কহিলেন, “কঁপিছ তুমি ? শীত লাগছে বুঝি ?” মুখে বলিলাম, “ছ !” কিন্তু ভগবান জানেন, এ কম্পন শীতের জগু নহে ! কয়েকটি স্ত্রীলোকের করুণ সহাহভূতি কানে গেল --অামাব এই তরুণ বয়স দেখিয়া তাঙ্কার করুণায় গলিয়। গিয়াছিল । ক্রমে সেই স্থানে আদিয়া পৌছিলাম । আমার দৃষ্টি ও এতি-শক্তি ক্রমে ক্ষীণ ইয় আসিল । এষ্ট কোলাহল, এই অগণিত পরিচিত অপরিচিত নরশির—আমি উন্মদের মত হষ্টয়া পড়িলাম— এতগুলা লোক আমার পানে চাহিয়া আছে — ইহা ভাবিয়াই অস্থির হইয়া পড়িলাম ! ক্রমে সেই মিশ্র কোলtহলের একটি বর্ণও আয়ত্ত করা দুরূহ হইয়া পড়িল । সমস্ত মিলিয়t ক্ষীণ প্রতিধ্বনির মত কাণে বাজিতেছিল । দোকানের নাম ও রাস্তায় বিজ্ঞাপনগুলা আপন মনে পড়িয়া যাইতে লাগিলাম ! একধারে নদী চোখে পড়িল—উপরে ছায়ার মত উচ্চচুড়াও অল্প দেখা যাইতেছিল! ইহার মধ্যে কখন সেতু পার হষ্টয়া এপারে আসিয়া পড়িয়াছি—জানিতেও পারি নাই ! একটা