পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సి8$9 স্বাভাবিক । এবং আমাদের মলে হয় যে, ভারতী । ফাল্গুন, ১৩১৭ ইহার ফলে শক্তি উত্তত হয় পরিবর্তনের ক্ষেত্র হইতেই উত্তাপ বহির্গত হইতে এই আণবিক থাকে। 感 মস্তিষ্ক সম্বন্ধে নূতন মত । Ulsta altii, fără (Dr. Joseph Simms) মস্তিষ্ক সম্বন্ধে এক নুতন মত প্রচার করিতেছেন । এই বিষয়টি আলোচনা কালে তিনি পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের মনুষ্য হইতে পশু পর্য্যস্ত সহস্ৰ সহস্ৰ জীবের মস্তিষ্ক ওজন করিয়া দেখিয়ছেন । এক কথায় বলিতে হইলে উাহfর মতে সাধারণত: যে সকল ক্রিয়ার জন্য মস্তিষ্ককে গৌরবদান করা হয়, সেগুলি তাহার গুণ নছে, সেগুলি আমাদের সৎপিণ্ডের ক্রিয়া মাত্র। উrহর মতে মস্তিস্কেল চিন্তা করিবার কোনও শক্তি নাই । তিনি প্রমাণ করিতে চাহেন যে আরিষ্টটল হইতে ডাক্লইন পর্য্যন্ত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনস্বীগণ ত{হারই মতের সমর্থন করিয়; গি থাছেল । তিনি বলেন—“বিজ্ঞান বলে মে, ১৪ হইতে ২ • বৎসর বযসের মধ্যেই মসুয্যের মস্তিষ্ক সৰ্ব্বাপেক্ষ। বৃহৎ হয়। বিংশতি বৎসর বয়সেই মস্তিষ্কের চরম বুদ্ধি হইয়া থাকে। . মস্তিষ্ক তাতার দেহের তুলনায় যেরূপ অধিক ভারী থাকে এরূপ জীবনের অীর অন্ত কোন কালেই দেখিত্তে পাওয়া যায় না। বিশ বৎসর বয়স হইতেই আমাদের মস্তিষ্কের দিন দিন হ্রাস ও ক্ষয় হইয়| থাকে, মৃত্যুর পূর্বকাল পৰ্য্যন্ত প্রতি দশবৎসরে প্রায় এক আউন্স কমিয়া যায় । এ কথা অনেক দিন পূর্বেই প্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিকগণ প্রমাণ করিয়াছেন । কিন্তু ২০ হইতে ৬০ বৎসরের মধ্যে মস্তিষ্কের এইরূপ অৰিরাম ক্ষয় হওয়া সত্ত্বেও আমাদের বুদ্ধির বল ও শক্তি ক্রমেই বৃদ্ধি পাইতে থাকে। আমরা ইহাও দেখিতে পাই যে, দেশের জল বায়ুর উপর মস্তিষ্কের আকারের পার্থক্য নির্ভর করে । শীতপ্রধান দেশের লোকদিগের মস্তিস্ক বড় এবং গ্রীষ্মপ্রধান দেশের লোকের মস্তিষ্ক অপেক্ষাকৃত ছোট ;– ইহ! আমি বহু পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণ করিয়াছি এবং জাতীয় অভিমান ব্যথিত হইলেও ব্যাপারটা সত্য সন্দেহ नाड़े। মনুষ্যের জন্মকালে তাহার "মেরু প্রদেশ হইতে বিষুবরেখাবর্তী দেশ পৰ্য্যন্ত পুথিবীর সকল স্থানের জীবেরই মস্তিষ্ক আমি পরীক্ষা কfরয় দেখিয়ffছ । স্কটল্যাণ্ডের তিম মৎস্তের মস্তিষ্ক পরীক্ষা কয়িয়া দেখিয়াছি—তাহ আকারে সাধারণ মনুষ্যের মস্তিপ অপেক্ষ চতুগুণ অধিক। অনেকগুলি হস্তীকে পরীক্ষা করিয়াও দেখিয়াছি তাছাদের মস্তিষ্ক আমাদের অপেক্ষ। চতুগুণ অধিক বৃহৎ। সাধারণ ভাবে দেখিলে বোষ্ট্রনের মনুষ্যের অপেক্ষা ইংলণ্ডের লোকের মস্তিস্ক ওজনে অfধ আউন্স কম, তাহার কারণ বোষ্ট্রন ইংলণ্ড অপেক্ষ শীতপ্রধান । আমেরিকল্প দক্ষিণ অংশের লোকের অপেক্ষ নরওয়ে লোকের মস্তিষ্ক অপেক্ষাকৃত বৃহৎ, কিন্তু তাই বলিষ। তাহারা যে অধিক বুদ্ধিসম্পন্ন তাহা নহে । ব। স্কটলণ্ডের “আমার মতে মস্তিদকেই বুদ্ধির স্থান বলা ভ্ৰম । আমি পরীক্ষার দ্বারা যাহা পাইয়াছি তাহা দ্বারা বুঝা যায় যে, আমাদের মন আমাদের দেহময় ব্যাপ্ত রহিয়াছে । ইউরোপের অনেক খ্যাতনাম। বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতও আমার এ মতের সমর্থন করিয়াছেন । আমার বিশ্বাস যে আমাদের চিস্তাক্রিয় আত্ম:র দ্বারাই সম্পন্ন হয় | আত্মার বাসস্থালের কোন নির্দিষ্ট স্থান নাই, সৰ্ব্বদেহেই তাহ ব্যাপ্ত এবং সর্বব যন্ত্রের দ্বারাই তাহ রক্ষিত । শরীরের কোন একটি অংশ অসুস্থ হইলে যে আমাদের মনও কতকটা অসুস্থ হইয় পড়ে, তাহা আমরা নিত্যই দেখিতে পাই । -- “মনুষ্যদেহে মণ্ডিপের একটা উপকারি তা আছে সন্দেহ নাই । অনেকে বলেন দেহের উত্তাপ পূরণ করাই ইহার কৰ্ম্ম । রক্তের উত্তাপ অপেক্ষ মস্তিষ্কের উত্তাপ অধিক সন্দেহ নাই এবং দেশের উত্তাপের ফলে মস্তিষ্কের অাঁকারের পরিবর্তন হয় ইহাও দেখিতে পাওয়া যায়। নিৰ্ব্বোধের মস্তিষ্ক বুদ্ধিমানের অপেক্ষা বৃহৎ হয়, কি তাহদের হৃৎপিণ্ড নিতান্ত ক্ষুদ্র হইতে দেখা যায়। মধুমক্ষিক, পিপীলিকা, ৰোতাল