পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩sশ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা । বটে কিন্তু অন্তরে "ডাইন’ নামে সকলেরই হৃৎকম্প হয়। ডাইনী বেচারীদের স্থানে স্থানে লাঞ্ছনীয় সীমা থাকে না । আমরা অদ্য এই বিষয়ের দুই চারিটি চাক্ষুষ ঘটনা লিপিবদ্ধ করিতেছি । পৌষ মাস। দরিদ্র কৃষকের অঙ্গনে ধন্থ বাশিস্থ স্থৰ্য্যের মন্দ কিরণ ক্রমে মন্দতর হইতেছে । কৃষকের গৃহে মুখ নাই, দুই তিন বৎসরেব অজন্মায় কুববস্থার একশেষ । এবারে দুরন্ত বস্তায় আউল ধান্ত সব ভাসিয়া গিয়াছে। আমন কিছু হইয়াছিল কিন্তু মহাজনের ঋণ এবং জমিদারের খাজনা তাহাতে শোধ করিয়া লওয়ায় অঙ্গনের শূন্ত ‘গোলা’ ট্রইট হুম্ টী খাইয়া পড়িবার জোগাড় করিতেছে । পৌধ যায়, অগ্রহায়ণ হইতে এক ফোটা বৃষ্টি না হওয়ায় রবি শষ্যের আশাও এবারের মত শেষ । উঠানের ‘আপায় ক্লষকবধু ধান “ ওসাইতে” ছিল । পৃষ্ঠে বেতের ঝাপি, তন্মধ্যে গাছ চাচিবার তীক্ষুধার অস্ত্র ‘দাউলী, কোমরে জড়ানো প্রকাগু একগাছা দড়ী, হুস্তে দুইটা কলসী লইয়। যুব কৃষক পুত্র অঙ্গনে প্রবেশ করিল। কলসী দুইটা এক পাশে নামাইয়া, ঝাপ ইত্যাদি অঙ্গনে আছড়াইয়া ফেলিয়। হতাশ ভােেব "পড়ে”র এক ধারে বসিল । মাত, পুত্রের ভাবান্তর দেখিয়া বলিল “কিরে‘রমূল্য’ ? অমন ক’রে বদলি যে ?” পুত্র কেন’ উত্তর দিল না ! ম তা আবার বলিল “অস কি “চোরে গিয়েছে” সব ? “আরে “আরে না, না ; এই ‘অসের জন্তেই ত আজ ম’লাম” ! মাত শঙ্কিত হুইয়ু বলিল “ম’লাম কিরে ? কি হ’ল তোর ?” “হবে আর কি ! তাঙ্কাদের পল্লীগ্রামে ডাইনে খাওয়া । S(t\లి এখনি ফটুকে মালোর মা মাগী কোথায় ছিল জানিনা, খেজুরে পুকুরের পাড় থেকে ‘অসের ঠিলি” হাতে করে নামতেই আমার দফা সেরেছে ।” "ওরে সেকি ? সেকি "অস' চেয়েছিল ? দিলিনে কেন তাকে ?” “ই-সে ‘অস’ নেবে কিনা ? আমার প্রাণড বড় কেমন করছে শুই একটু।” বলিয়া অমূল্য সেই খানেই ধুপ করিয়া শুইয়া পড়িল। মাত ডাকু ছাড়িয়া কাদিয়া উঠিল, “ ওগে। অামাব সৰ্ব্বনাশ হ’ল ! ওগো তোমরা কে কোথায় আছ’, আমার “রমূল্য রতনের কি হ’ল এসে দ্যার্থ’ সে” ! অবিলম্বে পাড়ার লোক সব আসিয়া জুটল। অমূল্য তখন মাটিতে পড়িয়া ছটু ফটু করিতেছে। সকলে "ওঝ। আনাইবার পরামর্শ দেওয়ায় এক জন পরোপকারী তৎক্ষণাৎ গ্রামান্তরে ওঝা’ ডাকিতে ছুটিল। ইতি মধ্যে ডাইনে খাওয়ার ঔষধ যে যাহা - জানে রোগীর উপরে তাহ প্রয়োগ করিতে লাগিল। হলুদ ও লৌহ পুড়াইয়া কপালে ছাক দেওয়া, নানা প্রকার লতা পা তার রস হস্তে পদে বক্ষে লেপন, তেল পড়া, জল পড়া খাওয়ানো ইত্যাদি। অমূল্যের মা উঠানে বসিয়া হতাশ ভাবে বিনাইয়। বিনাইয়া কাদিতে লাগিল । *ওবে ‘রমূল্যের ভরসাতেই যে চালের তলায় মাথা দিয়ে আছি। "ম্যালেরি’ জরে তিন বছৰ ভুগে ভুগে মোড়ল, যন্ত, দুজনেই ফাকী দিলে । পুটে টাত’ নিত্যি রোগ, জন্মকালই জরে ভুগছে । বেনে মাগী যেদিন পাড়ায় আসে সেই দিনই আমার পুটে ‘কেঁথ।” ঢাকা দিয়ে শোয় । তার ভরসাত