পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

જ (t 8 আমি করিই নে। এক ‘রমূল্য’। সে বলে “ম জমী জমা যা আছে ভাগে করি।” একটা ‘দোহর’ নেই তাব, যা আছে তাও আবাদ করতে পারে না। তিন বছর ধান হয়নি, এবাব যা হ’ল মহাজনের ‘দেন’ শোধ করলাম, খন্দ দুটে ছয়-সরকারীতে তুলে নেবে, আজ তিন বছর খাজনা দিতে পারিনি ! ভাবি ‘রমূল্যের’ বিযে দেব, রমুল্য’ বলে মা দুবরস্থবের ধাক্কা অংগে সামাল দিই, আর ‘দেন কবিনে এপন” । তিন কুড়ী খেজুৰ গাছ জমা সিয়েছে, বাছা আমার সকল লিন গাছে গ’ছে আর ‘বাস্টনের আগুনের জালেই থাকে ! পুটে জ্বালানি কুড়িয়ে কুড়িয়ে ব’সে বসে জাল দেয় । সেদিন সাজ, বেলায় গাছ থেকে প’ল –বলি ম৷ কি হবে । তা আমাব "নোয়ার বঁটুিল” রমূল্যব কিছু ছয়ুনি, আজ আমার কপাল বুঝি ভাঙ্গল ! সৰ্ব্বনাশীবে আমার কপালই এমন করে থায় কেন রে ?” ইতি মধ্যে বোগী একবার বমি করিয়া একটু সুস্থ হইল। সকলে আশ্বাস দিতে লাগিল, ভয় নেই--ভয় নেই, ওঝা এলেই এখনি সব ভাল হবে । গরু চরাইয়া জ্বরে কাপিতে কঁাপিতে পুটে আসিয়া সব ব্যাপার দেখিল এবং সে ও দাড়াইতে ন পারিয়া ঘরে গিয়া শয্যা গ্রহণ করিল ! ম৷ দ্বিগুণ কাদিয়া বলিল “নিশ্চয় আজ বেনে মাগী ওকে রেখেছে। আজ তিন দিন একটু ভাল ছিল, ‘রমূল্য’ মাঠে যেতে বাবণ করে, তা ভাল থাকৃলেষ্ট যায় ! আমার কত "খ” সইয়ে” ‘ধনের সব । আমার ছার কপালে বঁাচলন ?” ভারতী ।

  • বলা বাহুল্য এসব কথা ভূতগ্ৰন্ত রোগীর মত ডাইন-প্রাপ্ত রোগী স্বযুথেই বলিয়া থাকে।

ফাল্গুন, ১৩১৭ ওঝা আসিল । অমূল্যের সৰ্দ্দিগষ্মী ভাবটা তাহার আদিবার পূৰ্ব্বেই কমিয়া আসিয়াছিল। দ্র তিন বীর দাস্ত ও বমি হইয়া সে তখন অনেকটা সুস্থ হইয়াছে। ওঝা দেখিয়৷ বলিল * আর ভয় নেই । আমার আসার আগেই ভয়ে সে সরে গিয়াছে। এই ওষুধটা ভাতের আমানির সঙ্গে বেঁটে থাইয়ে দাও আর এই সৰ্বধেব পুটুলিট তিন দিন কাছে রেখো। তেমন কিছু করতে পারেনি। আমি এখনি রতনপুর পেকে আসছি । সে গ্রামের রায়েদেব বেীকে আজ তিন দিন ডানে খেয়েছিল। আজ তিন দিন তিন রাত আমি সেইখানে ছিলাম ! কত সব ইংরাজি জান ছেলে পিলেরা ‘ফটু’ ‘ফট্‌’ ‘চিষ্টিার’ ‘মিষ্টিরি’ বলে ডাক্তার এনে কিছুতে কিছু করতে পারেনি! তখন আমি রুগী হাতে নিয়ে তিন দিন তিন রাত থেটে ভাল করে দিয়ে এলাম। ইংবিজি পড়া ছেলেরা সব তখন গাল হাত বসে রইল”। সকলে অমুল্যকে ছাড়িয়া তখন ওঝাকে মহ! ঔৎসুক্যে ঘিরিয়া বসিল । ওঝা ও সাড়ম্বরে বলিতে লাগিল,— “আত্ম সাবধান” করে বাড়ী থেকে তো বেরুলাম । ‘রাগী’র বাড়ীর দুয়োরে গিয়ে আগে বাড়ী বধিলাম, আসামী আগেই না পালায় ! আমায় দেণে ত সে রেগেই আগুন ! “তুই কোথাকার রোজ,—দেখি ত তোর ক ভবড় সাধ্যি, আমায় কেমন তাড়াতে পারিস”।* আমি ও বলি “দেখি তুমিই কেমন ডান !” মন্তর পড়ে পড়ে হায়রাণ হয়ে, দড়ী দিয়েবেঁধে কিছুতে যখন পাৰ্বন্ধাম না তখন একগাছা ব্যাট। এনে এক বা বসাতেই