পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভগৱতী ৩৪শ नई l প্রাচীন ভারতের আমাদের জীবধাত্রী বসুন্ধরার একটা মুচিত্রিত ইতিহাস আছে। বায়স্কোপের মত একটির পর একটি স্তরবিন্তস্ত ছবি— ঘনিষ্ঠ ভাবে পরস্পরকে আলিঙ্গন করিয়া রছিয়াছে, একটির অঙ্কে আরেকটি বিশ্রাম করিতেছে। অকস্মাৎ একদিন তত্ত্ববিদের হস্ত তাহার লুকানো স্প্রিংটিকে স্পর্শ করে –আর লক্ষ লক্ষ বৎসরের কাহিনী পলি মাটির তল হইতে, প্রস্তর-স্তরের ভিতর হষ্টতে, অঙ্গামীভূত অরণ্যের অন্তর্কক্ষ হইতে बाश्बि श्ब्रा #ाङ्गग्नि,-डॉशब दिब्राफ़ दगू বহু বহুমান কালের প্রত্যেক উৰ্ম্মি রেখায় আচ্ছন্ন দেখা যায় । শুধু এই খানেই তাহার সমাপ্তি নয় : তাহার জড় ও অজড়, চেতন ও অচেতন অভিব্যক্তির পথে পাশাপাশি চলিয়াছে। সেীরকক্ষে ঘূর্ণ-ক্ষিপ্ত অনলাঙ্গী দ্রবময়ী পৃথ্বী যখন সজল মৃত্তিকার স্নিগ্ধ শ্যামলিম লাভের জঃ মুহুমূহ ভূকম্পনে ও বারিধারা পাতে আপনাকে পযুদস্ত করিতেছিল, তখন তাহার চিৎশক্তি তাহারই পাশ দিয়া আপনাকে অশেষ প্রকারে ফুটাইয়। তুলিবার প্রয়াস পাইতেছিল। যুগ যুগান্তরের সংগ্রামের পর অবশেষে চিন্ময় মাহাত্ম্যরূপ মমুষুেধ অভিব্যক্তিতে আপনার সফলতার চৈত্র, ১৩১৭ [ ১২শ সংখ্যা লোকশিক্ষণ । প্রতিষ্ঠা করিল, সমস্ত স্থই তাছার পদানত চইল, অন্ধশক্তি জাগ্রত চেতনার করায়ত্ত হইয়া পড়িল । সেই আদিম দিবসটির সছিত আজিকার দিনটিকে যদি মিলাইয়ু লইতে যাওয়া যায়, তবে সেই আত্যন্তিক বিরোধময় পরিবর্তনটির মুলে যে উল্লিখিত বিকাশ আমরা দেখিতে পাই তাহ বুদ্ধি। এই বুদ্ধির সার্থকতার নামই শিক্ষা । পৰ্ব্বত যেমন সমস্ত সমভূমির মাঝ খানে শুধু উচ্চতার দ্বারা আপনার পার্থক্যকে . . জাগরিত করিয়া রাখিয়াছে, মানুষ তেমনি সমগ্র-জন্তুব মৃষ্টির মাঝখানে শিক্ষা দ্বারা আপনাকে স্বতন্ত্র ও অনাগ্রস্তু করিয়াছে এবং সমস্ত জড় জগৎ ও জীব জগতের মুখে বল্প লাগাইয় আপনার পদানত করিয়াছে ! এই শিক্ষার ঠিক একটি প্রতিশব্দ যদি বলিতে হয়,তবে “মনুষ্যত্বের বিকাশ” বল! বোধ ছয়.সৰ্ব্বাপেক্ষ সঙ্গত হইবে । তাহার এই বিশেষ উদ্দেশ্য ও বিশেষ সফলতা তাহাকে একটি অপূৰ্ব্ব মহিমা দ্বারা মণ্ডিত করিয়াছে। অচেতন উদ্ভিদ স্থৰ্য্যালোক লাভ করিবার জন্ত যেমন উৰ্দ্ধে বাহু বিস্তার করে, মানবাত্মা তেমনি একটি স্বভাবসিদ্ধ আকর্ষণে শিক্ষার দিকে উন্মুখ হইয়া আছে । তাহার অন্তঃকরণের