পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8* द६ ६[** मृ१५j। । করিবে না—তাহার দিকে তোমাদের চেষ্টাকে পরিচালিত করিয়ে না, আত্মদান কর তোমরা সেই শাশ্বত ভূমাকে—যাহা তোমাদিগকে তোমাদের ক্ষুদ্রতা ও নশ্বরতার উপর উঙ্গিত . করিবে !” প্রাচীন ভারতবর্ষের প্রতি শিরায় সে বাণী স্নায়ুজালের মত ব্যাপ্ত হইয়া আছে, মজ্জার মত অস্থিব ভিতরে প্রবেশ করিয়াছে, মনের মধ্যে আত্মার মত বিরাজ করিতেছে! যুগ যুগান্তরের স্থিতিতে ক্রমশঃ তাহা প্রস্তরীভূত হইলেও তাঁহাকে সে ঝাড়িয়া ফেলিয়া দিতে পারিতেছে না, চারিদিক্ হইতে যখন তাড়নার কশা তাহার উপর পড়িতেছে, তখনও সে আপনাকে তাহা হইতে মুক্ত করিতে পারিতেছে না। সকলে তাহাকে বলিতেছে —"জাগ, জাগ, তোমার বুকের উপর হইতে ঐ পাষাণ পিগুট ফেলিয়া দিয়া লঘুপদে আমাদের সহিত ছুটিয়া চল । দেখিতেছ না, দৌড়েব ( races) ঘণ্ট। পড়িয়াছে—এই প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনের বিষম দ্বন্দ্বক্ষেত্রে যে আগে যাইবে, সেই fজ{৩য় যাইবে, পিছনে পড়িলে আর রক্ষা নাচ । ছুট্‌ ! ছুট্‌ !” কিন্তু তবু সে তেমন কবিয়া ছুটিতে পারিতেছে না, ত হার বুকের ভিতর ভক্ষুব জগতের কঠিন সত্যের গুরুভার তাহার গতি মন্থর করিয়া দিতেছে! অবগু একথা সত্য যে ইউবোপ লোক শিক্ষাকে কোণে ক্রমেই অবহেলা করে নাই । কৰ্ম্ম ও চেষ্টা দ্বারা যতদূর করা যায় তাহার কোনো দিক্ হইতেই তাহার অভিযুক্ত হইবার আশঙ্কা নাই। কি ও এ সম্বন্ধে একটি কথা ভাবিয়া দেখিবার আছে । চন্দ্রের আলো যেমন স্বৰ্য্যালোকেরই অtভাসমাত্র—তাহার প্রাচীন ভারতের লোকশিক্ষণ । సెఱt নিজস্ব কিছু নয়, মামুষের শক্তি মাত্রই ঠিক তেমনি একটি মহা শক্তির আভাস মাত্র, তাহা ঠিকৃ তাছার আত্মগত ক্ষমতা নহে। এই ধীশক্তি --জ্ঞানকে স্বাহী স্তন্মদান করিয়৷ পূৰ্ণবয়ঃ করিয়া তুলিতেছে—তাহার ভিতর যে মহিমার দিব্য জ্যোতি আছে —‘সাধাবণ ভূমিতে কচিং তাহার বিকাশ দেখা যায়। স্বপরিণত বিদ্য|–বংশগত ফলের অপেক্ষ রাখে, পুরুষানুক্রমিক প্রাণ তার উপর তাহ। বহু পরিমাণে নির্ভর করে । চাষার ছেলে যখন চাষের কাজ করিতে অtরম্ভ করে, তখন তাহাকে সপ্তসমুদ্র পাড়ি দিয়া কোথাও গিয়া কৃষিবিস্কা শিখিয়া আসিতে হয় না, তাহার কাজের সমস্ত কৌশলই শৈশব হইতে তাহার অজ্ঞাতসারেই সে অধিগত করিয়া বসিয়াছে । সুতরাং তাছার কায্যে তাহার সফলতার মূলে আমরা দেখিতে পাই তাহার প্রবণতা তাহার পৃষ্ঠপোষক শক্তিস্বরূপ কাজ করিতেছে এবং তাহার আশৈশবের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা–তাহাকে নিষ্ফলতার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সংগ্রামের জন্ত প্রভূতরূপে ক্ষমতাপন্ন করিয়াছে। দেবী বীণাপাণি আশুতোধের মত স্বল্প পুজায় প্রসন্ন হন না, অগভীর বিদ্যা উচ্চ জলসেকের মত কল্যাণের মূল বিনষ্ট করে, পুষ্পোদগমের সহায়তা করে না। এই শ্রমজীবিগণ ললাটের স্বেদ লিঞ্চন করিয়ু যাহারা অল্প ও লোক সমাজের প্রয়োজনীয় তাবৎ দ্রব্যাদি উৎপাদন করে –পিস্তামন্দিরে স্বেচ্ছাসেবক ( amateur ) হওয়া ভtহাদের পক্ষে বিড়ম্বন মাত্র—অস্ততঃ আমাদের দেশে তাহাদের বংশগত