পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిల8 সমাজ যতই ঘৃণা করুক না কেন, শ্রদ্ধাযোগ্য চরিত্র তাঙ্গদের ভিতর বিরল নহে এবং মার্জিত রুচি-ই যদি শিক্ষার পরাকাষ্ঠা না হয়, তবে বহুস্থলে-ই তাহারা তাহীদের সহিত সমশ্রেণীতে দাড়াইবার যোগ্য । একটি বিস্ময়কর বিষন্ন এই, যে অণুপাতে তাহার “ অশিক্ষি ত” সেই অণুপাতে তাহার। ধৰ্ম্মনিষ্ঠ । ইহা বেশ দেখা যায় যে ধৰ্ম্মকে তাহার বিচার করিবার মত কোনো ক্ষুদ্র জিনিস বলির মনে করে না ও তাহার প্রত্যেক অনুষ্ঠান ও অনুশাসন লইয়া আপনার সঙ্কীর্ণ বুদ্ধির পরিমাপ-যন্ত্রে তেল করিতে বসে না । যে বৃহৎ শক্তি এই অবিহুমান কালের ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে ও ধর্মশাসনকে জন্মদান করিয়াছে, একান্ত শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের সঙ্গে তাহারা তাহাকে মানিয়া লয়, প্রত্যেকের থও বুদ্ধি দ্বারা সেই অখণ্ড সত্ত্বাটিকে খণ্ডিত করে না। বৃত্তচু্যত হইলে বৃক্ষের ফল শূন্তমাগে ভ্রমণ না করিয়া কেন ভূপৃষ্ঠে পতিত হয় অথবা মানবকুলের পুৰ্ব্ব পুরুষ কপিবংশ ছিল কি না তাহা তাহারা অবগত না থাকিলেও বিধাতার নির্দিষ্ট ধৰ্ম্মবিধি লঙ্ঘন করিলে যে ফল হয় তাহার সহিত যথেষ্ট পরিচিত আছে। এই বিশ্ব ভুবনের ভিতরে, সমস্ত সংশয়, দ্বিধা ও মূঢ়তার কোলাহলের পাশ দিয়া নিত্য প্রেমের যে শুদ্ধ নিৰ্ম্মল ধারাটি বহিয়া চলিয়াছে, জীবন তরণী গুলিকে বিশ্বাপের পাল তুলিয়া তাহার প্রবাহমুখে ছাড়িয়া দিয়াছে, এবং ওtহাদের শ্রদ্ধা ও ঐকাস্তিকতা ঝড়ের বাতাল ঠেলিয়া গুণ টানিয়া তাহাদিগকে তীরের দিকে টানিয়া লইতেছে । छiब्लडौ । চৈত্র, ১৩১৭ এই সব সংখ্যাতীত পথ—সংখ্যাতীত দিক্ দিয়া একটিমাত্র গন্তব্য স্থানে পৌছিয়াছে, ভারতবর্ষ তাহার ভিতর হইতে সৰ্ব্বাপেক্ষা সরল পথটি বাছিয়া লইয়াছে । জ্ঞান জিনিসটা খানিকট মরীচিকার মত— তাহা শুধু লুব্ধ করে, তৃপ্তিদান করিবার ক্ষমতা তাহার নাই, তাহার অসংখ্য নীর অমুসরণ করিয়া যতদূরই যাওয়া যাক না কেন, কাছার ও কখনও তাহ পানে তৃষ্ণ নিবৃত্ত হন নাই। নিউটন যাহার প্রসঙ্গে বলিয়াছেন ; “লোকে আমাকে কি মনে করে তাহা আমি বলিতে পারি না । কিন্তু আমার মনে হয় জ্ঞানমহার্ণব আমার সম্মুখে অক্ষুণ্ণ রহিয়াছে –আমি বালকের হার বেলাভূমিতে উপলখণ্ড আহরণ করিতেছি মাত্র ।” মুষ্টিমেয় আয়ু ও ক্ষণভঙ্গুৰ কায়া লইয়া সেই মহাসমুদ্র উত্তরণের দুরাশার অনুসরণ করিতে ভারতবর্য উষ্ঠত হয় নাই। ভোরের বেলা পার্থী যখন আকাশে উড়িতে থাকে, তখন সেই উড়িবার আনন্দটুকু ছাড়িয়া যদি সে তাহার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের একটা হিসাব খাড়া করিতে উষ্ঠত হয়, তবে অবোধ ক্ষুদ্র প্রাণী স্থৰ্য্য-রশ্মিপৃষ্ট হইয়াই মরিবে, কোনো আনন্দ সে তাহা হইতে লাভ করিতে পারিবে না । এই সহজ ও স্বদুর জ্ঞানকে হৃদগত করিয়া ভারতবর্ষ তাহার লোকশিক্ষার মুলে সেই একটি শিক্ষাকেই জাগ্রত রাথিয়াছে, সমস্ত যাত্রাপথে সেই একটি স্থানকেই লক্ষ্যস্বরূপ করিয়া নয়নাগ্রে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে, সমস্ত আয়োজনের ভিতর সেই একটি • প্রতিপাদ্য বিষয়কে ঘোষণা করিয়াছে ! সে কেবল বলিতেছে “যtহাতে তোমরা অমৃতত্ব লাভ